একটু আগে টেলিটকের একটা সিম কিনে নিয়ে আসলাম। আমার জন্য নয়; ছোট ভাইয়ের জন্য, তার যদিও একটি সিম রয়েছে। ঘটনা হলো- এবার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের ভর্তি ফরম বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই তালিকায় আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শাবিপ্রবি ও জগন্নাথ আরো থাকতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যুক্তি হচ্ছে, বিভিন্ন কোটিং সেন্টার ভর্তি ফরম কেন্দ্রিক প্রতি বছর অতিরিক্ত অর্থ আয় করে, এটা বন্ধ করা। অপর যুক্তি হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব করা। খুবই চমৎকার যু্ক্তি। শিক্ষার্থীরাও আশান্বিত, সাথে সাথে অভিভাবকরাও- এবার বুঝি ভোগান্তি লাঘব হতে যাচ্ছে। যারা গরিব তাদের অর্থের সাশ্রয় হতে যাচ্ছে। কিন্তু বিধি বাম। এত সহজেই কি বাংলাদেশে নাগরিক সুবিধা পাওযা সম্ভব!
বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ টেলিটক ব্যবহার করে না। বাংলাদেশে সম্ভবত সবচেয়ে কম গ্রাহক টেলিটকের। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিনা ঐ টেলিটকের সাথেই চুক্তি করলো! কেন অন্য অপারেটরদের সাথে চুক্তি করলে দোষটা কী হতো? আর পরিণামে শিক্ষার্থীদের ঝোলায় কী গেলো? শিক্ষার্থীরা দেখলো- টেলিটক সিম নিজেরতো নেই-ই পরিচিত কারোও নেই। বাধ্য হয়ে ১৭০ টাকায় একটা সিম তাকে কিনতে হবে। আর যারা সিম কিনবে না তাদের হয়তো রাস্তার পাশের কোন দোকান থেকে ভর্তি ফরমের প্রক্রিয়াটি সম্মন্ন করতে হবে টাকার বিনিময়ে। যেই লাউ সেই কদু। শিক্ষার্থীর অর্থ ব্যয় হ্রাস আর ভোগান্তি লাঘবের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। মাঝখান থেকে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা স্থানান্তরিত হবে টেলিটকে আর রাস্তার পাশের দোকানে।