১. আমি বাস, ট্রেনে চেষ্টা করি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতে। কত বিচিত্র রকমের মানুষ এই সমাজে বাস করে। আমি নিজেও কোন না কোন প্রকারেরই মানুষ অন্যদের চোখে। কিছু যাত্রী আছে, কন্ডাক্টর ভাড়া চাইলেই বলে, পরে দিব, ঘুরে আস। আমার মাথায় আসে না, এটা কেন করেন তেনারা। এমন না যে, তেনারা ভাড়া না দেয়ার চিন্তা করছেন। কিন্তু তেনারা সবার শেষে দিবেন। ব্লগাররা উত্তর দেয়ার আগেই আমি দিয়ে দেই, এর কারণ হিসেবে অনেকে মনে করে যে, ভাড়া আগে দিয়ে দিলে বাস যদি কোন জায়গায় গিয়ে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আর ভাড়া ফেরত নাও পেতে পারে, তাই তেনারা ভাড়া দেন সবার শেষে…
২. ট্রেনে সাধারণত টিকেট কেটেই সবাই বসে। তবে কমিউটিার ট্রেনে টিকেট ছাড়াও ট্রেনে বসা যায়। কারণ, ট্রেনে টিকেট কাটার লোক থাকে। তো, যখন ট্রেনে কেউ টিকেট চেকারকে বলে, পরে দিব, ঘুরে আস – তখন আমি তাদের দিকে নজর রাখি। কারণ, আমি জানি এটার উদ্দেশ্য হল ভাড়া না দেয়া (কম দূরত্বের হলে নিম্নবিত্তরা এরকম করে কেউ কেউ) অথবা ভাড়া কম দেয়া (টিকেট না কেটে টিকেট চেকারকে কিছু দিয়ে দেয়া)…
৩. আমি এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যাই, তাই প্রায় সময় এটা আমার চোখে পড়ে ভদ্রবেশী অফিসগামী যাত্রী মাত্র ১০ টাকা (ভাড়া ২০ টাকা) বাঁচানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে। আবার টিকেট চেকারও এই টাকা পাওয়ার জন্য টিকেট না কাটলেও কিছু বলে না যাত্রীকে। কারণ, পরে ভদ্র যাত্রী নামার সময় হাতের মুঠোয় ১০ টাকা গুঁজে দেয়…
৪. এনারা বিবেকের কাছে কীভাবে পরিস্কার থাকে? নাকি কোন বিবেক নেই এনাদের? এক পরিচিত এরকম করার পর (এই ট্রিকস অবশ্য আমার প্রথমবার জানা হয়েছিল তেনার মাধ্যমেই) আমাকে বলেছিল, ১০ টাকা দিলে ওরা (টিকেট চেকার) খুশী হয়! অথচ নিজে যে, ছোটলোকের মত একটা কাজ করল, সেটাতে তেনার কোন ভ্রুক্ষেপ হল না…
৫. আমাদের মত সুবিধাবাদী জাতি আর আছে কিনা জানা নেই। আমরা শুক্রবারেও হাফ ভাড়া দিতে চাই (স্টুডেন্ট), আমরা ট্রেনে ভাড়া না দিয়ে নেমে যেতে চাই (কমলাপুর থেকে তেজগাঁও নামলে কাউকে ভাড়া দিতে দেখিনি), কমলাপুর টু উত্তরা (টঙ্গী পর্যন্ত) মাত্র ২০ টাকার ভাড়া ১০ টাকা দিয়ে অনেক সেভ করি। আফসোস, এনারা আমাদের আশে পাশেই আছে…
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৫