একটা উদ্ভট মজার কান্ড হয়েছে আজকে । হঠাৎ করেই আমি ৭, না কি ৮ আগে আসে, সে ব্যাপারে তালগোল পাকিয়ে ফেললাম ।
কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আমি পড়শীদের সাথে এই ব্যাপারে আলাপ করতে গেলাম ।
তারা এবং আমি খুবই মজা পেলাম যখন বুঝতে পারলাম আমার পড়শীরাও ৭, না কি ৮ আগে আসে, সে ব্যাপারে তালগোল পাকিয়ে ফেলছে ।
তারা গুনল - ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ...; তার পরেই আবার তালগোল পাকিয়ে ফেলল ।
তারপর আমরা জেনামেন্সকায়া আর বাসিইনিয়া সড়কের কোনায় যে দোকানটা আছে, সে দোকানের খজাঞ্চি মহাশয়ার কাছে গেলাম আমাদের সমস্যা নিয়ে পরামর্শ করতে । খজাঞ্চি মহাশয়া একটু মলিন ভাবে হেসে তার মুখের ভেতর থেকে ছোট্ট হাতুড়িটা বের করে নাকটা সামনে পেছনে কিঞ্চিত নাড়িয়ে বল্লেনঃ
- আমার মনে হয় ৭, ৮ এর আগে আসবে, কেবল মাত্র তখনই, যখন ৮, ৭ এর পরে আসবে ।
আমরা খজাঞ্চি মহাশয়াকে ধন্যবাদ দিয়ে খুশী মনে দোকান থেকে বের হয়ে আসলাম । কিন্তু আমরা বিষণ্ন হয়ে পড়লাম যখন বুঝতে পারলাম খাজাঞ্চি মহাশয়ার মতামতখানা অর্থহীন ফাঁকা বুলি ।
আমরা আর কি করতে পারি? বিহবল হয়ে গ্রীষ্মকালীন বাগানে যেয়ে গাছ গুনতে শুরু করলাম । কিন্তু ছয়টা গাছ গুনে শেষ করার পর আমরা গুনতে পারলাম না । তুমুল বচসা শুরু হয়ে গেল; কেউ বিদন্ধ মতামত দিল, এর পরের গাছটা ৭ নাম্বার গাছ, আবার কেউ তখনই বললো - নাহ! পরেরটা ৮ নাম্বার গাছ ।
অনেক যুক্তি তক্কো হল - কিন্তু পরিস্কার সৌভাগ্যের ব্যাপারই বলতে হবে - একটা মানুষের বাচ্চা বেঞ্চি থেকে পড়ে গিয়ে তার দুটো চোয়ালই ভেংগে ফেলল । এ ঘটনার পরে আমরা বচসার মনযোগ আর উদ্দীপনা দুটোই হারালাম ।
এবং তারপর আমরা সবাই বাড়ি চলে আসলাম ।