স্বপ্নের অশ্বারোহী
দূরন্ত ইচ্ছেতে ঘুরে বেড়াই, নন্দ কাননে
তাম্রলিপি থেকে অহিছত্র
পুন্ড্রবর্ধন থেকে উজ্জয়িনী, স্বপ্ন সময়ের নন্দদুলাল।
আমাদের শেকড়
বাংলার আদি সাম্রাজ্যে যেন
পতপত ওড়ে পতাকা সবুজ-লাল,
মিলেনিয়াম নন্দ ডাইনাস্টির স্বপ্ন সারথীর স্বপ্নরথে
চম্পা থেকে বৈশালী
শ্রাবস্তি থেকে মাথুরা মায়া আঁকে
প্রেয়সির কাজল চোখের স্বপ্নের মতো;
ভারুকাচ্ছা থেকে বিদিশার দিশারী পথে।
রাজাগিরা থেকে পাটালিপুত্র
রথ চলে অবিরাম
কুন্দিনার মোহ মায়ায় ছূটি
বারানস থেকে কৌসম্বের পথে -
পূর্বে বাংলা, পশ্চিমে পাঞ্জাব
দক্ষিণে বিন্ধ্যা পর্বতমালা
সম্পদ, সমৃদ্ধি, সঙ্গম সংস্কৃতির ঐতিহ্য
নন্দের উদাসী যুবক ’নন্দদুলাল’ উপমালংকার গেথে;
মহাপদ্ম নন্দ (উগ্রসেনা), পান্দুকা, পান্দুগাতি,
ভুটাপালা , রাষ্ট্রপালা,
গোবিশানকা , দশাশিদ্ধকা , কৈবর্ত
ধন নন্দ (আগ্রামিস) শাসকেরা অবাক চেয়ে আপনাপানে;
মহা স্বপ্ন সারথী, চালায় স্বপ্ন রথ
বাংলা থেকে প্রাচীন নন্দ- স্বপ্নের শেকড় সন্ধানে।।
নোট:
[ নন্দ সাম্রাজ্য ছিল প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় যুগ। খ্রিস্টপূর্ব ৩৪৫–খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ সাল অব্দি এই সাম্রাজ্যের সময়কাল। এই যুগে বাংলার শক্তিমত্তা ও প্রাচুর্য শীর্ষে আরোহণ করে। এই যুগে বাংলা সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। নন্দ রাজাদের জন্ম হয়েছিল বাংলায়। তারা বাংলা থেকে মগধ (বিহার) দখল করে এবং উভয় রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গ-মগধ নামে একটি নতুন সাম্রাজ্যের পত্তন করে। প্রাচীণ গ্রীক ইতিহাসে বাংলাকে গঙ্গারিডাই এবং মগধকে প্রাসি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রীক ইতিহাসে এই সংযুক্ত রাজ্যকে গঙ্গারিডাই ও প্রাসি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নন্দ রাজাগণ ছিলেন জৈন ধর্মের অনুসারী। এবং তারা ছিলেন জৈন ধর্মের আজীবিক শাখার অনুসারী।
মহাপদ্ম নন্দ (উগ্রসেনা), পান্দুকা, পান্দুগাতি, ভুটাপালা , রাষ্ট্রপালা, গোবিশানকা , দশাশিদ্ধকা , কৈবর্ত, ধন নন্দ (আগ্রামিস) নন্দের শাসকবৃন্দ।
মহাপদ্ম নন্দ ছিলেন নন্দ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট। তিনি সমগ্র ভারতবর্ষ ব্যাপী ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি কোশল (উত্তর প্রদেশ), কুরু (পূর্ব পাঞ্জাব), মৎস্য (রাজপুতানা), চেদী (মধ্য প্রদেশ ও বিহারের মধ্যস্থিত জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল),অবন্তী (মধ্য প্রদেশ) প্রভৃতি অঞ্চল জয় করেন। দিগ্বিজয়ার্থে মহাপদ্ম এক বিশাল সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করেন। তৎকালীন ইতিহাস অনুসারে মহাপদ্মের অধীনে ২,০০,০০০ পদাতিক, ২০,০০০ অশ্বারোহী, ৪,০০০ যুদ্ধরথ ও ২,০০০ হস্তীবাহিনী ছিল। মতান্তরে তার নিকট ২,০০,০০০ পদাতিক, ৮০,০০০ অশ্বারোহী, ৮,০০০ যুদ্ধরথ ও ৬,০০০ হস্তীবাহিনী ছিল।]
ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল
তথ্য সূত্র : নন্দ সাম্রাজ্য
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২