১. উত্তর কোরিয়ায় অনেক বছর আগে গণতন্ত্র ছিল। তখন ভোট দিয়ে পছন্দের দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা যেত। যদিও কারচুপিও হত কম বেশী। তবে জনগণ রায় মেনে নিত। যাই হোক, তখন হরতাল, অবরোধ খুব কঠোর হত। এক দল, আরেক দলকে সৎ ভাইয়ের মত দেখত। ক্যাম্পাসে প্রায়ই মারামারি হত। এসব দেখে সুপ্রীম লিডার কিম জং উন-এর খুব চিন্তা হত। তিনি চিন্তা করলেন, কেমন হবে যদি গণতন্ত্রই না থাকে! মানে নামে থাকবে গণতন্ত্র, কিন্তু ভেতরে ভেতরে চলবে এক দলের শাসন...
২. তেনার চিন্তার ফসল থেকেই তিনি দেশ চালানোর সময় ভিন্নমতকে কঠোর ভাবে দমন করতে থাকেন। তেনাকে সমর্থন দেয়ার সব ম্যাকানিজম যথা বিচার বিভাগ, পুলিশ, আর্মি, আমলা, ব্যবসায়ী সব ক্ষেত্রে তিনি নিজের লোকদেরই বসান। যার ফলে ১৫ বছর ধরে দেশে এক রকম শান্তিই বিরাজ করছে…
৩. হরতাল কেউ মানে না, অবরোধ কেউ মানে না। ক্যাম্পাসে মারামারি নেই। সাথে আছে উন্নয়ন, উন্নয়ন, উন্নয়ন। ভালই চলছিল সব। দীর্ঘদিন কোন চ্যালেঞ্জ না ঠেকাতে ঠেকাতে কিম জং উন-ও নিজেকে নির্ভার মনে করতেন। সেই সাথে তেনার দলের নেতা কর্মীরাও বিপক্ষ দলের কাউকে আর হুমকি মনে করতেন না…
৪. কিন্তু সব উলট পালট হয়ে যায় কিছু প্রতিবাদী ছাত্রের মৃত্যুর পর। তাদের সাথে বিপক্ষ দলের লোকরাই হোক, স্যাবোটাজ ওয়ালারাই হোক, প্রতিশোধ পরায়ণ ছাত্র জনতাই হোক যোগ দেয়াতে কিম জং উন-এর হিসাব ভুল হতে শুরু করে। নিজ দলের ছাত্র নেতারা তো মার খাওয়া শুরু করেছেই, তার সাথে বড় নেতা, বুদ্ধিজীবি সব গর্তে লুকালো। অবস্থা বেগতিক দেখে কিম জং উন আর তেনার নেতারা ছাত্রদের সব দাবী মেনে নিল। তবে দেশের অবস্থা যাতে আরো খারাপের দিকে না যায়, সেজন্য কারফিউ দিল আর ইন্টারনেট বন্ধ করে দিল। খুবই বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত। প্রায় ১ সপ্তাহ পর ইন্টারনেট ফেরত এল। এখন সব স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে…
(লেখাটি ৫ আগস্টের ৩/৪ দিন আগে লিখেছিলাম। কিন্তু ভয়ে পোস্ট করিনি)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬