মহামতি হেনরী কিসিন্জার পৃথিবীর দুটো দেশকে বটমলেস বাসকেট বা তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন । একটি বাংলাদেশ আর একটি ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু । বাংলাদেশে তার উদিত, মন্ডিত, মাথিত, নাদিত, যাপিত, তাপিত, সদাসিদ, রাজনৈতিক নেতা, কামেল ব্যাক্তিবর্গ, প্রোথিত, গ্রথিত বুদ্ধিজীবি সমাজ, ও মথিত, দলিত আমলা কামলা সবাই কাধে কাধ রেখে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন । কিন্তু ব্যনানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু সেই উচ্চতাটা ধরতেই পারেনি ।
সারা পৃথিবীর উন্নয়ন স্কুল গুলোতে আজ বাংলাদেশের নাম পড়ানো হয় । হাভার্ড, অকসফোরড, প্রিন্সটন, কর্নেল, পেন, ম্যাক মাস্টার । সেখানে "হানুলুলুর বৃজে বাশ" শিরোনামে ইউভার্সিটি অফ ওয়াটারলুর সিভিল এন্ড ইনভায়রোন্টমেন্ট ফ্যাকাল্টির জার্নালে লেখা এসেছে । এমন লেখা দেখে হানুলুলুর মন্ত্রী ও কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিখ্খক বলেছেন লাতো ফাপরুরজি ওলাতো রুতলু কাশু। মানে (আমরা কাশেম মানে ক্যাশ বা কাশু দেইনি বলে এমন ফাপরবাজী করেছে ) হানুলুলুর মুদ্রা ক্যাশ কে অনেকে কাশেম বলে ।
এমন অনেক বিষয় নয়ে প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদ বেশ চিন্তিত । তিনি ইদানিং হাভানার চুরুট খাচ্ছেন । নিজের মধ্যে ক্যাস্ত্রো, চের মত ভাব অনুভব করতে চাচ্ছেন । বা নিতে চাচ্ছেন । কিন্তু তার মনে হচ্ছে তিনি পাকিস্তানের জারদারীর মত মি. টেন পার্সেন্ট । জারদারী বন্যার সময় জার্মানীতে বারবনীতার সাথে হোটেলে শুয়েছিলেন সেটা চাওর হয়েছিল । পাকিস্তানী মিডিয়াতে । কিন্তু শাহ আবজেল মোহাম্মদের টা চাওর হয়নি । কিন্তু তিনি নিজে নিজে ভাবছেন । তার দেশেও বন্যা । তিনিও কোলনে গেছেন । প্রেসিডেন্টের অনারে কোলনের ফেডারেল গভমেন্টের হেড মেয়র পার্টি দিয়েছেন । সেখানে কোলনের ফেমাস মডেলরা এসছে । পরিচয়, বাতচিত হয়েছে । চাওর তো হয়নি ।
দেশে এসেই রাজ্যের সব খবর । ডাবল সিন্নি । সেটা কি ? সিন্নি নামের এক নারীর জামাইকে কুপিয়ে মেরেছে এমপি পুত্রের ছেলের ড্রাগস হেন্ডেলকারী । সিন্নি বাচাতে গিয়ে পারেনি । মানুষ দাড়িয়ে দেখেছে । সেই সিন্নি এখন খুনের আসামী । সিন্নীর চোখ দেখলে মনে হচ্ছে সে পশ্চিম হানুলুলুর হায়েনা ফোর্সের হাতে সারা রাত নির্যাতিতা হয়েছে । যে যুদ্ধে হানুলুলু জিতেছিল সেই হায়েনাদের বিরুদ্ধে । কোন লইয়ার দাড়াতে পারেনি । সিন্নির জন্য । কেননা এমপি পুত্রের নিষেধ ছিল বলে । আবজেল মোহাম্মদের মনে পড়ল এই এমপি ১৫ কোটি কাশেম দিয়ে নমিনেশন কিনে ছিল । আবজেল মোহাম্মেদের ইচ্ছা ছিলনা । লোকাল রাজনীতিবিদরা পুরো বিরুদ্ধচারন করেছিল । কিন্তু বেটা কি করে জানি শাহ আবজেলের মেয়ের কাছে যেতে পেরেছিল । মেয়েকে শাহ আবজেল বলেছিল তোমাকে আমি ২০ কোটি কাশেম নিয়ে দিচ্ছি এরে দিওনা । মেয়ে রাজী না । একটা মাত্র মেয়ে আবদার করেছে কি আর করা । ভোট তো আর আগের সিসটেমে বা পৃথিবীর কোন সিসটেমে নেই । একবার নামটা লেখাতে পারলেই এমপি । তাহাজ্জুদে শুরু বিকেল তিনটায় শেষ ।
আর এক সিন্নি হল মাজারের সিন্নি । মাজারে সিন্নির টাকা মেরে দিয়েছে ড্যাবের এক কর্নেল । সাথে আরও কিছু সৈন্য ছিল । ওদিকে দেশের সাবেক প্লেবয় প্রেসিডেন্ট মারা গেছে । শাহ আবজেল মোহাম্মদ বলেছিলেন ৯ তারিখে মৃত ঘোষনা করতে । তিনি ফিরে আসবার পর । টেলিফোনে শোনে ৬ তারিখ । এবং ৬ তারিখে মৃত ঘোষনা করা হয় ।
এই উল্টাপাল্টার মাঝে স্মীতা কুন্ডু নামের এক নারী আম্রিকান প্রেসিডেন্ট জয়নাল ট্রাম্পের কাছে চার কোটি মানুষ গুমের কথা বলেছেন । আবজেল মোহাম্মদ চুরুট খাচ্ছেন । সাথে ব্রাজিলের কফি । ক্যাস্ত্রো, চের মত ভাবটা আসছে না । না আসুক ম্যারাডোনার মত হলেও খতি নেই । পচিশ বছর বয়সী পিএস মিস ওতেলিয়া ওহেরা কে ডাকলেন । তার চুরুট কফি খাওয়া কেমন লাগছে সেটা জানার জন্য ? মিস ওহেরা বললেন জয় শ্রীরাম দেশের নায়ক উওম কুমারের মত ।
গভীর ভাবে মিস ওহেরার দিকে তাকিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করলেন চলে যেতে ।
মিস ওহেরা ভাবলেন তিনি কি ভুল বললেন । চাকুরী কি আছে না নাই ? আর একটু চিন্তা করে তো বলা যেত । কিন্তু হারামজাদা তো চিন্তা করতে দেয়না । সব কিছুতেই চিন্তার সময় দেবেনা । হারামজাদা বলার পর ইতি উতি তাকাল মিস ওহেরা মনে মনে বলেছে তবু ভয় যদি কেউ শোনে ।
মিস ওহেরা চলে যাবার পর শাহ আবজেল মোহাম্মদ ভাবছেন উওম কুমারের বিষয়টা মাথায় এলনা কেন ?
আবার চোখ পড়ল কাগজের লেখা গুলোর উপরে
লুটিং শেরাইন একস ড্যাব অফিসিয়াল হেল্ড
সিন্নি কনফেসেস
লোকজন শেরাইন আর সিন্নিকে এক করেছে ।
ওয়ান্স এ প্রেসিডেন্ট অলওয়েজ প্রিসিডেন্ট, ফরমার প্রেসিডেন্ট পাসেস এওয়ে
শাহ আবজেল মোহাম্মদ মনে মনে নিজেকে বলছেন এত ভাবনা চিন্তার কিছু নাই ঘটনা ঘটবেই ।
ওয়ালাতো মায়ালাতু চেয়ার । মোয়ালা আপদু সা জাহান্নাম ।
চেয়ার ঠিক সব ঠিক । বাকী দুনিয়া জাহান্মামে যাক ।
হানুলুলু পোষ্ট থেকে ভাষান্তরীত ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৫২