গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল (এপ্রিল ৭, ১৮৮৯-জানুয়ারি ১০, ১৯৫৭) ...যে কোনও বিচারে এক অসাধারন নারী। কবি, শিক্ষাবিদ ও ইউরোপ আমেরিকায় চিলির সাংস্কৃতিক দূত ও কনসাল। মিস্ত্রাল এর আসল নাম লুসিলা দে মারিয়া দেল পারপেতো সোককোরো গোদি অ্যালকায়াগা। চিলির ভিকনা বলে একটি স্থান আছে। মিস্ত্রালের জন্ম সেখানেই। মন্তেগ্রান্দের একটি ছোট গ্রামে বেড়ে উঠেছেন মিস্ত্রাল।
চল এখন বনে যাই
গাছগুলি তোমার মুখের পাশ দিয়ে যাবে,
আর আমি দাঁড়িয়ে তোমাকে উৎসর্গ করব ওদের,
ওরা অবশ্য ঝুঁকতে পারে না।
রাত্রি দেখছে সবই,
কেবল পরিবর্তনহীন পাইন বৃক্ষগুলি ছাড়া:
পুরনো ব্যথার বসন্ত নির্গত করে
আর্শীবাদপুষ্ট গাদ, শ্বাশত অপরাহ্ন।
যদি তারা পারত, গাছেরা তোমাকে তুলত
নিয়ে যেত উপত্যকা থেকে উপত্যকায়।
আর তুমি হাত বদল হতে
একটি শিশু দৌড়াচ্ছে
এক পিতা থেকে আরেক পিতায়।
তাকে আবার দেখা
আবার কখনও না?
কাঁপা কাঁপা নক্ষত্রের রাতে না
কিংবা ভোরের কুমারী শুভ্রতায়
কিংবা উৎসর্গের অপরাহ্নে?
কিংবা, জমাজমি ঘিরে থাকা
মলিন পথের শেষে?
কিংবা, চাঁদের আলোয় সাদা
ঝরঝর নির্ঝরের কিনারায়?
কিংবা, উজ্জ্বল অরণ্যে গহীনে
যেখানে তার নাম ডেকে ডেকে
রাতভর আচ্ছন্ন থেকেছি?
সেই গুহাতেও সে নেই
যেখানে আমার কান্না প্রতিধ্বনি তোলে?
আহ্,না। তাকে আবার দেখা-
যেখানেই হোক না কেন-
স্বর্গের মৃতজলে
কিংবা ফুটন্ত ঘূর্ণিজলে,
সুন্দর চাঁদের নিচে কি রক্তশূন্য সংঘাতে!
তার কাছে যাওয়া ...
প্রতিটি বসন্তকালে ও শীতে,
একটি আক্ষেপের সুতোয় বাধা
তার রক্তাক্ত ঘাড়ে!
বিষন্ন মা
ঘুমোও, ঘুমোও প্রিয়মোর
ভয়শূন্য, উদ্বেগহীন
যদিও হৃদয় আমার নির্ঘূম
যদিও বিশ্রামহীন আমি ।
ঘুমোও, ঘুমোও ... আর এই রাতে
তোমার ফিসফিসানি নম্র হোক
ঘাসের পাতার চেয়েও,
কিংবা, ভেড়ার রেশমী লোমেরও চেয়েও।
আমার শরীর ঘুমাক তোমার শরীরে
আমার উদবেগ আমার থরথরানি।
বুজে থাক তোমাতে আমার চোখ
ঘুমোক আমার হৃদয়।
মিস্ত্রালের কবিতায় এই দেশের ঘন প্রকৃতিপরিবেশ উঠে এসেছে ...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৪৭