আমেরিকার সানফ্রানসিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজ।
ছবিটি কয়েক বছর আগে ক্যামেরা বন্ধী করেছিলাম। তখন ডেনমার্কে থাকি, আমেরিকার সানফ্রানসিসকো এসেছিলাম কোন একটা কনফারেন্সে যোগ দিতে। নিয়ম মাফিক নিজের প্রেজেন্টেশন দিয়ে চম্পট মেরেছিলাম সানফ্রানসিসকোর অলিগলি ঘুরতে। একটি টুরিস্ট বাসে উঠে সারাদিন শহরটা ঘুরেছিলাম। বাসটি বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটে থামত আর পর্যটক যারা আছে তারা নেমে দেখত। গোল্ডেন গেট ব্রিজ পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় বস্তু। সান সানফ্রানসিসকো এসে এই জায়গাটা না ঘুরে গেলে গুনাহ হয়ে যাবে তাই প্লান মাফিক এসেছিলুম।
সুইজারল্যান্ডের জলপ্রপাত।
ছবিটি সুইজারল্যান্ডের পাশের শহরের এক জলপ্রপাত থেকে তোলা। সুইজারল্যান্ডের জুরিখ থেকে বাসে করে গিয়েছিলাম এক টুরিস্ট বাস দিয়ে, আমাদের সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়েছিল বাসটি। এই জায়গাটায় এসে বোটে চরেছিল, পানির স্রোত ছিল প্রচুর। দেখার মত একটি জায়গা।
দক্ষিণ কোরিয়াতে স্নোফল।
দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রচুর স্নোফল হয়। সেখানে যেমন গরমের দিনে গরম, ঠিক তেমনি শিতের দিনে ব্যাপক হারে স্নোফল হয়। দক্ষিণ কোরিয়া গোয়াংজুর চননাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে তোলা কোন এক শীতের দিনের ছবি।
ডেনমার্কে পুরনো দিনের ট্রেন।
ট্রেনটি সম্ভবত ৮০-৯০ বছর আগের! এই ধরনের ট্রেন যাত্রী নেবার জন্য ব্যাবহার হয় না, ডেনমার্কে বিশেষ দিনে ওরা এই ট্রেন ছাড়ে মানুষের মনোরঞ্জন করার জন্য। ডেনমার্কে যখন ছিলাম তখন প্রায় এই ট্রেন দেখতাম, ট্রেনটি কাছ দিয়ে গেলে অনেকেই ছবি তুলত এর।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কোন এক টেম্পলে সম্ভবত।
আমি যত জায়গার এই পর্যন্ত সফর করেছি, থাইল্যান্ডের আমার কাছে তার মধ্যে অন্যতম। টেম্পল, স্ট্রিট ফুড এবং ব্যাংককের মাঝে বয়ে যাওয়া নদী ভ্রমণ এই ভ্রমণটাকে পূর্ণতা দিয়েছিল। থাই খাবারের স্বাদ যেন এখনো আমার মুখে লেগে আছে।
সুইডেনের রাজধানীর Castle
এটি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কোন এক Castle এর ছবি। অনেক পর্যটক আসে এখানে দেখতে।
জার্মানির একটি খ্রিস্টমাস মার্কেটে।
কোন এক ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম জার্মানির একটি শহরে কোন এক কনফারেন্সে যোগ দেবার জন্য । শহরটির নাম এই মূহুর্তে মনে পরছে না। কনফারেন্স ভেনুর পাশে বিশাল বড় খ্রিস্টমাস মার্কেট।
লাউসের টুরিস্ট স্পটে। জায়গাটির নাম মনে নেই।
লাউস ভ্রমণ আমার জন্য বিশেষ কিছু ছিল। থাইল্যান্ডে একটি কনফারেন্সে গিয়েছিলাম সেবার, কনফারেন্স থেকে লাউস ভ্রমণের আয়োজন করেছিল কনফারেন্স কর্তৃপক্ষ। লাউস হল থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ। কনফারেন্সে সবাই হেভি-ওয়েট দেশ থেকে এসেছে বিদায় কারোরই ভিসা লাগবে না, কিন্তু হতভাগা আমি পরলাম ফান্দে, ভিসা নাই বলে যাওয়া হবে না ভেবে মুষড়ে পরলাম। অবশেষে কনফারেন্সের কর্তৃপক্ষের একজন এসে আমাকে অভয় দিয়ে বলল তোমাকে থাই বলে চালিয়ে দেব সীমান্তে, কিছু মালপানি ছাড়লে তোমার ভ্রমণের সব বালা মসিবত দূর হয়ে যাবে। অবশেষে কিছু দিরহাম দিয়ে লাউস সীমান্ত পারি দিয়ে ঘুরেছিলুম।
জাপানের কোন এক শপিং মলের সামনে।
তখন দক্ষিন কোরিয়াতে থাকি, জাপানে গিয়েছিলাম কোন এক কনফারেন্সে যোগ দেবার জন্য। আফসোস এই টুরের খুব বেশী একটা ছবি নেই আমার কাছে।
বাংলাদেশের কক্সবাজার।
কক্সবাজারের গিয়েছিলাম কয়েক বছর আগে। কোন এক পাহারে উঠেছিলাম, সেখান থেকে তোলা ছবিটি। এই পর্যন্ত যত সি বিচে গেছি, সত্যিকার অর্থে কক্সবাজারের মত কোথাও এত ভাল লাগেনি, নিজের দেশে আত্মার একটি টান আছে সবসময়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:০৬