অতীত বর্তমান হয়ে সময় চলেছে ভবিষ্যতের দিকে যেন একমুখী প্রবাহ। আর সেই প্রবাহের অভিঘাতেই এল ১৬৮৭ সাল। প্রকাশিত হল স্যার আইজ্যাক নিউটনের বিখ্যাত গ্রন্থ “Principia”। নিউটন তার গ্রন্থে গতিসুত্রের প্রেক্ষাপটে লিখলেন “Absolute, true and mathematical time of itself and from its own nature, flows equally with relation to everything external”
(চরম প্রকৃত এক গানিতিক সময় তার অন্তর্নিহিত ধর্মানুযায়ী বাহ্যিক অন্য সব কিছুর প্রস্তাব মুক্ত হয়ে সমমানে বয়ে চলে])
এই সুত্র অ্যারিস্টটল থেকে নিউটন সকলই মেনে নিয়েছিলেন, মেনে নিয়েছিলেন যে সময় নির্দেশতন্ত্র সাপেক্ষ নয়। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে যে নির্দেশতন্ত্র কী?
ধরা যাক,
একটি ট্রেন সমবেগে চলছে। ট্রেনের মধ্যস্থিত এক যাত্রী একটি বল নিয়ে লোফালুফি করছেন। ট্রেনের যাত্রীর সাপেক্ষ বলটি সোজা উঠে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে স্থির হয় এবং পুনরায় নিচের দিকে হাতে চলে আসে। কিন্তু ট্রেনের বাইরে থাকা দর্শক কী ঘটনা দেখেন? ট্রেনটি ততক্ষণে A স্থান থেকে B স্থানে চলে গেছে। ফলে ট্রেনের যাত্রীর সাপেক্ষে বলের প্রাথমিক অবস্থান ও অন্তিম অবস্থান একই। অথচ, বাইরের দর্শকের কাছে বলটির প্রাথমিক অবস্থান A এবং অন্তিম অবস্থান B । কারণ, বাইরের দর্শকের সাপেক্ষে বলটির ঊর্ধ্বমুখি গতির সাথে অনুভূমিক গতিও বিবেচ্য। তাই ট্রেনের যাত্রী যখন বলটিকে সরলরইখিক পথে যাতায়াত করতে দেখেন, তখন বাইরের দর্শকের ক্যাচে বলের সঞ্চার পথ হয় অর্ধবৃত্ত।
( চিত্র – ১)
তাহলে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘটনা সম্পর্কে দুটি সিদ্ধান্তএ আসা যায়। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতেই বিজ্ঞানীগন তাই আনলেন নির্দেশতন্ত্র সম্পর্কিত ধারনা। আসলে এখানে গতিশীল ট্রেন ও ভূপৃষ্ঠে দুটি গতিপথও হয়ে পরে ভিন্ন স্বাভাবিকভাবেই।
(চলবে)
ভালো লাগলে রেট দেবেন
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:১০