নতুন করে লিখতে শুরু করেছি আবার । ‘আবার’ বললাম একারণে যে, দীর্ঘ বিরতীর পর শুরু করেছি। একসময় ভাবতাম, চেতনার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে বয়ান করবো জাগতিক ঘটমানতা। অর্থাৎ উচ্চতম চেতনার ধারক হয়ে জগতকে দেখবো, দেখবো অতিমানস চেতনার পর্যায় থেকে মানবিকতাকে। কিন্তু হায়! অতিমানস চেতনার ধারক হতে গেলে নিজ চেতনার মধ্যে যে গুনগত পরিবর্তন প্রয়োজন তা করবার মতো শক্তি আমার নেই। লক্ষ্য করে দেখলাম আমার মতো এতো বড় আত্মপ্রতারকও আর দ্বীতিয়টি নেই। কী যে চাই তারই কোন ঠিক-ঠিকানা নেই! কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাতসর্যের মতো ষড় রিপু ভীষণ জাগ্রত। আমি যে নাদাল মানুষ, প্রতি মুহুর্তে যার পরীক্ষা চলে! এতো এতো লোভ, এতো এতো কামনার বাতাস প্রতিমুহুর্তে আমাকে কেবল অন্ধ করে দেয়! ভুলে যাই দিকের নিশানা। কী করে লিখি? এইসব ভাবতে ভাবতে আমার আর লেখা হয়না। যখনই লিখবো ভাবি, দেখি আমি ডুবে আছি জাগতিক এক অন্ধকুপে। অথবা যা লিখবো ভাবি, তা এই জগতেরই কথা। তাহলে জাগতের অন্ধকুপে ডুবে থেকে জাগতিক কথা লিখলে আমার গন্তব্যে পৌঁছাবো কি করে? এই ভেবে ভেবে আমার আর লেখা হতো না। অথচ প্রতিমুহুর্তে একধরণের যন্ত্রনায় ছটফট করতাম- না পারার বেদনায়; কিছু হারাবার বেদনায়।
দেখলাম জগতে বাস করে অতিজাগতিক কথা বলাটা খুব দূরহ। কারণ আমার পরিপার্শ্ব জগৎ দ্বারা পরিপূর্ন। আর আমি প্রমি মুহুর্তে এসবকিছুর দ্বারাই প্রভাবিত।
শেষ-মেষ ঠিক করেছি লিখবো হোক তা জগতের কথা, হোক অতিজাগতিক কথা। আরে ভাই, মহাকালের ভান্ডারে কর্ম ছাড়া টিকবেটা কী!
তাই, লিখছি। মন্দ করে মন্দ কথা!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:২৭