@ আনিসুলের উপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিলেন হানিফ ও কামাল মজুমদার - See more at: Click This Link
সারাংশ..
শেখ আবু তালেব, ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ব্যবসায়ী আনিসুল হককে বিজয়ী করতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়ে ফের গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি আনিসুল হককে বিজয়ী করতে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। আর এ বৈঠকে মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক নিজেও উপস্থিত ছিলেন। একাধিক সূত্র এ তথ্য শীর্ষ নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে অংশ নেয়া এক শিক্ষক (যিনি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা) জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হককে বিজয়ী করতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ। পাশাপাশি শুধু নির্বাচনের দিনই নয়, আনিসুল হককে বিজয়ী করতে পরিবারের অন্য সদসদ্যের ভোট দিতে বলেছেন দেয়াল ঘড়ি মার্কায়। বৈঠকে সংসদ সদস্য কামাল মজুমদারও বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
আজকের বৈঠকে অংশ নেন ঢাকা সিটি উত্তরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা। যাদের মধ্যে অনেকেই এ সিটিতে বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
@ আনিসুলকে বিজয়ী করতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিলেন এমপি আসলাম - See more at: Click This Link
শীর্ষ নিউজ ডটকম, ঢাকা : ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হককে বিজয়ী করতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার) নিয়ে গোপন বৈঠক করলেন ঢাকা-১৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক। তার আসনের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে যারা ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নিয়ে এ বৈঠক করা হয়। এসময় তিনি কর্মকর্তাদের আনিসুলের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা গাবতলীর মিরপুর মাজার রোডের একটি বাড়িতে এ বৈঠক করেন করেন বলে জানা গেছে। বৈঠকের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য সকাল থেকেই মিরপুর কলেজ ছাত্রলীগের একটি দল পুরো এলাকা পাহারা দিয়ে রাখে।
বৈঠকে অংশ নেয়া কয়েকজন শিক্ষক (যারা প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন) জানান, আমরা এ এলাকার কয়েকটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক। আমাদের দায়িত্ব এ এলাকায় পড়েনি। এর মধ্যে একজনের মিরপুরের পল্লবীতে, একজনের মিরপুর-১ এবং অন্যজনের দায়িত্ব পড়েছে মিরপুর সেকশন-১ এর একটি কেন্দ্রে। তারা জানান, ‘আসলে স্থানীয় এমপি ডেকেছেন, তাই যেতে হয়েছে।’
@নির্দেশনা মানছে না ক্ষমতাসীনরা : অসহায় ইসি
আরিফুল ইসলাম, ঢাকা : নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন, লোকবল চেয়ে জাতীয় সংসদের কাছে চিঠি থেকে শুরু করে বিধি লঙ্ঘন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদন কোনটিতেই ক্ষমতাসীনদের সাথে পেরে উঠছেনা ইসি। তারা মূলত সরকারের কছে অসহায়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের অধিকাংশ কর্মকর্তা মনে করছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও ইসি তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ইসি’র কারণ দর্শানো নোটিশের মধ্যেই আটকে রয়েছে।
ইসি ক্ষমতাসীনদের কাছে কতটা অসহায় তা চট্টগ্রামে সরকার দলীয় দুই মন্ত্রীর আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগের বিষয়টি দেখলেই বোঝা যায়। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইসি কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারেনি। - See more at: Click This Link
@ সেনা মোতায়েন হলেও ক্ষমতা দিচ্ছে না ইসি
আরিফুল ইসলাম, ঢাকা : নানা জল্পনা-কল্পনার পর ঢাকা উত্তর দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম তিন সিটি নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হলেও ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে পরিচালনা করতে ইসির যতটুকু ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দেওয়া দরকার তার কিছুই পাবেনা সেনাবাহিনী ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী মোতায়নের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনাররা পক্ষে বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে উত্তেজনাও চলছিল। সর্বশেষ এক কমিশনার সিইসিকে বলেছিলেন সেনাবাহিনীর দাবি যখন উঠেছে, তাহলে দিয়ে দেন। আর সেনাবাহিনী দিলে সমস্যা কি? তাদের দরকার লাগলে ডাকা হবে না লাগলে তারা ব্যাটেলিয়নে থাকবে।
সূত্র আরো জানায়, সেনাবাহিনী থাকলে দেশের সাধারণ মানুষ আস্থা পায়। তাদের উপস্থিতে মানুষ প্রতিকুলতার ভেতর দিয়েও ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে আসে। কিন্তু নিজ সমর্থিত প্রার্থীর প্রচারণাই এসে হামলার শিকার হওয়া, আশুলিয়ায় দিনে দুপুরে মানুষ হত্যা করে ব্যাংক ডাকাতি, ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ থেকে শুরু করে বর্তমানে নির্বাচনের আগে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তারপর কেন ইসি সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতাসহ মাঠে নামাবে না এনিয়ে ইসির অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ চলছে। - See more at: Click This Link
@ প্রচারণা থেকে সরানোই টার্গেট!
হামলা করেও দমানো যাচ্ছেনা খালেদা জিয়াকে
শীর্ষ নিউজ ডটকম, ঢাকা : দফায় দফায় হামলা করেও দমানো যাচ্ছেনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। গত সোমবার থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপর সিরিজ হামলা চালাচ্ছে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু এতেও থামছেন না তিনি। সর্বশেষ আজ বুধবার বিকেলে বাংলামোটর এলাকায় তার ওপর হামলার পর আগামী দিন বৃহস্পতিবার আবারও প্রচারণা চালাবেন বলে রাতেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
এর আগে সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইতে গত ১৮ এপ্রিল থেকে মাঠে নেমেছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দু’দিন পর ২০, ২১ ও ২২ এপ্রিল পরপর তিন দিনই সরকার দলীয় ক্যাডারদের হামলার শিকার হন তিনি। বাংলাদেশের তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সরকার বিরোধী সর্ববৃহৎ জোটের শীর্ষ নেতার উপর হামলার পর এর উদ্দেশ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। হামলার পর প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া বক্তব্য জনগণকে হতাশ করেছেন। অথচ বেগম খালেদা জিয়ার উপর হামলাকারীদের কেউ কেউ গণমাধ্যমের কাছে এর দায় স্বীকার করেছেন। এরপরও হামলাকারীদের গ্রেফতারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় জনগণের সন্দেহের দৃষ্টি সরকারের দিকেই রয়েছে। - See more at: Click This Link
শীরোনাম আর খবর থেকে কি প্রতীয়মান হয়?
২৮ তারিখ সুস্ঠ ভোট হবার আশা তিরোহিত নয় কি? অবশ্য অনির্বাচিত সরকার আর তার থেকে নির্বাচনের আশাই বাতুলতা মাত্র। তারপরও বিএনপির টানা আন্দোলন ঠেকাতে এবং তাদের অনুপস্থিতির সুযোগ আশা করে তড়িঘড়ি প্রায় ১ যুগ পর সিটি নির্বাচনের নেমে পড় সরকার। কিন্তু বিএনপি নিবৃাচনে আসায় যেন বিপাকে পড়ে যায়! আর নগ্ন ভাবে গণতন্ত্র, বিবেক, জনগনের প্রতি অনাস্থা নিয়ে নোংরা মৌখিক আক্রমনের পাশাপাশি সরাসরি হামলায়ও নেমে পড়ে। আর ঠুটো জগন্নাথ ইসি হামলার বিচার না করে উল্টো খালেদাকে নির্ভাচনী প্রচার ঠেকাতে দ্রুত একশনে নেমে পড়ে!
এই নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সুস্ঠু স্বাভাবিক ভোট আশা করা বাতুলতা নয় কি? শেষ ভরসা সেনাবাহিনী নিয়ে যে নাটক তাতে জনতার রায়ের প্রতিফলনের আশা দুরাশা নয় কি???
শেষ গন্তব্য কোথায় ? গনতন্ত্রের কবর রচেই কি সরকার টিকে থাকতে মরিয়া! তার পরিণতি কি? জনরায় কি উপেক্ষিতই থাকবে???