চল্লিশ বছর পর-
এখনো অবরুদ্ধতা!
এখনো লড়তে হয়?
এখনো স্বৈরাচার কাঁধে!
এখনো মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিত্যত।
একাত্তর কি কেবলই সিংহাসন বদলের লড়াই?!
তবে কেন আজো মসনদে পাকি প্রেতাত্মা!
জনরায়কে বৃদ্ধঙ্গুলি দেখীয়ে ভুট্টোর মতোন
আজো কেন নিষ্পেষন-স্বজাতিকে?
মেজরিটি মাষ্ট বিগ্রান্টেড!
পাচ অনুপাত পচানব্বইয়ে এ কোন পরাজয়???
সরকারই উভয় দিকে-এদিক, ওদিকে
সারকারী বিরোধীদলের নতুন সংজ্ঞায়ন
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা বদল-এ কোন আত্ম শ্লাঘা
নাকি অত্মভরিতা! নাকি আত্মহত্যার পথে রাজনীতি!!!
গণতন্ত্র, মানবাধীকার, উন্নয়ন: দলীয় মোড়কে
বৃত্তাবদ্ধ। গালভরা বুলি হয়ে উপহাস করে!
খেটে খাওয়া মানুষ জানে, বাস্তবতা!
এসবের কি মানে?!
ক্রশফায়ার কিংবা গুম না হলে
চৌদ্দ পুরুষের পূণ্যফল ভেবে তুষ্ট জীবন!
চলার স্বাভাবিক গতিহীন জীবনে
চলতে পারলেই কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়ে আভুমি!
অথচ এগুলো নূন্যতম ছিল তার-অধিকার
আজ চল্লিশ বছর পর
আবারও হায়েনারা আড়াইশ বছরের
পুরনো রীতিতে শাসনের জন্যই ভাগ করে!
পদে পদে, প্রতিটি ক্ষেত্রে-ঐক্যের মূলমন্ত্রকে হত্যা করে।
আমারও নিহত হই। জ্ঞানের আপেক্ষিক সত্য দর্শনে
চলমানতায়, অর্ধবৃত্তাবদ্ধ- পূর্ণ বৃত্তের স্বপ্ন ভূলে!!!
আরেকটি লড়াই কি তবে অবশ্যম্ভাবী!
প্রকৃত মুক্তির! মানবতার!
ভোটের! ভাতের! উন্নয়েনর,
স্বাভাবিক বেঁচে থাকার!
স্বাভাবিক চলার, বলার, অধিকারের;
স্ব-দেশ আর স্ব-জাত্য বোধে
মাথা উচু করে বাঁচবার মুক্তিযুদ্ধ!!