Click This Link
বুকের মধ্যে একটি চাপা বাথ্যা । একটি অসহনীয় বোঝা । আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না । মানুষের কেটে গেলে অথবা বাথ্যা লগলে যে অনুভুতি হয় সেরকম কিছুই
না । অদ্ভুত । মনে হচ্ছে আমি মারা যচ্ছি । কিন্তু লোকে বলে মানুষ মারা গেলে তার সমস্ত জীবন তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে । কিন্তু আমার চোখের সামনে শুধু তোমার চেহারাই ভাসছে । আমি কি তোমায় ভুলতে পারি নি ?
অতীত
আমি সবসময় একজন emotionless ছেলে । আমার মধ্যে অনুভুতি একটু কম কাজ করে । রাগ , দুঃখ , আন ন্দ ,বেদনা আমকে খুব একটা নাড়া
দেই না । কিন্তু কখন যে ভালোবাসা নামক জটিল ভইরাস আমার বুকে বাসা বাধল আমি বুঝতে পারলাম না । না । এটা বললে ভুল বলা হবে । বুঝতে
পেরেছিলাম । বুঝতে পেরেছিলাম যখন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম ।তোমার মিষ্টি কন্ঠে আমি পেছিলাম পৃথীবিকে । আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম তোমার
হাতের চুরির আওয়াজে । আমি বাধা পরেছিলাম তোমার মুখের পরে আসা একটি চুলের সাথে । তোমার রাগে নাক কুচকানো অথবা হাসার সময় চোখ বন্ধ করা সবই আমায় পাগল করেছিল । তোমার উড়ন্ত লাল ওড়না কতবার আমার ঘুম ভেঙ্গেছে তা হিসাব করে বলতে পারব না । শুধু বলতে পারব তোমায়
ভালোবেসেছি ।
এক ভয়ান ক সংগ্রাম শেষে -
"পরীক্ষা কেমন হয়েছে সুমন ? "
প্রশ্নটা শুনে আমি আবাক হয়ে পিছনে তাকালাম । দেখি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে লাল ফ্রেমের চশমা পরা উদ্বিগ্ন চেহারার এক কন্যা যে মাঝে মাঝেই আমার স্বপ্ন
জগতে হানা দেয় । আমি বরফের মত জমে গেলাম । আমি এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম । আমার অতি ক্ষীন সন্দেহ হ ল আমি ঘুমিয়ে আছি ,স্বপ্ন
দেখছি । একটু পর আম্মু এসে বলবে , "এই সুমন ওঠ " ।
" পরীক্ষা কেমন হয়েছে ? " অধৈর্য্য গলায় সে আবার জিজ্ঞেস করল ।
আমি থতমত করে বললাম ,"ভালো । তোমার ?"
"খারাপ না । " তার অতৃপ্ত কন্ঠ ।
সে হয়ত আরো কিছু বলছিলো কিন্তু আমার দৃষ্টি তখন তার মুখের উপর আসা চুলের উপর ।কিছু দস্যি চুল দুষ্টু বাতাসের প্ররচনায় তাকে উতক্ত করছিল । তখন জানিনা আমার কি হল । কোন অদৃশ্য শক্তি আমার অজান্তেই আমার হাত উঠিয়ে তার মুখের কাছে নিয়ে গেল । আমি তার চুলগুলো তার মুখের উপর থেকে সরিয়ে দিলাম । সে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল । f***. আমি চরম একটা ভুল করে ফেলেছি । আমার হৃদস্পন্দন দ্বিগুন হয়ে গেল । বুঝলাম আমার কপালে শনির দশা আছে । যে কোন সময় বর্জপাত ঘটতে পারে । কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সে ইউটার্ন নিল এবং চলে গেল । হয়ত আমার চোখের ভুল কিন্তু আমি তার ঠোটের কোনায় একটি মিষ্টি হাসি লক্ষ্য করলাম ।
অতপর
আমার জীবন সম্পূর্নই বদলে গেল । পড়ার বইগুলোর স্থান দখল করে নিল রোমিও জুলিয়েট টইপের প্রেমের উপন্যাস , Linking park এর "In the end " এর স্থান দখল করল শ্রীকান্তের "বধূয়া তোমার চোখে জল " । যে ছেলে নানা অজুহাতে কোচিং এ যেতে চাইত না সেই চেলে আধঘন্টা আগে উপস্থিত । প্রেম মানুষ কে কত কিছুই না করায় । কিন্তু এভাবে কতদিন থাকা যাই । কতদিন আর শুধু চোখে চোখে কথা হবে । সিধ্যান্ত নিয়েই ফেললাম এসপার কি ওসপার তার
কাছে তার মোবাইল নম্বর চাইব । কিন্তু মনীষীরাতা আর এমনিই বলেন নি "It is easy to say but hard to do ." তারপরও
আমি হাল ছাড়া পাত্র না ।অনেক বুদ্ধি , অনেক ফন্দি , অনেক আলোচনা । কিন্তু কোনটাই মনে ধরে না । অবশেষে একদিন কোচিং শেষে ডেকেই বসলাম ,
"এই তীমু , শোন "
"বল "
আমার কথা গলায় আটকে গেল । মনে মনে ভাবলাম এই মেয়ে এইভাবে কেন বলল । সে এক টু হেসেও বলতে পারত । আমি বড় করে একটা ধোক গিললাম ।
"কি হ ল আগের দিনের মত hang হয়ে গেলে নাকি । স মস্যা নেই আজ চুল বেধে এসেছি ।" তারপর সে হাসল । আর আমি হারিয়ে গেলাম । মনে হল
কেউ যেন আমার হাতে নোবেল পুরুষ্কার ধরিয়ে দিয়েছে । আমার সব ভয় কেটে গেল । নিজেকে তখন মনে হল এই মাত্র তিন মাথা কুকুর
cereberus কে হারিয়ে আসা Harculis . আমি ওর হাত নিজের হাতে নিয়ে নিলাম । ও আমাকে অসভ্য বলে নিজের হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য
মেকী চেষ্টা চালাল । কিন্তু আমি জানি এ হাত আজ আমার , শুধুই আমার । স্বয়ং বিধাতাও আমার কাছ থেকে এ হাত কেড়ে নিতে পারবে না ।
................................. কিন্তু বিধাতা এ কথা শুনে যে মুচকি হাসছিলেন তখন এটা এই অবুঝ প্রেমিক বুঝতে পারে নি ।
( বি:দ্র ঃএটি পিনিকে আক্রান্ত লেখকের লেখা )
বুকের মধ্যে একটি চাপা বাথ্যা । একটি অসহনীয় বোঝা । আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না । মানুষের কেটে গেলে অথবা বাথ্যা লগলে যে অনুভুতি হয় সেরকম কিছুই
না । অদ্ভুত । মনে হচ্ছে আমি মারা যচ্ছি । কিন্তু লোকে বলে মানুষ মারা গেলে তার সমস্ত জীবন তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে । কিন্তু আমার চোখের সামনে শুধু তোমার চেহারাই ভাসছে । আমি কি তোমায় ভুলতে পারি নি ?
অতীত
আমি সবসময় একজন emotionless ছেলে । আমার মধ্যে অনুভুতি একটু কম কাজ করে । রাগ , দুঃখ , আন ন্দ ,বেদনা আমকে খুব একটা নাড়া
দেই না । কিন্তু কখন যে ভালোবাসা নামক জটিল ভইরাস আমার বুকে বাসা বাধল আমি বুঝতে পারলাম না । না । এটা বললে ভুল বলা হবে । বুঝতে
পেরেছিলাম । বুঝতে পেরেছিলাম যখন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম ।তোমার মিষ্টি কন্ঠে আমি পেছিলাম পৃথীবিকে । আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম তোমার
হাতের চুরির আওয়াজে । আমি বাধা পরেছিলাম তোমার মুখের পরে আসা একটি চুলের সাথে । তোমার রাগে নাক কুচকানো অথবা হাসার সময় চোখ বন্ধ করা সবই আমায় পাগল করেছিল । তোমার উড়ন্ত লাল ওড়না কতবার আমার ঘুম ভেঙ্গেছে তা হিসাব করে বলতে পারব না । শুধু বলতে পারব তোমায়
ভালোবেসেছি ।
এক ভয়ান ক সংগ্রাম শেষে -
"পরীক্ষা কেমন হয়েছে সুমন ? "
প্রশ্নটা শুনে আমি আবাক হয়ে পিছনে তাকালাম । দেখি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে লাল ফ্রেমের চশমা পরা উদ্বিগ্ন চেহারার এক কন্যা যে মাঝে মাঝেই আমার স্বপ্ন
জগতে হানা দেয় । আমি বরফের মত জমে গেলাম । আমি এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম । আমার অতি ক্ষীন সন্দেহ হ ল আমি ঘুমিয়ে আছি ,স্বপ্ন
দেখছি । একটু পর আম্মু এসে বলবে , "এই সুমন ওঠ " ।
" পরীক্ষা কেমন হয়েছে ? " অধৈর্য্য গলায় সে আবার জিজ্ঞেস করল ।
আমি থতমত করে বললাম ,"ভালো । তোমার ?"
"খারাপ না । " তার অতৃপ্ত কন্ঠ ।
সে হয়ত আরো কিছু বলছিলো কিন্তু আমার দৃষ্টি তখন তার মুখের উপর আসা চুলের উপর ।কিছু দস্যি চুল দুষ্টু বাতাসের প্ররচনায় তাকে উতক্ত করছিল । তখন জানিনা আমার কি হল । কোন অদৃশ্য শক্তি আমার অজান্তেই আমার হাত উঠিয়ে তার মুখের কাছে নিয়ে গেল । আমি তার চুলগুলো তার মুখের উপর থেকে সরিয়ে দিলাম । সে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল । f***. আমি চরম একটা ভুল করে ফেলেছি । আমার হৃদস্পন্দন দ্বিগুন হয়ে গেল । বুঝলাম আমার কপালে শনির দশা আছে । যে কোন সময় বর্জপাত ঘটতে পারে । কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সে ইউটার্ন নিল এবং চলে গেল । হয়ত আমার চোখের ভুল কিন্তু আমি তার ঠোটের কোনায় একটি মিষ্টি হাসি লক্ষ্য করলাম ।
অতপর
আমার জীবন সম্পূর্নই বদলে গেল । পড়ার বইগুলোর স্থান দখল করে নিল রোমিও জুলিয়েট টইপের প্রেমের উপন্যাস , Linking park এর "In the end " এর স্থান দখল করল শ্রীকান্তের "বধূয়া তোমার চোখে জল " । যে ছেলে নানা অজুহাতে কোচিং এ যেতে চাইত না সেই চেলে আধঘন্টা আগে উপস্থিত । প্রেম মানুষ কে কত কিছুই না করায় । কিন্তু এভাবে কতদিন থাকা যাই । কতদিন আর শুধু চোখে চোখে কথা হবে । সিধ্যান্ত নিয়েই ফেললাম এসপার কি ওসপার তার
কাছে তার মোবাইল নম্বর চাইব । কিন্তু মনীষীরাতা আর এমনিই বলেন নি "It is easy to say but hard to do ." তারপরও
আমি হাল ছাড়া পাত্র না ।অনেক বুদ্ধি , অনেক ফন্দি , অনেক আলোচনা । কিন্তু কোনটাই মনে ধরে না । অবশেষে একদিন কোচিং শেষে ডেকেই বসলাম ,
"এই তীমু , শোন "
"বল "
আমার কথা গলায় আটকে গেল । মনে মনে ভাবলাম এই মেয়ে এইভাবে কেন বলল । সে এক টু হেসেও বলতে পারত । আমি বড় করে একটা ধোক গিললাম ।
"কি হ ল আগের দিনের মত hang হয়ে গেলে নাকি । স মস্যা নেই আজ চুল বেধে এসেছি ।" তারপর সে হাসল । আর আমি হারিয়ে গেলাম । মনে হল
কেউ যেন আমার হাতে নোবেল পুরুষ্কার ধরিয়ে দিয়েছে । আমার সব ভয় কেটে গেল । নিজেকে তখন মনে হল এই মাত্র তিন মাথা কুকুর
cereberus কে হারিয়ে আসা Harculis . আমি ওর হাত নিজের হাতে নিয়ে নিলাম । ও আমাকে অসভ্য বলে নিজের হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য
মেকী চেষ্টা চালাল । কিন্তু আমি জানি এ হাত আজ আমার , শুধুই আমার । স্বয়ং বিধাতাও আমার কাছ থেকে এ হাত কেড়ে নিতে পারবে না ।
................................. কিন্তু বিধাতা এ কথা শুনে যে মুচকি হাসছিলেন তখন এটা এই অবুঝ প্রেমিক বুঝতে পারে নি ।
( বি:দ্র ঃএটি পিনিকে আক্রান্ত লেখকের লেখা )
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৬