তারপর জামালপুর, সরিষাবাড়ি হয়ে জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে স্টিমারের অপেক্ষা। ওপার থেকে এসে পৌছলে ভাল কথা। এপারে ট্রেন এসে পৌছলেই ছেড়ে দিত বেলজিয়াম থেকে আমদানি করা স্টিমার গুলো।
যমুনা নদীর চরে আটকে বিভীষিকা ময় রাত কাটানর অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। স্টিমারের রান্না মুরগি ভাত ছিল আমার খুবই প্রিয় মেন্যু। অতঃপর তীর নেই কূল নেই যমুনার বুক চিরে বেরিয়ে আসত সিরাজগঞ্জ ঘাটের দৃশ্য, তার পাশে ব্রডগেজের রেলগাড়ি গুলো সাপের মত বাকা হয়ে দাড়িয়ে আছে।
তারপর উল্লাপাড়া, ঈশ্বরদী জংশন। ঈশ্বরদী তে ঘটতো মজার ঘটনা। যে ট্রেন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে পশ্চিমে চলল এতক্ষণ তা ইঞ্জিন উল্টিয়ে পুব দিকে চলা শুরু করত...অদ্ভুত লাইন বিন্যাসের কারণে।
রাত দশটার দিকে প্রায় ১৪ ঘন্টার দৌড়-বদল যাত্রা শেষে রাজশাহী পৌছত।
আজ ৩৪৩ কিঃমিঃ এ পথের জন্য ১৪ ঘন্টা এসে দাড়িয়েছে ৫ ঘন্টায়। রেলের আরামদায়ক যাত্রা ও প্রচলিত রেল গাড়ির যান্ত্রিক বিষয় গুলো (ডিজেল লোকোমটিভ) নিয়ে আমার ব্যক্তিগত জানা শোনা ও অনুভূতি শেয়ার করাই এ ধারাবাহিক লেখার উদ্দেশ্য।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:০৯