somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সনেট

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দানিয়েল শার্মস (Daniil Kharms) জন্ম নেন ১৯০৫ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরে । তার লেখার দর্শনীয় বিশেষত্ব হল পরাবাস্তবতা আর উদ্ভটত্ব । শার্মসের সাহিত্যে তার বিশৃংখল ও অনিশ্চিত মনোজগতের পরিচয় ধরা পড়ে । তার অধিকাংশ গল্পের চরিত্র ক্ষ্যাপা ধরনের, তাদেরকে বেয়াক্কেলের মতো একই কাজ বার বার করতে দেখা যায় । বেশিরভাগ গল্পই যেন বাস্তববিচ্ছিন্ন কোন আবোল তাবোল স্বপ্নের বয়ান । আপাত দৃষ্টিতে, আমাদের দেখা বাস্তববিচ্ছিন্ন উদ্ভট স্বপ্নগুলোর জটিল মনঃস্তাত্বিক তদন্তের পরে যেমন তাদের তল পাওয়া সম্ভব, সম্ভবত সেভাবেই শার্মসের গল্পগুলোরও সুগভীর অর্থপূর্ণতা আবিস্কার করা যাবে ।

একটা উদ্ভট মজার কান্ড হয়েছে আজকে । হঠাৎ করেই আমি ৭, না কি ৮ আগে আসে, সে ব্যাপারে তালগোল পাকিয়ে ফেললাম ।
কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আমি পড়শীদের সাথে এই ব্যাপারে আলাপ করতে গেলাম ।
তারা এবং আমি খুবই মজা পেলাম যখন বুঝতে পারলাম আমার পড়শীরাও ৭, না কি ৮ আগে আসে, সে ব্যাপারে তালগোল পাকিয়ে ফেলছে ।
তারা গুনল - ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ...; তার পরেই আবার তালগোল পাকিয়ে ফেলল ।
তারপর আমরা জেনামেন্সকায়া আর বাসিইনিয়া সড়কের কোনায় যে দোকানটা আছে, সে দোকানের খজাঞ্চি মহাশয়ার কাছে গেলাম আমাদের সমস্যা নিয়ে পরামর্শ করতে । খজাঞ্চি মহাশয়া একটু মলিন ভাবে হেসে তার মুখের ভেতর থেকে ছোট্ট হাতুড়িটা বের করে নাকটা সামনে পেছনে কিঞ্চিত নাড়িয়ে বল্লেনঃ
- আমার মনে হয় ৭, ৮ এর আগে আসবে, কেবল মাত্র তখনই, যখন ৮, ৭ এর পরে আসবে ।
আমরা খজাঞ্চি মহাশয়াকে ধন্যবাদ দিয়ে খুশী মনে দোকান থেকে বের হয়ে আসলাম । কিন্তু আমরা বিষণ্ন হয়ে পড়লাম যখন বুঝতে পারলাম খাজাঞ্চি মহাশয়ার মতামতখানা অর্থহীন ফাঁকা বুলি ।
আমরা আর কি করতে পারি? বিহবল হয়ে গ্রীষ্মকালীন বাগানে যেয়ে গাছ গুনতে শুরু করলাম । কিন্তু ছয়টা গাছ গুনে শেষ করার পর আমরা গুনতে পারলাম না । তুমুল বচসা শুরু হয়ে গেল; কেউ বিদন্ধ মতামত দিল, এর পরের গাছটা ৭ নাম্বার গাছ, আবার কেউ তখনই বললো - নাহ! পরেরটা ৮ নাম্বার গাছ ।
অনেক যুক্তি তক্কো হল - কিন্তু পরিস্কার সৌভাগ্যের ব্যাপারই বলতে হবে - একটা মানুষের বাচ্চা বেঞ্চি থেকে পড়ে গিয়ে তার দুটো চোয়ালই ভেংগে ফেলল । এ ঘটনার পরে আমরা বচসার মনযোগ আর উদ্দীপনা দুটোই হারালাম ।
এবং তারপর আমরা সবাই বাড়ি চলে আসলাম ।

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এনসিপিকে আমাদের দেশের তরুণ-যুবা'রা ক্ষমতায় দেখতে চায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১২:৪৫

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে পাড়া-মহল্লায় জনতার আদালত গঠনের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি তথা এনসিপি। দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল 'ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ' তথা চর মোনাইয়ের পীর সাহেবের দল এনসিপিকে আগে থেকেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাতৃ ভাণ্ডার

লিখেছেন ঠাকুরমাহমুদ, ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৩:২৬



আমাদের দেশে মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া বিরল ব্যাপার। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে যারা যাতায়াত করেন মাতৃ ভাণ্ডারের সাথে পরিচিত নন এমন মানুষও মনে হয় খুব বেশি নেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এনসিপি জামায়াতের শাখা, এই ভুল ধারণা ত্যাগ করতে হবে

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

প্রিয় রাজীব ভাই,
আপনি আমার আগের পোস্টে কমেন্ট করেছেন যে, এনসিপি জামায়াতের শাখা। আপনার এনালাইসিস ভুল! ওরা জামায়াতের শাখা নয়। এনসিপি-কে বুঝতে হলে, আপনাকে জামায়াতকে জানতে হবে। আমি একটু বিস্তারিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৩ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

ছবি কৃতজ্ঞতা এআই।

ভূমিকা

নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা ইতিহাসের এক দীর্ঘ অধ্যায়। পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন শুরু হয় ১৮শ শতকের শেষভাগে, যার ফলশ্রুতিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি স্মার্ট জাতির অন্তঃসারশূন্য আত্মজৈবনিক !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪


একটা সময় ছিল, যখন জাতির ভবিষ্যৎ বলতে বোঝানো হতো এমন এক শ্রেণিকে, যারা বই পড়ে, প্রশ্ন তোলে, বিতর্কে অংশ নেয়, আর চিন্তা করে। এখন জাতির ভবিষ্যৎ মানে—ইনফ্লুয়েন্সার। তারা সকাল ১০টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×