এঁরাই লালনের গুহ্য, নিগূঢ় ও গোষ্ঠীগত গান গেয়ে বেড়ান।
ডিক্সেনারিতে দেখলাম esoteric মানে সাধারনের বোধগম্য নয় এমন, স্বল্পজনবোধ্য। গুহ্য, নিগূঢ় ও গোষ্ঠীগত। লালনের গানও সেই রকম- গুহ্য, নিগূঢ় ও গোষ্ঠীগত। যেমন এই গানটি-
কী সন্ধানে যাই সেখানে আমি/ মনের মানুষ যেখানে।
আধাঁর ঘরে জ্বলছে বাতি/ দিবারাতি নাই সেখানে।
এসোটেরিক নয়তো কি? কি এর মানে?
আধাঁর ঘরে জ্বলছে বাতি/ দিবারাতি নাই সেখানে।
বোঝা যায় না বলেই কি গুহ্য, নিগূঢ় ও গোষ্ঠীগত?
এর পরে আছে-
যেতে পথে কামনদীতে পাড়ি দিতে ত্রিবিনে।
ধনীর ভারা যাচ্ছে মারা, পড়ে নদীর ঝড়তুফানে ।
খুব একটা পরিস্কার হল না।
এর পরে আছে-
রসিক যারা চতুর তারা, তারাই নদীর ধারা চেনে।
উজান তরী যাচ্ছে বেয়ে, তারাই স্বরুপ সাধন জানে।
অর্থ খুব একটা পরিস্কার হল কি?
এর পরে আছে-
শতদল কমলের উপরে মূল রয়েছে গোপনে।
মনের মানুষ স্থলে রেখে দেখতে পাইনে দুই নয়নে ।
আরও জটিল হয়ে উঠল সবটা।
শেষে লালন বলছেন-
লালন বলে ম’লাম জ্বলে, জলে স্থলে নিশিদিনে।
মনিহারা ফণির মতন হারা হলাম পিতৃধনে।
কি এর মানে?
লালনের একটি এসোটেরিক গান
কী সন্ধানে যাই সেখানে আমি মনের মানুষ যেখানে।
আধাঁর ঘরে জ্বলছে বাতি দিবারাতি নাই সেখানে।
যেতে পথে কামনদীতে পাড়ি দিতে ত্রিবিনে।
ধনীর ভারা যাচ্ছে মারা, পড়ে নদীর ঝড়তুফানে।
রসিক যারা চতুর তারা, তারাই নদীর ধারা চেনে।
উজান তরী যাচ্ছে বেয়ে, তারাই স্বরুপ সাধন জানে।
শতদল কমলের উপরে মূল রয়েছে গোপনে।
মনের মানুষ স্থলে রেখে দেখতে পাইনে দুই নয়নে।
লালন বলে ম’লাম জ্বলে, জলে স্থলে নিশিদিনে।
মনিহারা ফণির মতন হারা হলাম পিতৃধনে।
(গানটি ব্যাখ্যা করার সংকল্প নিইনি। লালনের একটি গুহ্য, নিগূঢ় ও গোষ্ঠীগত গান পাঠ করব বলেই এই লেখা।)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৪