সালমান রুশদীর গল্প :
স্বপ্নের আসন
অনুবাদ : মোবারক হোসেন খান
ইন্টারভিউতে বানের মতো ছুঁড়ে মারা প্রশ্নের পর প্রশ্নের জবাব দিয়েও আমি যে চাকরি পাচ্ছি না বুঝে গেলাম। প্রথম দিকে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি না পাবার জন্য আমি নিজেকেই দায়ী করতাম। আমার গায়ের জ্যাকেটটা ছিল ছেড়া, টাইটাতে ছিল দাগ।
আমি তো একবার প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের মাঝে দু’দুবার বাধা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার দোষ-ত্রুটিগুলো সংশোধন করার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করতাম। ময়লা কাপড়-চোপড় পরে যেতাম না। বোর্ডের সামনে ইন্টারভিউতে বসে অতিরিক্ত গ্রাহক আগ্রহ প্রকাশ করতাম না।
এই যেমন, চাকরি আমার দরকার ঠিকই, কিন্তু তা’বলে না হলেও যে চলবে না অমন একটা ভাব দেখাতাম। তা সত্ত্বেও ইন্টারভিউর ফলাফল সেই একই। কোথাও আমার ভাগ্যে চাকরি জোটে না। না, এভাবে আর চলে না।
এবার পদ্ধতি বদলাতে হবে। দেখি, কিছুটা ঔদ্ধত্যভাব নিয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডের মুখোমুখি হলে চাকরি পাই কিনা। আমার চুল না আঁচড়ে, জুতোর ফিতে না বেঁধে, প্যান্টের জিপার অর্ধেক খোলা রেখে ইন্টারভিউ দিতে গেলাম। আমার প্রশ্নকর্তার ভাবলেশহীন মুখের দিকে তাকিয়ে আমি মুখ খিঁচিয়ে প্রশ্নের জবাব দিলাম।
এমনকি তার কারখানার দোষ-ত্রুটি কোথায় সেটাও দেখিয়ে দিলাম এবং আমি যে দু’দিনে সব ঠিকঠাক করে দিতে পারি সে কথাও বলতে ভুললাম না। কথার মাঝখানে তার চোখের সামনে একবার আমার আঙুলও মটকালাম। কিন্তু আমার ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হল না। এরপর আমি কপটতার আশ্রয় নিলাম।
মালামাল বিপণনের ব্যাপারে যত প্রকার কপটতার আশ্রয় নেয়া যেতে পারে সব আমি তোতা পাখির মতো বলে গেলাম। আমার চোখের দৃষ্টিতে কথার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আন্তরিকতা ফুটিয়ে তুললাম। আমাকে এ ধরনের কাজে আমার দক্ষতা প্রমাণ করার সুযোগ দেবার জন্য বারবার অনুরোধ করলাম।
কিন্তু কোন সুযোগ কোথাও আমাকে দেয়া হল না। অবশেষে আমি হতাশ হয়ে পড়লাম। না, চাকরি পাবার জন্য নয়, আমি যে বেঁচে আছি, শুধু একটুকু প্রমাণ করার জন্য এরপরও আমি ইন্টারভিউতে যেতে লাগলাম। একদিন আমার শেষ প্রশ্নকর্তার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম। কি অমায়িক আর স্নিগ্ধ চেহারা!
কতবার এ ধরনের চেহারা আমি দেখেছি আমি মনে করতে পারলাম না। হাজারবার হতে পারে, হতে পারে তারও বেশি। একইভাবে টেবিলের ওপাশে বসে আমাকে প্রশ্ন করেছে। আমি জবাব দিয়েছি। আমাকে মার্জিত কণ্ঠে বিদায় দেয়া হয়েছে।
এবারও আমি যে ইন্টারভিউতে অকৃতকার্য হব তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর ঠিক সে মুহূর্তে আমার সব অকৃতকার্যকারিতার কারণটা হঠাৎই আমি বুঝতে পারলাম। অথচ এত সহজ কথাটা এতদিন আমার মনে আসেনি কেন ভেবে আমার মেজাজটা দারুণ খিঁচড়ে গেল।
হ্যাঁ, সেই একই চেহারা। সব ইন্টারভিউতেই সেই শান্ত, অমায়িক আর স্নিগ্ধ চেহারা। কিন্তু না, তা হতে পারে না- অথচ এটাই সত্য। আমার মনে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। শেষ পর্যন্ত আমার মনের ভেতর বিজয়ের যে আনন্দ খেলা করছিল তাকে আর রোধ করে রাখতে পারলাম না। আমি বলেই ফেললাম, ‘আপনিও সেই একই ব্যক্তি, তাই না?’
‘কি বললে?’ হিমশীতল কণ্ঠের প্রশ্ন কিন্তু আমি তাকে বড়শিতে গেঁথে ফেলেছি। সুতরাং তাকে ছাড়তে রাজি নই।
তাই আমি জোর দিয়েই বললাম, ‘সব সময় আমি আপনাকেই দেখেছি। হ্যাঁ, আমি ঠিকই বলছি। আমি জানি আমার কথা সত্য।’
তার চেহারার আদল বদলে গেল। ধূর্তের মতো অবজ্ঞাসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে স্বীকার করল, ‘হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছ। কিন্তু তোমাদের মতো নির্বোধরা বুঝতে পারে না।’ তার কথার মধ্যে অপ্রতিভ হওয়ার লেশমাত্র নেই।
‘কিন্তু কেন?’ আমার প্রশ্ন।
আমার প্রশ্নে তিনি কান দিলেন না। চিন্তামগ্ন কণ্ঠে বললেন, ‘তোমাকে বলছি, তোমরা সবসময় আমাকে ব্যস্ত রাখো। অনেকে অবশ্য বেশ সহজভাবেই জবাব দিয়ে ফেলে। তখন সেটা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জের মতো মনে হয়। আর যে কোন চ্যালেঞ্জই আমার খুব পছন্দ।
আমার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখো না, তোমরা কি বলবে আমাকে আগেই আন্দাজ করে নিতে হয়। তার মানে, আমাকে সব সময় এক ধাপ সামনে থাকতে হয়। কারণ এ টেবিলের এ পাশের চেয়ারে বসার জন্য আমাকে সব রকমভাবে প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রাখতে হয়, যাতে তোমরা ঢুকেই সদাপ্রস্তুত আমাকে চেয়ারে উপবিষ্ট দেখতে পাও।
জানো, এ জন্য অনেক রাত আমার অনিদ্রায় কেটে যায়। সত্যি বলছি। আমাকে তার জন্য বাহবা দেয়া উচিত।’ আমার জানতে ইচ্ছে হচ্ছিল, আগে থেকেই কেমন করে সব রকমের প্রস্তুতির কাজ তিনি সম্পন্ন করে রাখেন। তবে আমি জানতাম তিনি তার জবাব দেবেন না।
তার বদলে আমি বললাম, ‘এখন তো আমি আপনার আসল স্বরূপ উদ্ঘাটন করে ফেলেছি। নিশ্চয় আপনি আর আসবেন না এবং আমাদেরও অকৃতকার্য হতে হবে না।’
‘না, ওটা তোমার ভুল ধারণা।’ তিনি চট্ করে বললেন, ‘আমি আসি কিনা আসি তাতে কিছু যায় আসে না।’
‘কিন্তু আপনি তো হেরে গেছেন।’ আমি শেষ কণ্ঠে বললাম,’ আপনি চাকরি হারাবেন। আপনারও আমার মতোই অবস্থা হবে। হয়তো এখন আপনার যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য কোন ইন্টারভিউয়ার নিয়োগ করা হয়।’
‘তোমার ইন্টারভিউ শেষ হয়ে গেছে,’ তিনি বললেন। তার চেহারায় আবার শান্তভাব ফিরে এলো এবং ভাবলেশহীন রূপ ধারণ করল। তিনি বললেন, ‘আর হ্যাঁ, এখানে তোমার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। তাছাড়া, তুমি এখানে চাকরি পেলে খুশি হবে বলেও মনে করি না। আচ্ছা, তুমি আসতে পার, কি জানি তোমার নামটা।
‘আচ্ছা চলি।’ আমি সোজা উত্তর দিলাম। তার পরাজয় দেখে আমার মনটা অদ্ভুত একধরনের উলাসে নাচতে লাগল। আরেকদিন আরেক জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে গেলাম। তখন আমার মন আনন্দ ও গর্বে পূর্ণ। আমি বেশ পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে এসেছি (আমার কৌশল আবার কিছুটা পাল্টে নিয়েছি)।
লিফটে চড়ে শিষ দিতে লাগলাম। লিফট্ উপরে উঠতে লাগল। আরেকটু পরেই উপরতলার কোন একটা কে চাকরির জন্য আমি যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছি। আমি কে প্রবেশ করা মাত্রই আমার মনে হল কে যেন নাক বরাবর বিরাশি সিবকার এক ঘুষি মারল।
‘তারপর।’ ‘আধ-খোলা দরজার ফাঁক দিয়ে কণ্ঠস্বরটা ভেসে এলো। আমি বুঝলাম, আমার হয়ে গেছে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসবার সৌজন্যও দেখালেন না। তার প্রতিটি কথা মাপাজোখা। তিনি আমার জীবন-বৃত্তান্তের খুঁটিনাটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে লাগলেন। আর ঠিক তখনই তাকে হত্যা করার ইচ্ছাটা আমার মনে বাসা বেঁধে গেল। হ্যাঁ, তাকে হত্যা করে ইন্টারভিউতে আমার পরাজয়ের আক্রোশ মেটাতেই হবে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে হত্যার পরিকল্পনা মনে মনে আঁটতে লাগলাম। মাঝে আরও চারবার ইন্টারভিউ দিয়েছি। কিন্তু প্রতিপরে নির্দয় প্রশ্নকর্তাকে কিছুতেই পরাভূত করে সিদ্ধি অর্জন করতে পারিনি। হত্যার পরিকল্পনা তো মনে মনে ঠিকই আঁটলাম, কিন্তু কাজ সেরে পালাবার পথ খুঁজে বের করতে পারছিলাম না।
সবাই তো জানবে ঘরের ভেতর কে ইন্টারভিউ দিচ্ছিল। তাকে হত্যা করে পালিয়ে গিয়েও আমার পরিত্রাণ নেই। ধরা পড়ে যাবই। মাঝে মাঝে আমার পরিকল্পনাটা পরিত্যাগ করার কথাও ভাবতে লাগলাম। কিন্তু সে চিন্তাটা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকত না।
তবে আমি জানতাম যে, হত্যা না করতে পারলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আমাকেই তাহলে আত্নহত্যা করতে হবে। অথচ আমি বেঁচে থাকতে চাই।
অবশেষে সব চিন্তা-ভাবনা ঝেড়ে ঝুড়ে ফেলে পকেটের ভেতর একটা ছুরি লুকিয়ে নিয়ে একদিন আবার ইন্টারভিউ দিতে গেলাম। ‘তারপর।’ ভেতর থেকে ডাক এলো। আমি ঘরে ঢুকলাম এবং পকেট থেকে ছুরি বের করে একটানে তার কণ্ঠনালী কেটে ফেললাম।
ফিন্কি দিয়ে রক্ত বের হয়ে চারদিকে ছিটকে পড়ল। তার গলার গড়গড় আওয়াজ শুনে রিসেপশনিস্ট ছুটে এসে দরজা আগলে দাঁড়াল। আমার পালাবার পথ বন্ধ। আমি তখন ওকেও খুন করব কিনা ভাবতে লাগলাম।
এমন সময় ইন্টারভিউয়ারের টেবিলের পেছন দিকে একটা দরজা খুলে গেল। এর আগে অনেক জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে গেছি, কিন্তু কোথাও ও ধরনের দরজা কোন ঘরে ছিল বলে আমার নজরে পড়েনি। সাদা দেয়ালে একটা সাদা দরজা আটকানো।
হয়তো এ ধরনের দরজা সব ঘরেই ছিল। নইলে আজই এবং এই ঘরেই যে আমি হত্যা করতে আসব কারও তো জানার কথা নয়। আমারই দোষ, আমি একটা উজবুক, ইন্টারভিউ দিতেই শুধু এসেছি, অন্য কোনদিকে নজর দেয়ার কথা কোনদিন ভাবিনি।
লোকটা মেঝেতে পড়েছিল। তার কণ্ঠনালীতে ছুরিটা গেঁথে আছে। তার কণ্ঠ থেকে গড়গড় আওয়াজ বের হচ্ছিল। আর মুখের ফস্ বেয়ে ফেনা বেরুচ্ছিল। পেছনের দরজা দিয়ে সদ্য আবির্ভূত লোকটা মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে থাকা লাশটা ডিঙিয়ে আমার কাছে এসে তার ডান তাটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। আমি অভিভূতের মতো তার হাতটা আমার হাতে নিলাম। আমার সারা শরীর রক্তাক্ত। কিম্ভুতকিমাকার দৃশ্য একটা!
লোকটা বলল, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আপনি চাইলে, আপনাকে আমরা একটা চাকরি দিতে পারি।’
চাপরাশি এসে লাশটাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গেল। দু’জন মহিলা এসে মেঝে থেকে ঘসে মেজের রক্তের দাগ মুছে ফেলল। কোথাও রক্তের চিহ্নও রইল না। আমার নতুন বন্ধু টেবিলের একটা ড্রয়ার খুলে আমাকে একপ্রস্থ পরিপাটি পোশাক পরতে দিল।
‘কিসের চাকরি?’ আমি অনেক কষ্টে শেষপর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসা করলাম।
‘এইমাত্র একটা চাকরি খালি হল।’ তার কণ্ঠে আপে থাকলেও বেশ শান্ত। তিনি বললেন, ‘খুব ভালো বেতনের চাকরি।’
আমি ধীর-স্থিরভাবে চেয়ারে আসন গ্রহণ করলাম। আমার চেহারাতে ফুটে উঠল একটা স্নিগ্ধতা, একটা শান্ত আর ভাবলেশহীন ভাব। আমি ভাবতে লাগলাম, অস্তিনের তলায় ছুরি লুকিয়ে নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য কোন ব্যক্তির আসতে কত সময় লাগতে পারে।
(লেখক পরিচিতি : সালমান রুশদী বোম্বে শহরে ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। চৌদ্দ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ভারতে ছিলেন। তারপর তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান এবং সাহিত্য-চর্চা শুরু করেন। তিনি বেশ কয়েকটি উঁচুমানের গ্রন্থ লিখে ইতিমধ্যে অনেক পুরস্কার পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
এবং অতি সম্প্রতি বুকার সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের সর্বসেরা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সাহিত্যে বুকার পুরস্কার তো সেই ১৯৮১ সালে পেয়েছেন ‘মিডনাইট চিলড্রেন’: বই লিখে। আর ঠিক একই গ্রন্থের জন্য ২০০৮ সালে সেরাদের সেরা হয়ে এক ইতিহাস রচনা করলেন। স্বপ্নের আসন তার লেখা ‘দি গোডেন বাউ’ প্রতীকী গল্পের অনুবাদ।)
সংগ্রহকৃতঃ
আলোচিত ব্লগ
পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন
দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?
দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
শেখস্তান.....
শেখস্তান.....
বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেকালের বিয়ের খাওয়া
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন