প্রতিদিনের নতুন নতুন খবরগুলো অবাক করা.....
যেমন......
এক টাকার কয়েন বেচা-কেনা দণ্ডনীয় অপরাধ
এক টাকার সোনালী কয়েনের ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতারণা হতে সাবধান করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সাথে সম্পৃক্ত না থাকতেও দেশবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ ধরনের ধাতব মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় আপরাধ। এছাড়া, এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমপ্রতি দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের ১ (এক) টাকার সোনালী রঙের ধাতবমুদ্রা বিভিন্ন উচ্চমূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এ ধাতব মুদ্রা ১৯৯৮-৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তৈরি করে আনা হয়। মাত্র ৪ গ্রাম ওজনের এ মুদ্রাতে তামার পরিমাণ রয়েছে ৬৯ শতাংশ, দস্তার পরিমাণ ৩০ শতাংশ এবং টিনের পরিমাণ ১ শতাংশ। প্রতিটি মুদ্রার উৎপাদন খরচ হয় মাত্র ৭৮ পয়সা। ধাতুর সংমিশ্রিত অবস্থায় মুদ্রাটির বাজার মূল্য ৭৮ পয়সা থেকে আরো কম হওয়ার কথা। তা সত্ত্বেও এ ধাতব মুদ্রার এত চাহিদা কেন এবং তা উচ্চমূল্যে কেন বিক্রি হচ্ছে তা বোধগম্য নয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে এক টাকা মূল্যমানের এ সোনালী রঙের কয়েন নিয়ে নানা ধরনের গুজব চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ কয়েন ৩৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫শ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও একটি চক্র ৩৫ টাকা থেকে ১শ টাকা পর্যন্ত এ ধাতব মুদ্রা বেচা-কেনা করেছে বলে জানা গেছে। এমনকি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ভবনের সামনে বিভিন্ন মূল্যে এ কয়েন বেচা-কেনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এ কয়েন বেচা-কেনার সাথে সম্পকৃততার দায়ে চট্রগ্রাম, কুমিল্লা ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ জনেরও বেশি গ্রেফতার হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:১১