অতলান্তিকপাড়ে১
Click This Link
অতলান্তিকপাড়ে২
Click This Link
সক্কাল বেলা ফোন পেয়েই কাঠ। বন্দনাদির নিমন্ত্রণ । ডিনারে যেতে হবে কাল -সেইসাথে গান বাজনা ফাও। বন্দনাদি বলেছেন গোলমালে গান শুনিয়ে মন ভরে না , ডিনারের পর শুধু কিছু নিবিষ্ট শ্রোতা আর উনি..
সুকুমার রায় বলেছিলেন (কিম্বা গেয়েছিলেন)
"দাদা গো দাদা গলায় তোমার সুরগুলো খুব খেলে
এমনি মিঠে ঠিক যেন কেউ গুড় দিয়েছে ঢেলে
দাদা গো দাদা এমন মিঠে কন্ঠ কোথায় পেলে
এই ম'লো যা গান শোনাতে আমার কাছেই এলে?
দোহাই দাদা পায়ে পড়ি তোর ভয় পেয়ে যায় ছেলে
গাইবি যদি ঐখানে গা' ঐদিকে মুখ করে....."
(লাইন গুলো ভুলে গেছি, কারো কাছে থাকলে একটু ঠিক করে দেবেন)
মনের ভুলে বলে ফেলেছি শুরুতেই -যাব, কাজ নেই ছুটির দিন। বিদেশ বিঁভুয়ে পড়ে আছি দরিদ্র বঙ্গসন্তান, খাদ্যে আকর্ষণ তো আর অসম্ভব নয় । তা সে ব্যাচেলর মাত্রেই একটা বুভুক্ষা থাকে(ব্যাচেলর শুনে চোখ কপালে তোলার কিছু নেই , প্রবাসে ছাত্রদশা আর ব্যাচেলরের পার্থক্যটা কি শুনি?)
এবার বলুন তাহলে আপত্তিটা কিসে, ডিনারে ডেকেছেন উত্তম প্রস্তাব, চাইলে লিফটেরও ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু গান? প্রাণটি তো আমার । পতিদেবকে কথা দিয়েছিলাম 'সুস্থই থাকবো, কারো শিরোঃপীড়ার কারণ হবো না'। তা সতীর সে কথা থাকে কিভাবে। বন্দনাদির গান- সে যে ক্রন্দন! আর তার ও বেশি যেন বন্ধন। যেখানেই যাই তাড়া করে ফিরছে আমায়, ভীত হরিণশাবকের মত চমকে চমকে উঠি ঘুমের ঘোরে।
কথায় বলে পেটে খেলে পিঠে সয়; তা হয়তো সইবেও। কিন্তু বিপদ যে অন্যত্র! একটু খুলেই বলি, মানবজাতি প্রবৃত্তিভেদে দুই প্রকার- মর্ষকাম (mesochist) ও ধর্ষকাম (sadist)। এদুটো অভিধানে বেশ পাওয়া যায় কিন্তু আরেকটা পাবেন কিনা জানিনা। না পেলে আমিই বলছি। এককুড়ি বয়স না হতেই বুঝলাম মানুষ আসলে তিন প্রকার এবং তৃতীয়টি হল 'হর্ষকাম'। এ প্রজাতি বিরল কিন্তু অসম্ভব নয়- জলজ্যান্ত উদাহরণ হতাভাগা নিজে ।
'হর্ষকামে'র প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল এরা অতিশয় নির্বোধ। স্থান- কাল- পাত্রের বিবেচনা বলতে কিচ্ছুটি নেই। জীবনের জটিল নাট্যমঞ্চে এরা ডায়লগ ভুলে হাসে, কোরাসের মধ্যে তাল কেটে হাসে ও হাসায়। মাঝরাস্তায় চটি খুইয়ে সেই একই ব্যাপার, এমনকি লাস্টবাস মিস করে সিনজি দর করতে গিয়েও পুলকিত। আর ইন্টারভ্যিউ বোর্ডে সিরিয়াস হতে গেলে তো কথাই নেই -বিমল একটা হাসি।
ভয়ভীতি- দৈবদুর্যোগের অনিবার্য গুরুত্বেই না হাসি, আর হাসি মানেই যে ঘটনাটা বেশ সিরিয়াস। বেরসিক পাবলিক তো তা বোঝেনা ! ডিরেক্টর বলেছেন খলনায়কের সাথে নায়িকার হবে তীব্র বিতন্ডা এবং নায়কের বিদায়দৃশ্যে চোখ থাকবে ছলছল, বেদনাবিধুর। তা নায়িকা করলেন কি, যথারীতি দিলেন একটা তালগোল পাকানো হাসি। অতএব গ্রুপসমেত হালি হালি পচাডিম এবং পুনরায় হাসি!
"হাসছি মোরা হাসছি দেখ, হাসছি মোরা আহ্লাদী,
তিনজনেতে জটলা ক’রে ফোকলা হাসির পাল্লা দি।
হাসতে হাসতে আসছে দাদা আসছি আমি আসছে ভাই,
হাসছি কেন কেউ জানে না , পাচ্ছে হাসি হাসছি তাই।
ভাবছি মনে, হাসছি কেন ? থাকব হাসি ত্যাগ করে
ভাবতে গিয়ে ফিকফিকিয়ে ফেলছি হেসে ফ্যাক করে
................."
বাংলায় একখানা আপ্তবাক্য আছে 'যত হাসি তত কান্না'....
সৃষ্টিকর্তার কি অপার মহিমা! মানুষকে তিনি নানা ভাবে বিড়ম্বিত করেছেন ভবযণ্ত্রণায়। কিন্তু আমার সাথে যেটি করলেন তা অভিনব এবং পুরোপুরি রসিকতা। 'আসিবার পথে আদেশনির্দেশ' দেবার পর্বে ফিক করে হেসে ফেলেছিলাম বুঝি। তাই বলে থাকবেন 'আজ থেকে হাসিই হবে তোমার শাপ রে মূঢ় বালিকা'।
যেখানেই গুণিজনের উপস্থিতি আর পরিবেশ কিছুটা ভাবগম্ভীর মরাবাড়ি থেকে বিদায় সম্বর্ধনা, অ্যাসেম্বলী থেকে আলোচনা সভা, ব্যস, শুরু হল উপদ্রব। এক মিনিট নীরবতা পালন তো সকলেই মুখ শক্ত করে দাঁড়ানো অতএব এদিকে প্রাণপণ চেষ্টা হাসি রোধের। কথায় বলে- 'ও পাগল সাঁকো নাড়াস না'।
কত আর বলব! বুয়েটের পড়ুয়ারা বেশ বুঝবে সেশনাল শুরুর আগের দশ মিনিট, কেমন চলে নাটিকার রিহার্সাল। পুরো হাই-ক্লাইম্যাক্স হরর মুভি। সে এক ঐতিহাসিক গণটোকাটুকি। গ্রুপের মাস্টারকপি খন্ডবিখন্ড করে সবাই হামলে পড়ে টুকতে। টোকা চলছে -টেবিল গোল করে, হাতের পাতায় তুলে , পিঠের উপর ধরে, ক্যাফের বারান্দায় উপুড় হয়ে। উর্দ্ধশ্বাসে লাঞ্চের ভাত মাথায়ওঠার উপক্রম। এই দুর্যোগে আবার রোজ নিয়ম করে কিছু না কিছু উৎপাত- গ্রাফের কাগজ শর্ট, স্কেলের কোণাভাঙ্গা,পেন্সিলের শিস নেই, কম্পাস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা, অফসেট শেষ , ক্যালকুলেশন মিসিং..... ইত্যাদি প্রভৃতি যাতনা নিয়েই না ছাত্রজীবন। মিনিটের কাঁটার ভয়, লেকচারারের হুংকার-রিপিটের টেনশন- ভাইভার পুলসেরাত, টানটান উত্তেজনা আতঙ্কে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠত হাসি। বলাই বাহুল্য সে হাসি সংক্রামক। একটু পরেই রূপ নিত গণহাসাহাসির এবং ফলাফল হা-তে-না-তে । 'হরিষে বিষাদ' বস্তুটির গূঢ়ার্থ টের পেয়েছি হাড়েহাড়েই ।
এহেন আমি! 'আমি যাই বঙ্গে' তো কপাল কি আর বসে থাকে। বন্দনাদির সাথে পরিচয় প্রবাসী পূজোর প্যান্ডেলে। নতুন ঢুকেছি বুঝিনা অনেক কিছুই, না বুঝি। খেতে দিলে চাট্টি খাব, বড়জোর একটু মৃদুহাসি বিনিময়। বাক্সের শাড়িচুড়ি ক'টা আছে ভাঁজভেঙ্গে একটু ভাল শোনা (ভাল বলতেও হয় নিয়ম মেনে) এই তো। তা সবাই দেখি কেমন সন্ত্রস্ত দশা। কারণ কি? বন্দনাদি হারমোনিয়াম এনেছেন গান শোনাবেন, ছোটখাট একটা বিচিত্রানুষ্ঠান হবে । সে বিচিত্রানুষ্ঠান যে এমন সচিত্র বিনোদন, কে জানত বিধাতার মন!
প্রবাসে 'দিদি' বলতেই হয় নিয়ম মেনে, তা সে মা- খুড়ি কি মাতামহী যে বয়সেরই হোন না কেন । তাতো বললাম, যেহেতু বাগযন্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ চলে। বিধির বিধানে তো সে জোর খাটে না। কথা হলো আমার বাড়ি বন্দনাদির ঐদিকে , অতএব আমাকে সস্থানে ফেরত দেবার ভারটা তাকেই দেওয়া হচ্ছে।
তো রাত বাড়ছেই শিল্পীর তালিকাও দীর্ঘ। কেউ কেউ দেশ ছেড়েছেন ত্রিশ চল্লিশ বছর এমনকি বছর পঞ্চাশেক। তখন লতাজি আর তিনি দুই-ই ছিলেন কিশোরী। কোকিলের ডাক ছিল হৃদয়ে এবং গলায়। এখন হৃদয়ে তাদের বেশ আছে, কিন্তু গলাটিতো... দেশ ছাড়া মানুষের সমস্যা হল দেশ আর তাদের বয়স বাড়ে না। দেশটিতে যে পরিবর্তন কিছু এসেছে সে আর মনে থাকে ক'জনের। বছর ঘুরে ঘুরে সেই রেকর্ড গুলোই বাজাতে থাকেন যা সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন। ছোটবেলার সাথি হয়ত এখন এক পা ওপারে দিয়ে তীর্থে বেড়িয়েছেন কিন্তু প্রবাসে যে বয়স বাড়ে না। অতএব সঙ্গীত মানে সেই তিন চার যুগ আগে ফেরার চেষ্টা। খোদ সন্ধ্যা, লতা থেকে কাননদেবি, ইন্দুবালা অবধি নির্দয় পোস্টমর্টেম।
হারমোনিয়ামের বিশেষ বিরাগ ছিল। সারা বছর সে বেচারা এককোণে পড়ে থাকে। অনভ্যাসের রিড কথা শুনবে কেন। তরলযোগের আধিক্য হেতু কিনা বোঝা গেল না, তবলচির একখানাই মাত্র বোল। ঐ একখানা 'ঠেকে'ই সলিল চৌধুরী থেকে রবীন্দ্রনাথ, মায় মীরার ভজন অব্দি ঠেকিয়ে দেওয়া হল। কন্ঠ ও বাদ্যের সে কি স্বেচ্ছাচার! কথা-তাল-সুর এ প্রায় আসুরিক উন্মাদনা। অবশ্য ক্ষতি বিশেষ ছিলনা। চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয় এবং পেয়, বিশেষতঃ 'পেয়' এর গুণেই কিনা জানিনা, গায়ক শ্রোতা দুপক্ষই ঝিমাচ্ছিলেন। কানে কি ঢুকছিল বড় কথা নয়, বাকিরা বাকিটা ভেবে নিচ্ছিলেন। পীড়নের প্রধান ভিকটিম ছিল আমার মত শুষ্ক বেরসিকরা ঐ যারা সজ্ঞানে ছিলেন।
লিস্টি মিলিয়ে দেখছি কখন বন্দনাদির হবে, আমি মুক্তি পাব। কিন্তু বন্দনাদির গানতো সকলের শেষ। বন্দনাদি গান শেখা শুরু করেছেন বছর পাঁচেক হল। বললেন 'ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে, এখন খানিকটা সময় মিলেছে আর চর্চা থাকা ভাল , প্রায়ই প্রোগ্রামে-টোগ্রামে গাইবার লোক মেলে না '।
কি গাইছেন দিদি? বললেন রাগসঙ্গীত।
ধাক্কা খেলাম ! গুরুজনদের কাছে শুনেছিলাম যে গানে গায়ক খুব রেগে যান আর শ্রোতাদেরও শোনার পর খুব রাগ হতে থাকে তাকেই 'রাগসঙ্গীত' বলে। নামকরণের বিষয়ে আমার সন্দেহ ছিলনা কারণ অভিজ্ঞতা সেরকমই বলেছে।
কিন্তু শারদীয়ার সন্ধ্যারাত্তিরে রাগসঙ্গীত যে শোকসঙ্গীতে রূপ নেবে তা কে জানত? একে একে গান থামছে। সকলের ফিসফাস, বন্দনাদির সিরিয়াল এগিয়ে আসছে। বন্দনাদি খুব সিরিয়াস মুডে খাতা খুলে দেখছেন, ঘড়ি মেলাচ্ছেন, গান না শুনে কেউ আগেই চলে যাচ্ছে কিনা সেদিকেও খুব সতর্ক দৃষ্টি তার। অভিযোগ ও করলেন খানিকটা কেন তাকে শেষে রাখা হল। এইসব লঘু চটুল সঙ্গীতের পর তরলমতি (আমি বাদে ত্রিশের নিচে কেউই ছিলেন না, মেজরিটিই ষাটোর্দ্ধ ) শ্রোতার মনোযোগ ব্যাহত হ্য়।
বিগলিত হয়ে বললাম, তা হোক গায়কের তৃপ্তিই বড় কথা; শ্রোতার কথা মাথায় রাখলে আর মার্গ সঙ্গীত কেন।
বন্দনাদি সমঝদার ভাবলেন, তা ভাবুন না। লিফটটা যখন উনিই দিচ্ছেন। বললেন, সেইটাই বড় কথা, পারফেকশনের জন্য উনি খুবই ডিটারমাইন্ড। সার্গাম থেকে শুরু করেন , কোন তাড়াহুড়া না করেই আলাপটা শেষ করেন ধীরে -ধীরে। মূল রাগে স্থায়ী হতে সঞ্চারি গুণে গুণে আটমাত্রা থেকে শুরু করে চৌষট্টি মাত্রার তান শেষ না করলে ওনার মন ভরে না।
'পারফেকশন বলে কথা' ওনার গুরুতো পারফেক্ট না হলে গাইতেও অ্যালাও করে না।
এই মরেছে! সভয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কতক্ষণে শেষ হবে বন্দনাদি' মানে মনঃসংযোগের ব্যাপার আছে তো ,তাহলে বরং একটু চা-টা খেয়ে আসি । ততক্ষণে বন্দনাদি মাণিক খুঁজে পেয়েছেন আর হাত ছাড়াছাড়ি নেই, এমন শ্রোতার জন্যই তো গানের সাধনা ।
বন্দনাদি শুরু করেছেন , দীর্ঘ একটা 'সাআআআআআ' থেকে শুরু বহুক্ষণ আর কোন সাড়া শব্দ নেই। হে ধরনি দ্বিধা হও, পারলে খন্ডবিখন্ড হও ! আমার যে গানের আগেই হাসির একটা তরঙ্গ খেলে যাচ্ছে। কত কষ্টে সামলে আছি, আমি যে প্রথম সারিতে বসা। সকলেই সামলে নিয়েছেন দীর্ঘদিনের অভ্যাস ওনাদের আমি তো নতুন; তায় সিরিয়াস হতে চাইলেও আমার সেই পুরোনো অসুখ ।
বন্দনাদির স্বামী নিতান্তই বৃদ্ধ মানুষ। বহুকাল আগে রিটায়ার করেছেন । কিন্তু স্ত্রীর সুরসাধনার খুব বড় পৃষ্ঠপোষক বোঝা গেল। এই হার্ট যে টিকে আছে একই ছাদের নিচে ! এরকরম শাস্ত্রীয় (অথবা শাস্তি ও) রেওয়াজের পরও
সুকুমার রায় কে তো মনে পড়বেই
প্যাঁচা কয় প্যাঁচানি,
খাসা তোর চেচানি
শুনে শুনে আনমন
নাচে মোর প্রাণমন!
মাজা গলা চাঁচা সুর
আহ্লাদে ভরপুর !
গলা-চেরা ধমকে
গাছপালা চমকে ,
. ...................
...................
তোর গানে পেঁচিরে
সব ভুলে গেছিরে
চাঁদমুখে মিঠে গান
শুনে ঝরে দু'নয়ান "
আমি কিন্তু হাসব না , ওগো প্রাণের ঠাকুর 'রামগরুড়' তুমি কৃপা কর । কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। হাসি সংক্রামক, মারাত্মক ছোঁয়াচে! প্রতিকূল পরিবেশে এর বিকাশ ও বৃদ্ধি লক্ষ্যণীয়- এই না আমার আত্মজৈবনিক দর্শন। পুরো হলঘর জুড়ে হাসি, ঠিক যেন বন্দনাদির গানের সঙ্গত...
পরের ঘটনা অতি সংক্ষিপ্ত , বন্দনাদি শেষ করে উঠলেন ঝাড়া আধাঘন্টা পর। শ্রোতাদের বালখিল্যতায় প্রচন্ড বিরক্ত । হারমোনিয়ামটা ধপাস করে ফেললেন, আমাকে ট্যাগ করলেন ব্যাক সিটে। তারপর প্রায় নিক্ষেপ করলেন আমার কুটিরে- সারাপথ কোন কথা নেই। বিপদের মধ্যে খাল কেটে কুমির আনা, পরদিন একটু ফোনে বললাম গান খুব ভালো লেগেছে কাল রাতে ।
'বলেছিইতো পারফেক্ট না হলে আমাদের টিচার কোথাও গাইতেই দেন না ' বন্দনাদির ঝটপট উত্তর।
ঠিক ঠিক । ভারি সরেস গুরুটি। ভাগ্যিস চোখ বুঁজে গান করছিলেন বন্দনাদি। মনে মনে ওনার নিষ্ঠার তারিফ না করে পারিনা, ধরতেই পারেননি কালপ্রিটটা আসলে কে ।
কিন্তু কাল ডিনারের পর কি হবে ??
(বিশেষ কৃতজ্ঞতা: ব্লগার শুন্যআরণ্যক ও আতিকুল হককে, অনেক দিন পর 'সুকুমার রায়' এ চোখ বোলানোর সুযোগ করে দেওয়ায় )
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০০৯ ভোর ৫:২২