১. পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য অনুযায়ী উনি মায়ের মৃত্যুর পর ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। উনাকে সবাই সব সময় চোখে চোখে রাখত। তিনিও সেদিন স্বাভাবিক আচরণ করেই রুমে গিয়ে আত্মহত্যা করেন। উনার ভাই শিবলীর মতে মায়ের মৃত্যু ছাড়াও উনার মধ্যে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার না পাওয়াতে ক্ষোভ অভিমান ছিল। তাই এই পথ বেছে নিয়েছেন তিনি...
২. মিডিয়া ও সাংঘাতিকরা এই কথার সূত্র ধরে, এমনভাবে এই আত্মহত্যাকে মহান করে চলেছে যে, মনে হচ্ছে তেনারা (সাংঘাতিক) চান ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা অন্য কেউ ঘটাক। কেউ বলছে, স্বেচ্ছা বরণ, কেউ বলছে স্বেচ্ছা মৃত্যু, কেউ বলছে অভিমানী। প্রথম আলো, বিডি নিউজ সহ অনেক মিডিয়া ‘আত্মহত্যা’ শব্দটা ব্যবহার করেনি...
৩. কোন সমাজে যত বড় মহান, বিদ্বান, সেলিব্রিটি, ভিআইপি-ই হোক না কেন, আত্মহত্যার মত ব্যপারকে প্রমোট করা যাবে না। এটাকে সর্বশেষ সমাধান ধরা যাবে না। এই সুন্দর পৃথিবী ছাড়ার সিদ্ধান্তকে সম্মান করা যাবে না। এটাকে বেকুবী বলেই প্রতিষ্ঠিত করতে হবে...
৪. একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক দেয়ার জন্য সার্চ কমিটিকে এখন তেলবাজি, লবিংবাজি না করে অভিমানী ব্যক্তিত্বদের খুঁজে বের করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, ঘোষণা দেয়া হোক, কোন কোন শিল্পী/ব্যক্তিত্ব বেঁচে আছেন অভিমান নিয়ে আমাদের জানান। পরের বছরেই তা দিয়ে দেয়া হোক। কারণ, সিরিয়ালি দিতে গেলে সবাই ততদিন বাঁচবেন না। উনার মত বঞ্চিত শিল্পীদের সংখ্যাও অনেক। ততদিনে অন্য কেউ দুর্ঘটনা ঘটাতে পারেন...
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪