১. ধর্মভীরু পরিবারের সন্তান হিসেবে ছোটবেলা থেকেই ইসলামের বেসিক প্র্যাকটিস গুলো পালন করা শুরু হয়। যদিও কট্টর পরিবার ছিল না। কিশোর জীবনে আমার মনে হত, দুনিয়ার সবচেয়ে নিষ্পাপ/ভাল মানুষ হল মসজিদের ইমাম এবং তার পর মুয়াজ্জিন। কারণ, তাদের ক্রাইটেরিয়া বাই ডিফল্ট তাদের বাধ্য করবে নিষ্পাপ থাকতে…
২. ইমাম/মুয়াজ্জিনের পর আমার কাছে ভাল মানুষ মনে হত দাড়িওয়ালা নামাজিদের। ঐ বয়সের কমন সেন্স কী বলে? আমরা যারা ঐ বয়সে অপেক্ষা করতাম বুড়ো হলে দাড়ি রাখব, অথচ ঐ লোকগুলো পাঞ্জাবী পরে না, প্যান্ট টাখনুর উপর রাখে না কিন্তু নামাজ পড়ে এবং দাড়ি রাখে। নিশ্চয়ই তারাও ক্রাইটেরিয়ার ফিল্টারে ভাল মানুষ হতে বাধ্য…
৩. ঘরে পত্রিকা রাখা হত নিয়মিত। আরেকটু বড় হতে হতে পত্রিকা মারফতে জানতে পারতাম খুন, ধর্ষণ, বলাৎকার, পরকীয়া, চুরি, ঘুষ দুর্নীতি সব কিছুতেই ইমাম/মুয়াজ্জিন/দাড়িওয়ালাদের কেউ কেউ জড়িত থাকে। মনকে বোঝাতাম এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। মনে পড়ত কলেজের এক স্যারের কথা, তিনি বলতেন, নবীজীর (সাঃ) আমলেও চোর, বদমাইশ ছিল…
৪. কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর প্রবাসে গেলাম, বিয়ে করলাম, দেশেও চাকুরি করছি এখন। জীবনের অভিজ্ঞতা এখন ব্যপক। কিন্তু ভাল খারাপের মানদন্ড ঐ এক জায়গাতেই থমকে আছে। নামাজ/দাড়ি। এখনও আমি নামাজীদের সহজে বিশ্বাস করি, এখনও আমি কোন কোন নামাজীকে ধার দিয়ে পস্তাই, নামাজী পুলিশ, তিতাস কর্মকর্তা, ভ্যাট অফিসার, কাস্টমস অফিসার দেখলে মনে করি উনি আর সবার মত না…
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৯