প্রায় সাড়ে তিন মাস হলো আমি ইউটিউবিং শুরু করেছি! এখন ভিডিও মিডিয়ার যুগ, তাই ভাবলাম নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু ফরজ হয়ে দাড়িয়েছে! এর আগে ট্রাভেলিং ব্লগ করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পরে এক সময় বন্ধ করে দিই। কারণ আমার মনে হলো, আমি ট্রাভেলিং করতে পছন্দ করি, কিন্তু ট্রাভেলিং ভিডিও ব্লগিংটা আমার কাছে এতটা উপভোগ্য নয়।
অনেক চিন্তা-ভাবনা করে আমি কিছু সম্ভাব্য বিষয় নির্বাচন করলাম। আমাদের মহাবিশ্ব এবং এর রহস্য নিয়ে ভিডিও বানানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। এটা সবসময়ই আমার পছন্দের বিষয় ছিল। আমার মনে হলো, এই বিষয়ে আমার আগ্রহ আছে এবং এ নিয়ে ভিডিও বানালেও আমি ক্লান্ত হব না।
আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে ভিডিও আপলোড করি। আসলে একসাথে অনেকগুলো ভিডিও তৈরি করে রেখে দিই স্কেজুয়েল করে, যাতে প্রতি সপ্তাহে একটি করে ভিডিও অটোমেটিকভাবে রিলিজ হয়। এখন যেগুলো আপলোড করা আছে, সেগুলো প্রায় দুই মাস ধরে চলবে!
ইউটিউবে আমার বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানে ভালো কন্টেন্টের কোনো বিকল্প নেই! কন্টেন্ট ভালো হলে এবং কনসিসটেন্টলি ভিডিও আপলোড করলে ভিউ বাড়বেই। প্রথম দিকে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার পেতে কিছুটা সমস্যা হয়, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়তে থাকে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউটিউবের অ্যালগরিদম ভালোভাবে বোঝা। এটা বুঝলে অনেকটাই এগিয়ে থাকা যায়। যেমন, ইউটিউব নতুন ভিডিও রিলিজ করলে প্রথমে মাত্র একশ থেকে দুইশ মানুষের কাছে দেখায়। তারপর দেখে যে মানুষ কেমন সাড়া দিচ্ছে। যদি ভালো সাড়া পাওয়া যায়, তাহলে ধীরে ধীরে ভিডিওটি আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। তবে পুরনো বা এস্টাবলিশড চ্যানেল হলে, প্রথমেই অনেক মানুষের কাছে ভিডিও পৌঁছে যায়।
আমার চ্যানেলটি নতুন হওয়ায়, এখন পর্যন্ত ১৪টি ভিডিও রিলিজ হয়েছে। আমার প্রথম ভিডিওর সময় ইউটিউব মাত্র দুইশ থেকে তিনশ মানুষের কাছে ভিডিও পৌঁছে দিয়েছিল, এবং ভিউও অনেক কম ছিল, পঞ্চাশেরও কম। আমার প্রথম চারটি ভিডিও প্রায় একই রকম পারফর্ম করেছিল। এই তথ্যগুলো ইউটিউব অ্যানালিটিক্স থেকে দেখা যায়। এখন যখন কোনো ভিডিও দেই, সেটা কয়েক হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যায় (সবাই দেখে না, এটাই সাভাবিক)। এখন পর্যন্ত আমার চ্যানেলে কয়েকটি ভিডিও ভালো পারফর্ম করছে। বেশ কয়েকটি ভিডিও এর ভিউ হাজার পেরিয়েছে, আরেকটি তিন হাজারেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। ভিডিওটি প্রতিদিন প্রায় একশ থেকে দুইশ নতুন ভিউ আসছে।
আমার ইউটিউবের অভিজ্ঞতা বলে, অনেকেই রিকোয়েস্ট করে বা ফেসবুকে সাবস্ক্রাইবার চেয়ে কান্নাকাটি করে। আসলে এই ধরনের সাবস্ক্রাইবার চ্যানেলের জন্য ভালো ফল বয়ে আনে না। অর্গানিক সাবস্ক্রাইবারই ভালো, কারণ তারা চ্যানেলের কন্টেন্ট পছন্দ করে সাবস্ক্রাইব করে। তাই নতুন ভিডিও এলে তারা দেখার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এতে ইউটিউব অ্যালগরিদম ভিডিওটি আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। রিকোয়েস্ট করে সাবস্ক্রাইবার আনার ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা চক্ষুলজ্জায় সাবস্ক্রাইব করে, কিন্তু চ্যানেলের কন্টেন্ট তাদের পছন্দের না হওয়ায় ভিডিও দেখে না। এমন সাবস্ক্রাইবার বেশি হলে চ্যানেলের জন্য ক্ষতিই হয়।
আমার চ্যানেলের লিংক
আমার চ্যানেলের লেটেস্ট ভিডিও ভালো চলছেঃ
আপনাদের কারো যদি ইউটিউব নিয়ে অভিজ্ঞতা থাকে, শেয়ার করতে পারেন! অনেকেই হয়তো শখে ইউটিউব করেন, আবার অনেক হেভিওয়েট ইউটিউবারও রয়েছেন, যারা ব্লগে ঘাপটি মেরে বসে আছেন। অভিজ্ঞতা শেয়ার করে উপকৃত করুন!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:১২