সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্বে ১৫০টির মতো আওয়ামী মামলা রয়েছে, এর মধ্যে একটি মামলা হলো মোবাইল ফোন চুরির মামলা। সেই আওয়ামীলিগের তথাকথিত মোবাইল চোর নাকি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে রীতিমত থিসিস লেখে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলন। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল, ‘মানবিক মূলধন এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন : বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ভূমিকা’। তিনি কানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. আবদুল রশিদ মতিনের তত্ত্বাবধানে গবেষণারত ছিলেন। তাঁর পিএইচডি মৌখিক পরীক্ষায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সিটি মালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ইউসুফ আলী। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ-ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এল ফাতিহ আবদুল্লাহ আবদেস-সালাম ছিলেন তাঁর পরীক্ষক। বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে শতাধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করা। আল্লাহর রহমতে ও দেশবাসীর দোয়ায় এটা এখন আমি করতে পেরেছি। আমি একজন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েও পড়াশোনা করেছি। বাংলাদেশেও ছাত্রদের সঙ্গে ক্লাস করেছি। আমি মনে করি, শিক্ষার কোনো শেষ নেই। একমাত্র শিক্ষাই মানুষকে আলোর দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
http://bd-pratidin.com/first-page/2018/07/15/345348
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫