পথশিশু বলে যাদের আমরা চিনি, রাস্তায় যারা কাগজ-বোতল কুড়ায়, পিঠে যাদের চটের বা নাইলনের বস্তা থাকে, মাঝে মাঝে যারা ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খায়, রনবীর সেই টোকাইদের দেখছি। তারা পথে-ঘাটে, পার্কে, ফুটপাতে বসে নেশা করছে।
এ এক নতুন নেশা, চট করে চোখে পড়লেও টের পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে রামু-খাগড়াছড়ি এলাকার রাবার চাষীদের দেখেছি এ নেশা করতে। সেখানে রাবারের আঠা দিয়ে চাষীরা নেশা করে। একদিকে বন্ধ বাশেঁর চোঙায় তারা আঠা নেয়। এরপর চোঙার খোলা দিকে মুখ দিয়ে সেটা টানা হয়।
এ নেশাটাই আমাদের পথশিশুরা করছে এখন। তারা পলিথিনের প্যাকেটে গাম নিয়ে সেটায় ব্রীদিং করছে। ভয়ংকর এ নেশা সম্পর্কে মাদক নিরাময় কেন্দ্র দিশারী-তে কথা বলে জেনেছি, এটা গাজাঁর চেয়ে বেশ কয়েকগুণ ভয়ংকর। কেউ কেউ শখ করে দু'য়েকবার নিলেই আসক্ত হয়ে পড়ে এবং মাসখানেকের মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। দিশারীর খিলগাঁও শাখায় এরকম দু'জন রোগী আছেন এখনো। আমার কাছে এ বিষয়ে আরো যে সব তথ্য আছে সে গুলো পরবর্তীতে প্রকাশ করবো বলে ভেবেছি।
জিনিসটা এর আগে আফ্রিকা এবং এশিয়ার বেশ কিছু দেশে এ নেশা ছড়িয়েছে মৃত্যূবিষ। ছড়াচ্ছে আমাদের এখানেও।
ভয়ংকরভাবে জিনিসটা আবির্ভাব হবার আগেই কি কিছু করা যায়?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫১