গলায় সোনার ম্যডেলটা ঝুলাইয়া বেশতো দেখি ভালাই আছেন।
গেল বছর আপনে আমারে নিয়া কি জানি কবিতা লিখলেন, অসীম কাব্য পতিভা আপনের।
আপনের কলমের খোঁচায়, খোঁচাইয়া খোঁচাইয়া লেখলেন আমার কথা।
আপনাদের পুরুষ সমাজে আমিতো কিছুই চাইনি,
তবু কেন মাঝরাতে ক্ষত বিক্ষত করে আপনারা কি যে মজা পেলেন?
জেলখানায় নালিশ নিয়ে গেলে তারা আমাকে হাজতে রাখলেন,
মাঝরাতে সেপাই নিয়ে গেল, পরের দিনও, তার পরের দিনও।
আমি চুপ করে আপনাগো তামাশা দেখলাম।
পরে আমাকে বাহির করে নিয়ে এল, নারীবাদি নেত্রীরা, বিশাল গাড়িতে করে আমাকে নিয়ে এল,প্রেস ক্লাবে।
অনেক কথা হল,
আমি ক্যবল শুনলাম আপনাগো তামাশার কথা।
বাড়িতে ফিরা আইলে আবার ত্যানারা আইলেন,
ফটো তুলনের লাইগা।
ছবি তুলব ভাইব্যা ভাল দেইখা একটা শাড়ি নিয়া আইলাম,
বকুলির মায়ের কাছ থাইকা।
তা, আপনারা বল্লেন
সেই সময়কার সেই শাড়িটাই নাকি পড়তে হবে!
একটা নারী হয়ে ক্যামন করে সেই শাড়িটা আবার পড়ি,
বলতে পারেন?
ছোপ ছোপ রক্তের ছাপ আপনাদের যৌনক্ষুধা মিটালেও,
আমারে তা সারাজীবন সন্মানের ভুখা রাইখা দিব।
আপনে কবি মানুষ, আমার কবিতা লেইখা আপনে ম্যাডেল পাইছেন,
তাই ভাবলাম আপনে বুঝবেন আমার কথা.........
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৭