বয়স মাত্র ১৩ বছর। এরই মধ্যে বাবা শচীন টেন্ডুলকারকে ‘ছাড়িয়ে’ গেছে অর্জুন।
অবাক করার মতোই খবর। লিটল মাস্টারের কোন রেকর্ড ভেঙে দিল ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার! না, মাঠে নেমে শচীনের কোনো রেকর্ড ভেঙে দেয়নি অর্জুন। ছেলে বাবাকে পেছনে ফেলেছে ‘গুরু’ পাওয়ার দিক থেকে!
ক্রিকেটে শচীনের গুরু একজন, রামাকান্ত আচরেকার—এটা সবাই জানে। কিন্তু এরই মধ্যে তিনজন গুরু পেয়ে গেছে অর্জুন! শচীনের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর বরাত দিয়ে ‘পাকিস্তান অবজারভার’ জানিয়েছে, বানদ্রায় এমআইজি (মিডল ইনকাম গ্রুপ) একাডেমিতে অর্জুনকে ক্রিকেট-দীক্ষা দেন জগদীশ চৌহান ও প্রশান্ত শেঠি। শেঠি একই সঙ্গে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) অনূর্ধ্ব-১৪ দলের কোচও। গ্রীষ্ম মৌসুমে অর্জুনের কোচ হিসেবে কাজ করেন রাজেশ সানিল।
শচীনের বন্ধু অতুল রানাদে জানান, জগদীশ চৌহান অর্জুনের ক্রিকেট গুরুর চেয়েও বেশি কিছু। তবে এই বয়সে অর্জনের বড় বড় ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নিজের ক্রিকেট নিয়ে আলাপ-আলোচনার সুযোগ হয়েছে। পরামর্শ পেয়েছেন অনেক নামকরা কোচের কাছ থেকে।
রানাদে বলেন, ভারতের সাবেক কোচ গ্রেগ চ্যাপেল একবার অর্জুনের সঙ্গে দেখা করে নানা পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখন ওর বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর। অর্জুনের মধ্যে ক্রিকেটের প্রতি প্রবল অনুরাগ দেখেছেন ভারতের সাবেক কোচ গ্যারি কারস্টেনও।
কথায় আছে, ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’। এত এত কোচের পরামর্শ শুনতে গিয়ে অর্জুন সবকিছু গুলিয়ে ফেলবে না তো! গুরু জগদীশ চৌহান মনে করেন, এমনটা ঘটার আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য একটাই, অর্জুনকে ওর বাবার মতো করে গড়ে তোলা। ওকে নিয়ে আমরা গর্বিত। ক্রিকেটের প্রতি প্রবল আগ্রহ অর্জুনের। ও প্রচুর পরিশ্রমী ছেলে।’
অর্জুনের একটি সূত্র জানায়, ক্রিকেটের বাইরে অর্জুনের অন্য কোনো ব্যাপারে আগ্রহ নেই। এমনকি পড়াশোনায়ও নয়। অর্জুন শুধু ক্রিকেট সম্পর্কে শিখতে চায়।
২০ জানুয়ারি শুরু হবে পশ্চিমাঞ্চল ক্রিকেট লিগ। চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ প্রতিযোগিতায় মুম্বাই অনূর্ধ্ব-১৪ দলের হয়ে দেখা যাবে অর্জুনকে।