somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনে একদা

০৫ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনে একদা
মূল: ঝুম্পা লাহিড়ী
অনুবাদ: মিলটন মোললা

আগেও তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছে আমার, অগণিতবার। কিন্তু ইনম্যান স্কোয়ারে আমাদের বাড়িতে তোমাদের বিদায় উপলক্ষে দেয়া ফেয়ারওয়েল পার্টির দিন থেকেই মূলত আমার জীবনে তোমার উপস্থিতিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ করতে শুরু করি আমি। ওই সময় কেমব্রিজ ছেড়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন তোমার বাবা-মা।

অন্যান্য বাঙালির মতো আটলান্টা কিংবা অ্যারিজোনা না গিয়ে তারা ঠিক করলেন, গোটা পথ পাড়ি দিয়ে ফিরে যাবেন ভারত। নতুন দেশে টিকে থাকার যে লড়াই সদ্য শুরু করেছিলেন আমার বাবা-মা আর তাদের বন্ধুরা, সেই সমস্ত কিছু ত্যাগ করে চলে যাবেন নিজের মাটিতে। সময়টা ছিল ১৯৭৪ সাল।

আমার বয়স ছয়। তোমার নয়। ওইদিনের পার্টি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি করে আমার যা মনে পড়ে তা হচ্ছে পার্টি শুরুর আগের মুহূর্তগুলোর কথা। অতিথিরা এসে পৌঁছানোর আগে শেষ মুহূর্তে মায়ের তাড়াহুড়ো : নতুন করে পালিশ করা হয়েছে ঘরের সমস্ত আসবাব, টেবিলের ওপর সাজিয়ে রাখা হয়েছে কাগজের প্লেট আর ন্যাপকিন।

গোটা ঘর জুড়ে ম ম করছে সুপাচ্য ভেড়ার মাংস, পুলাও আর বিশেষ দিনে ব্যবহারের জন্য তুলে রাখা এল এয়ার দ্যু টেম্পস এর সৌরভ। মা এটা প্রথমে ছড়িয়ে নিলেন তার সারা গায়ে, এরপর দিলেন আমার গায়ে। কড়া এক ডোজ। জামার ওপর পড়ামাত্র স্বল্পণের জন্য গাঢ় বর্ণ ধারণ করল জায়গাটা।

ওই সন্ধ্যায় যে পোশাকটি আমি পরেছিলাম সেটা কলকাতা থেকে পাঠিয়েছিলেন আমার নানুমনি : চোঙা পায়ের সাদা পাজামা, কোমরটা এতোই চওড়া যে আমার মত দুটো আমি-কে পাশাপাশি অনায়াসে ঢুকিয়ে দেয়া যেতো তার ভেতর। সঙ্গে নীল কুর্তা আর প্লাস্টিকের মুক্তো সাজিয়ে এমব্রয়ডারি করা কালো ভেলভেটের গেঞ্জি। পোশাকের তিনটি অংশই পাশাপাশি সাজিয়ে রাখা হল বাবা-মায়ের বিছানার ওপর।

স্নান সেরে ফিরে এলাম আমি। হি হি করে কাঁপছিলাম ঠাঁন্ডায়। আঙুলের ডগাগুলো চুপসে শাদা। সরু একটা পুরু ফিতা একটা সেফটিপিনের সাহায্যে পাজামার কোমরের কাছে এক মুখ দিয়ে ঢুকিয়ে কুঁচি কুঁচি ভাঁজ ঠেলে অন্য মুখ দিয়ে ফিতেটা বের করে আনলেন মা। এরপর শক্ত করে বেঁধে দিলেন আমার পেটের ওপর।

পাজামার সেলাইয়ের ভেতরের অংশ থেকে বেরিয়ে এল বাদামি সিলমোহরে টেক্সটাইল কোম্পানির নাম। এটা চোখে পড়ার পর, আমার মনে পড়ে, অন্য যে কোনো কিছু পরার জন্য বিস্তর কান্নাকাটি করেছিলাম আমি। কিন্তু আমাকে আশ্বস্ত করে মা জানালেন, একবার ধোয়ার পরই মিলিয়ে যাবে সিলমোহর।

তাছাড়া, কুর্তাটা এতোই লম্বা যে ঘটনাটা কারো চোখে পড়ার আদৌ কোনো আশঙ্কা নেই। মাথা ঘামানোর মতো আরো নানা সমস্যায় ডুবে ছিলেন মা। অতিথিদের জন্য খাবারের গুণগত এবং পরিমাণগত বিবেচনা ছাড়াও তার দুশ্চিন্তা ছিল আবহাওয়া নিয়ে। এটা ছিল সেই সময় যখন আমার বাবা-মা কিংবা তাদের বন্ধুদের কোনো গাড়ি ছিল না।

তোমরাসহ অধিকাংশ অতিথির বাড়ি ছিল আমাদের বাসা থেকে পনের মিনিটের হাঁটাপথ। হার্ভার্ড কিংবা এমআইটির পেছনে, কিংবা এভিনিউ ব্রিজের ওপার। যদিও কেউ কেউ আসতেন আরো দূর থেকে- বাস কিংবা অন্য মাধ্যমে- মলডেন অথবা মেডফোর্ড অথবা ওয়ালথাম থেকে।

‘আমার মনে হয় গাড়ি করে সবাইকে যার যার বাড়ি পৌঁছে দিতে পারবেন মি. চৌধুরী,’ আমার মাথার চুল এলোমেলো করে দিতে দিতে বললেন মা। এদেশে থাকার মেয়াদে তোমার বাবামা ছিলেন কিছুটা বয়োজ্যেষ্ঠ- পাকাপোক্ত অভিবাসী। আমাদের কারো বাবামাই তখনো তেমনটি হয়ে ওঠেননি।

ওনারা ভারত ছেড়েছিলেন ১৯৬২ সালে- বিদেশি ছাত্র বিষয়ক আইন বদলানোর আগেই। যে সময়ে আমার বাবা এবং অন্যান্যরা এটা-ওটা পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন, ততদিনে পিএইচডি করা শেষ করা হয়েছে তোমার বাবার।

আন্দোভারে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে চাকুরির সুবাদে জুটে গেছে বাকেট সিটঅলা চমৎকার একটা রূপালি সাব। অনেক অনেক রাতে ওই গাড়িতে করেই আমাকে পৌঁছে দেয়া হতো বাড়িতে- যেসব পার্টিতে রাত গভীর হলে আমি হয়তো ঘুমিয়ে পড়তাম অচেনা কোনো বিছানায়, কিংবা অন্য কোথাও।

আমাদের মায়েদের যেদিন প্রথম দেখা, সেদিন আমার মা ছিলেন সন্তানসম্ভবা। যদিও ঘটনাটা তার নিজেরই তখন জানা ছিল না। একদিন ছোট্ট একটা পার্কে একটা বেঞ্চের ওপর বসেছিলেন মা- মাথাটা ঘোরাচ্ছিল সামান্য। অল্পদূরে একটা দোলনায় বসে আগুপিছু মৃদু দুলছিলেন তোমার মা- তুমি ছিলে ঠিক তার পেছনে দাঁড়িয়ে।

এই সময় তার চোখে পড়ে শাড়ি পরা এক বাঙালি তরুণী- চুলের মাঝখানে উজ্জ্বল সিঁদুরের রেখা। ‘তুমি কি ঠিক আছে?’ এগিয়ে এসে বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাইলেন তিনি। দোলনা ছেড়ে নেমে আসতে বললেন তোমাকে। পরে তোমরা দুজনেই সারথী হয়ে মাকে পৌঁছে দিল বাসায়।

আসার পথে মাকে তার গর্ভাবস্থার কথা জানিয়েছিলেন তোমার মা। আর ওই মুহূর্ত থেকে পরস্পর বন্ধু হয়ে গেলেন তারা দুজন। যে সময়টাতে আমাদের বাবারা চলে যেতেন কাজে, সে সময়টুকু একসঙ্গেই কাটিয়ে দিতেন তারা।

আলাপ করতেন কলকাতায় যে জীবন তারা ফেলে এসেছেন তা নিয়ে: যোধপুর পার্কে তোমার মায়ের চমৎকার বাড়ি, ছাদের ওপর প্রস্ফুটিত জবা আর গোলাপের ঝাড়। কিংবা মাণিকতলায় ঘিঞ্জি একটা পাঞ্জাবি রেস্টুরেন্টের ওপর আমার মায়ের ছোট্ট ফ্যাট। সংকীর্ণ ছোট্ট একটা ঘরে গাদাগাদি করে থাকে সাতজন মানুষ।

কলকাতায় তাদের মধ্যে দেখা হবার সম্ভাবনা ছিল অতি ক্ষীণ। তোমার মা ছিলেন কলকাতার স্যাটারডে কাবের সদস্য পাইপ মুখে ধরা প্রসিদ্ধ আইনজীবীর সন্তান- পড়াশুনা করেছেন একটা কনভেন্ট স্কুলে। আমার মায়ের বাবা ছিলেন জেনারেল পোস্ট অফিসের সামান্য কেরানি।

আমেরিকাতে আসার আগে জীবনে কখনো তিনি টেবিলে বসে খাননি কিংবা কমোড ব্যবহার করেননি। কিন্তু কেমব্রিজের বাস্তবতায় এসব বৈষম্যের কোন বালাই ছিল না। এখানে তারা দুজনই ছিলেন চূড়ান্তই নিঃসঙ্গ।

তারা কাঁচা বাজার করতে যেতেন একসঙ্গে, অভিযোগ করতেন যার যার স্বামীর নামে, রান্না হত আমাদের কিংবা তোমাদের যে কারো চূলোয়। তারপর ভাগ করা হত যার যার পরিবারের অংশ। কখনো একসঙ্গে উল বুনতে বসতেন, একঘেঁয়ে মনে হলে বদলে নিতেন হাতের কাজ।

যেদিন আমার জন্ম হয়, সেদিন হাসপাতালে একমাত্র তোমার বাবা-মাই দেখতে এসেছিলেন আমাকে। তোমার ব্যবহৃত হাই চেয়ারে বসিয়ে খাওয়ানো হতো আমাকে, রাচ্চায় ঘুরিয়ে বেড়ানো হতো তোমার পুরনো প্র্যামে চড়িয়ে।

পার্টি শুরু হবার পর আবহাওয়া বার্তার আশংকা সত্যি প্রমাণ করে তুমুল বরফ পড়তে শুরু করল। ভিজে কাক হয়ে একে একে আসতে শুরু করলেন অভ্যাগতরা। শুকানোর জন্য ঘরের পর্দার রডের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিলাম কোটগুলো।

পরবর্তী বহু বছর ধরে ওই দিনের কথা উঠলেই মা বলতেন, পার্টি শেষ হবার পর কীভাবে সবগুলো মানুষকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন তোমার বাবা। এক দম্পতিকে এমন কি নামিয়ে দিয়ে এলেন দূর ব্রেইনট্রিতে।

কিছু বলতে গেলে বলতেন, এটা কোনো সমস্যাই নয়। তাছাড়া, এটাই হয়তো এদেশে তার ড্রাইভ করার শেষ সুযোগ। তোমাদের চলে যাবার আগের দিনগুলোয় আরো অনেক বার আমাদের বাসায় এলেন তোমার বাবা-মা।

সঙ্গে নিয়ে এলেন নানা রকম পট আর প্যান, ছোট ছোট গেরস্থালি সামগ্রী, কম্বল, বেডশিট, আধাব্যবহৃত চিনি আর ময়দার ব্যাগ, শ্যাম্পুর বোতল। প্রতিবারই এসব সামগ্রী ব্যবহার করার সময় অবধারিতভাবে আমরা তোমাদের কথা উল্লেখ করতাম। ‘পারুলের ফ্রাইং প্যানটা দাও তো আমাকে,’ বলতেন মা।

কিংবা ‘আমার মনে হয় পারুলের টোস্টারটা এবার আমাদের কাজে লাগানো দরকার।’ ওনারা আরো এনেছিলেন কাপড়চোপড় ভর্তি একটা শপিং ব্যাগ। এসব আমি ব্যবহার করতে পারি বলে ভেবেছিলেন উনি। মূলত এগুলো সবই ছিল তোমার পোশাক।

ব্যাগগুলো নিয়ে একদিকে রেখে দিলেন মা। কয়েক বছর পর, যখন ইনম্যান স্কোয়ার থেকে আমরা উঠে এলাম শ্যারনের একটা বাড়িতে, ওই ব্যাগগুলোও এলো আমাদের সঙ্গে। কাপড়চোপড়গুলোর ঠাঁই হল আমার ওয়ারড্রোবে। ওদের সঙ্গে সঙ্গেই বেড়ে উঠতে লাগলাম আমি। বেশিরভাগই ছিল শীতের পোশাক।

ভারতে এসবের কোনো প্রয়োজন ছিল না তোমার। এর মধ্যে ছিল পুরু টি-শার্ট আর বাদামী-নীল গোলগলা সোয়েটার। এসব জামাকাপড় আমার নিজের কাছে মনে হতো নিতান্ত কুৎসিত। এসব এড়িয়ে যাওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করতাম আমি। কিন্তু কোনোভাবেই রাজি ছিলেন না মা।

সুতরাং জবরদস্তি আমাকে পরতে হত ওইসব পোশাক- বর্ষার দিনে তোমার রাবার বুট। এক শীতে আমাকে পরতে হল তোমার কোট। সেটাকে এতোই ঘৃণা করতাম আমি যে একপর্যায়ে সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ল তোমার ওপর। এটার রঙ ছিল নীল আর কালো, গোলাপি লাইনিং, মাথার দিকে ছোপ ছোপ ধূসর বাদামী। ঠিকভাবে ওটার জিপার লাগানোর কাজটুকুও কোনোদিনই শেখা হয়ে ওঠেনি আমার।

ক্লাসরুমে গোলাপি আর বাদামী রঙা ফোলা জ্যাকেট পরা মেয়েদের মাঝে এই পোশাকে নিজেকে কখনো মানিয়ে নিতে পারিনি আমি। একদিন যখন বাবামাকে বললাম, আমাকে নতুন একটা কোট কিনে দেওয়া যায় কিনা, সরাসরি অস্বীকার করলেন তারা। কোট হচ্ছে কোট, তায় আবার এতো কী।

জিনিসটার হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলাম আমি। মনে মনে চাইতাম হারিয়ে যাক ওটা। কিংবা দিনের শেষে ছোট্ট পরিসরে যেখানে আমাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতাম, সেখানে ভুল করে কাসের কোনো ছেলে নিজের মনে করে নিয়ে যাক ওটা।

কিন্তু মা আমার এতোটাই অগ্রণী যে, তিনি আমার নাম একটা লেবেলে লিখে সেটাই সেঁটে দিলেন আমার কোটের ভিতর, যাতে ওটা হারিয়ে যাবার কোনো আশঙ্কা না থাকে। বুদ্ধিটা তিনি পেয়েছিলেন ‘নিপুণ ঘরকন্না’ নামে একাট পত্রিকার নিয়মিত গ্রাহক হবার সুবাদে।

লেখক পরিচিতি: ঝুম্পা লাহিড়ীর জন্ম ১১ জুলাই ১৯৬৭। ভারতীয় বংশোদ্ভুত যেসব লেখক ইংরেজি ভাষায় লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন, তাদের একজন ঝুম্পা। তিনি ২০০০ সালে মাত্র ৩৩ বয়সে কথাসাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেন। তার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে গল্পগ্রন্থ ‘ইন্টারপ্রেটার অব মেলেডিস’ এবং উপন্যাস ‘দ্য নেমসেক’।


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১


মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×