ছোট বেলা থেকেই দুনিয়া দেখার খুবই শখ থাকলেও এত দিনে পরে এসে তা পরিপূর্ন হল। দেশের বাইরের জীবণ সত্যিকার অর্থেই খুবই অদ্ভুত
আমাদের দেশের অনেকেরই বিদেশের জীবণ সম্পর্কে জানার খুবই আগ্রহ। আর তাই আমি আমার সংগ্রহ করা অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। "সংযুক্ত আরব আমিরাত" এ একটি বিশেষায়িত ব্যাংকে কাজ করি। কাজের সূত্রেই প্রথমে আমাকে ট্রেনিং দেয়ার জন্য "শারজাহ্" এর ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এলাকাতে অবস্থিত একটি শাখায় দেয়া হয়। আমার নিজের ঘোরাঘুরির বেশ আগ্রহ তাই অনেক সময় অন্য কাউকে না নিয়েই একা একা বিভিন্ন ব্যপারে এক্সপ্লোর করতে বের হয়ে পরি। এখানে আসার আগে এমন অনেক কিছু দেখবো যা ভাবতেও পারি নি।
প্রথমেই বলে রাখা ভাল এ দেশটি মূলত রাজতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে পুঁজিবাদের চাটুকদার। এ দেশে বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষেরা খুবই কম আসেন। অধিকাংশ বাংলাদেশীই অতি নিম্ন শ্রেনীর শ্রম ভিত্তিক কাজে নিয়জিত থাকে। তারা অধিকাংশই আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সীগুলো অতিরিক্ত মোটা অংকের টাকা দিয়ে আসেন, আর এই টাকার তারা সংগ্রহ করে বিপুল পরিমানে ধার দেনাকরে। ফলে এখানে এসে অত্যাধিক কষ্ট করলেও তারা ফিরে যেতে পারে না। এই দুবাইতে আপনে যেখানেই যাবেন "ক্লিনার" হিসেবে বাংলাদেশীদের পাবেন। মূলত কেউ যদি নতুন যুগের দাসবৃত্তি দেখতে চায় সে যেন দুবাইতে এসে একবার ঘুরে যায়।
এই দুবাইদের অত্যাধুনিকার প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে বাংলাদেশী শ্রমিদের হাতের ছোঁয়া,
বর্তমান বিশ্বের সুউচ্চ ভবন- বুর্জ আল খলিফা
বিশ্বের একমাত্র সেভেন স্টার হোটেল - বুর্জ আল আরব
অষ্টম আশ্চর্য - মানব সৃষ্ট সর্ব প্রথম কৃত্রিম দ্বীপ "পাম আইল্যান্ড"
আবুধাবীর - "ফেরারী ওয়াল্ড"
মোটর সিটি
এমন কি গ্ল্যামার সীবীচ হিসেবে পরিচিত "জুমিরাহ্ সী বীচ" এ বিকিনি পরা মেয়েদের পাশেই ক্লিনার হিসেব কাজ করছে বাংলাদেশী শ্রমিক।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই শ্রমিক হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশী শ্রমিকদের হাত।
কিন্তু, বাংলাদেশীরা জাতি হিসেবে সব চেয়ে উপেক্ষিত এখানে।
অবশ্য একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বসবাসের জন্য এই দেশ কিছুতেই ভাল নয়। খুবই আজব বিষয় একমাত্র পাকিস্তানীরা ছাড়া আর কেউই এই দেশে বসবাস করতে ইচ্ছুক নয়।
. . . . .