-পথিক
০৩-০৫-২০১৬
চল্ যাব ভাই প্রাচ্য তীরে ,চন্দ্র যেথায় লুটিয়ে পরে,
মেঘের সাথে রবির আলো বর্ষিত হয় উচ্ছ্বাস ভরে।
যেই মাটিতে তরলিত চন্দ্রিকারা ঝর্না বহায়,
দস্যি ছেলে আঁচল ছেড়ে ঘাসের শিশির গায়ে লুটায়।
বেলা শেষে কলহাস্যে আঁধার যেথায় হাতছানি দেয়,
সাঁধের প্রদীপ মায়ার আলোয়,চারধারেতে রাত কেডে নেয়।
বহ্নি জ্বেলে জটলা করে গাঁয়ের পথিক আগুন পোহায়,
উতরোল ভরা পাহাড়িয়া মেয়ে স্তব্ধ রাতে গান গেয়ে যায়।
যেথায় ভাষায় প্রাণ গেঁথে সব দস্যি ছেলে স্লোগান তোলে,
পিন্জির হতে মুক্তির তরে বাংলা ভাষায় মাতৃ বোলে।
বায়ান্নর প্রেরণা যেথা একাত্তরে বিজয় ছেনে,
মাতৃভাষার আন্দোলন স্বাধীনতার সোপান চেনে।
অনবরত বিবর্তিত পরিত্যক্ত সেই অনির্বানে
প্রতিক্ষিত স্বদেশ তরে সংগ্রাম হয় প্রানপণে।
নজরুল যেথা সাহস যোগায় রবিঠাকুরের বীর পুরুষে,
পল্লীকবির 'পল্লীদুলাল' ফিরে যেথা উদাস বেশে।
মত্ত যেথায় স্বদেশ প্রেমিক,আগলে নিতে মাটি তাহার,
দৃপ্ত কন্ঠে স্লোগান তোলে দেশ , মাটি আর মা যে আমার।
আকাশ যেথা ঘাস ছুঁয়ে যায়,দিগন্তরা হয় বিলীন,
নীল প্রবাহে পদ্মা, মেঘনা সেই মাটিকে করেছে রঙীন।
ঘাসের ডগায় শিশির ফোটা ঝিলমিলিয়ে হাসে,
ক্লীষ্টগতির পথিক যেথা বারবার ফিরে আসে।
কাজল মাটির পরশ যেথা মায়ের মতই মায়া,
সেই মাটিতে ঠাঁই নিয়েছে বটবৃক্ষের ছায়া।
দিব্যধামের জ্যোতি যেথা ,ধাবিত হয়ে মুচকি হাসে,
খচিত যার বীরত্ব আজ রক্ত গর্বের ইতিহাসে।
প্রবাহ যেথা ধাবমান ,উর্দ্ধ যেথায় শির।
লাস্য যেথা অহমিকার দুর্ভেদ্য প্রাচীর।
জানি,
সেই মাটিরই লিপ্সা তোকে যাচ্ছে টেনে,নিরুক্ত বেশ।
চল্ যাব ভাই সেই তীরে আজ যার,উপনাম বাংলাদেশ।