লাশের গাড়ি আইয়া পড়ছে" কে যেনো উচ্চেঃস্বরে চিৎকার করে উঠল। তখনও ফজরের আযান দেয় নি। চারদিকে ঘন অন্ধকার, বাড়ির উঠানে গোল করে বসে থাকা মুরুব্বিরা সবাই উঠে দাড়ালো ।উঠান বলতে এক চিলতে জায়গা যেখানে ৮-১০ জন কোনভাবে দাড়িয়ে-বসে থাকতে পারে। আর উঠানের শেষ মাথায় পাকা দেয়াল ।যদিও দেয়ালের অনেকাংশ ভেঙ্গে পড়ে গেছে। লাল ইটের উপর গজে উঠেছে বুনো শ্যাওলা ।অবশ্য ইটের রঙ যে লাল সেটা এখন আর তেমন বুঝা যায় না। চিন্তা করা দায় যে ৭১ এর যুদ্ধের বেশ কয়েক বছর আগে গাঁতা ইটের দেয়াল এখন ও পুরোটাই ভেঙ্গে পড়ে নি। একসময় উঠানের বাইরে বিশাল একটা পুকুর ছিল। এই পুকুরে এক ধরনের মাছ পাওয়া যেত যা আজ পর্যন্ত কেও কখনো দেখে নি। সাত রঙের এই মাছ টা খুব একটা বড় হত না ,কিন্তু পুকুরের সৌন্দর্য কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
কুলছুম বেগমের বয়স তখন ১৫ কি ১৬! একদিন বাবা হাট থেকে অনেক কিছু কিনে নিয়ে আসল , এর মধ্যে ছিল লাল রঙের বেনারসি শাড়ী আর রং- বেরঙের কাঁচের চুড়ি। । কুলছুম তখন ও বুঝে উঠতে পারি নি কি গড়তে যাচ্ছে তার জীবনে। ৩ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট কুলছুম। বড় ২ ভাই বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছে অনেক আগেই । তাই বৃদ্ধ মা-বাবার সাথে ৩ জনের সংসার কুলছুম এর । কিছু দিন পরেই বিয়ে হয়ে গেলো কুলছুম এর। স্বামীর নাম আক্কাস মিয়াঁ ,বয়স কুলছুমের প্রায় দ্বিগুণ । আগে একবার বিয়ে করছিলেন কিন্তু সেই বউটা বেশী দিন বাঁচে নি। কলেরাই মারা গেছিলো বিয়ের ৩ মাস এর মাথায়। এই শোকে আর কোন দিন বিয়ে করবে না বলেই একরকম স্বিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলছিলেন তিনি । কিন্তু মৃত্যুর আগে মা বলে গেছেন যে আক্কাস মিয়াঁ যেনো আবারো বিয়ে করেন । তাই অনেকটা না চাওয়া সত্ত্বেও কুলছুমকে বিয়ে করলেন আক্কাস মিয়াঁ। এর কিছুই অবশ্য কুলছুমের জানা নেই। আর জানার আগ্রহ ও কোন কালে ছিল না । পুরুষ মানুষ ২-৩ টা বিয়ে করতেই পারে এটাই তখন সবার কাছে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আক্কাস মিয়াঁর অটেল সম্পত্তি না থাকলেও কম ছিল না । শহরে কাপড়ের ব্যাবসা ছিল আর বাপের করা চালের কল। চালের কলে দেয়ার মত সময় অবশ্য আক্কাস মিয়াঁর ছিল না । নিজের ব্যাবসা নিয়েই ব্যস্ত থাকত বেশী। তাই কল টা অকেজো হয়ে পড়ে আছে অনেক দিন।প্রথম বউটা মারা যাওয়ার পর আক্কাস মিয়াঁর পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ ছিল না কিন্তু মা ও তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
আক্কাস মিয়াঁ আর কুলছুম এর বিয়েটা হয়েছিলো ষাটের দশকের শুরুতে ।সালটা মনে নাই। তবে ওই বছর বেশ বর্ষণ হয়েছিলো । আক্কাস মিয়াঁর বাড়ির সামনে পুকুর পানিতে ভড়ে গেছিলো, আর এর কিছুদিন পর থেকেই পুকুরে সাত রঙ্গা মাছের দেখা মেলে। আক্কাস এই মাছকে সোভাগ্য বলেই মনে করত। আক্কাস প্রথম দিকে কুলছুম কে খুব একটা আপন করে নিতে পারত না , হয়ত বয়সের আকাশ পাতাল পার্থক্য এর কারনেই। কিন্তু কুলছুমের দুষ্টামি আর মিষ্টি হাসি উপেক্ষা করার মত ক্ষমতা আক্কাসের ছিল না, কিছুদিনের মধ্যেই দুজনের সম্পর্কটা বন্ধুর পর্যায়ে চলে যায়।
কুলছুম বাড়িতে আসার পড় থেকে আক্কাস এর সব কিছুই পরিবর্তন হতে থাকে ।ব্যাবসায় ভালো উন্নতি হয়। আর বাপের দেওয়া চাল কলটা নতুন করে চালু করে।ইসমাইল নাম একটা ছেলে রাখছে যে চাল কল সামলাই । আর আক্কাস সন্ধ্যার সময় এসে হিসাব নেয়। চাল কল টা বাড়ির পাশেই হওয়ায় অবশ্য অনেক সুবিধা হইছে,এদানিং কুলছুম তার অবসর সময় এ চাল কল এ চলে যায় । আক্কাস আর কুলছুম এর কোল জুড়ে প্রথম সন্তান আসে ষাটের দশকের মাঝামাঝি তে । কুলছুমের বয়স তখন ১৮ কি ১৯। সন্তানের জন্ম দেওয়া যে এতটা কষ্টের তা কুলছুমের জানা ছিল না । জীবন যায় যায় অবস্থা কিন্তু সন্তানের কোমল ছোঁয়া আর আক্কাসের ভালোবাসার কাছে এটা কোন ব্যাপারই না কুলছুমের কাছে। প্রথম সন্তানের নাম রাখা হয় ফয়জ মিয়াঁ । নামটা খুব একটা প্রচলিত না কিন্তু কুলছুমের কাছে এই নামটায় অনেক ভালো লেগেছে, আক্কাস অবশ্য কুলছুমের কথায় কখনো না করে না। এবার ও করে নি। যদিও আক্কাস মিয়াঁর ইচ্ছা ছিল প্রথম ছেলের নাম রাখবে আব্বাস মিয়াঁ , নিজের নামের সাথে মিলিয়ে। আক্কাস মিয়াঁর ইচ্ছাটা পূরণ করার জন্য বেশী দিন অপেক্ষা করতে হয় নি । বছর ঘুরতেই ঘরে নতুন অতিথি আসে , নাম রাখা হয় আব্বাস মিয়াঁ । এইবার আক্কাস মিয়াঁ বেজায় খুশি। দেখতে দেখতে ফয়জ আর আব্বাস দুজন বেশ বড় হয়ে উঠছে। চিৎকার চেঁচামেচি করে সারাবাড়ি মাথায় তুলে রাখে।
ফয়েজ এর বয়স এখন ৬ আর আব্বাসের ৫ । দুজন কে বাড়ির পাশে প্রাইমারী সকুলে ভর্তি করিয়ে দিলো আক্কাস মিয়াঁ । পাশে বলতে অতটা কাছে না, প্রায় আধা মাইল দূরে । কুলছুম বেগমের নৃত্যদিনের কাজের সাথে যুক্ত হয় অন্য একটি কাজ, দুই ছেলে কে স্কুলে দিয়ে আসা আর নিয়ে আসা। কুলছুমের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। দুই ছেলে কে নিয়ে আক্কাস মিয়াঁ অনেক খুশি থাকলেও মনের মধ্যে কি যেনো একটা শূন্যতা কাজ করে সবসময়। একদিন রাতের বেলা ভাত খাওয়ার সময় সাহস করে কুলছুম কে বলেই ফেলে আক্কাস মিয়াঁ । "আচ্ছা ফয়জ এর মা , আমাদের একটা মেয়ে হলে ভালো অয় না?" কুলছুম চুপ করে থাকে কিছুক্ষণ। শরীর ঠাণ্ডা হয়ে আসছিলো। অন্যদিকে উত্তরের অপেক্ষায় কুলছুম এর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে আক্কাস মিয়াঁ। ২ টা ছেলে কে মানুষ করার পাশাপাশি সংসারের কাজ আর চালের কল সবমিলিয়ে অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছে কুলছুম বেগম । কিছুটা অবসর দরকার শরীরের ,কিন্তু যে মানুষটা এতগুলো বছর ধরে তার মাথার উপর ছায়া হয়ে আছে তাকে মানা করার সাহস কুলছুমের নেই। কুলছুম এর নীরবতা ভাঙ্গে আক্কাস মিয়াঁর কথায়। সে ফয়জ কে বলে " কি কও ফয়জ? তোমার একটা বোন অইলে ভালো অইতোনা? " ফয়জের এইসবে কোন মাথা ব্যাথা নেই । সেই একমনে মুরগির হাড্ডি চিবিয়ে যাচ্ছে। শেষমেশ কুলছুম বলে উঠে "হ ভালোই কইছেন, একটা ছেরি হইলে মন্দ অয় না" । এই বলে ঘোমটা টেনে চোখ ডেকে দেয় কুলছুম। চোখের কোণে হালকা পানি জমে যায়। আক্কাস মিয়াঁ খুশি তে গদগদ। না কুলছুম এর চোখের পানি কষ্টের না আনন্দের, প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটানোর আনন্দ।
সাল ১৯৭১,জানুয়ারী মাস । ফয়জ আর আব্বাস প্রথম শ্রেণি পাস করেছে। ২য় শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে কয়দিন পর। বার্ষিক পরীক্ষার পর টানা ১ মাস এর বন্ধ ছিল স্কুল। ফয়জ আর আব্বাস বায়না ধরছিল নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার। কুলছুম ও বাপের বাড়ি যায় না অনেক দিন । কিন্তু এদানিং শরীরটা কেমন যেনো ভারী হয়ে উঠেছে। অল্প কাজ করলে ক্লান্তি চলে আসে আর রাজ্যের ঘুম ভর করে চোখে। তাই সকাল সকাল রান্না বান্নার কাজ শেষ করে বিছায়নায় গা এলিয়ে দেয় কুলছুম। ঘুম ভাঙ্গে সেই সন্ধ্যা বেলায়। বেপারটা আক্কাস মিয়াঁর চোখে পড়ে। চিন্তা করে ডাক্তার কাকাকে একদিন বাসায় ডেকে আনবে কিন্তু সময় হয়ে উঠে না। একদিন সন্ধ্যা বেলায় সকল কাজ কর্ম শেষ করে বাসায় ফেরে আক্কাস মিয়াঁ। অনেকদিন পড় আজ সন্ধ্যা বেলায় বাসায় ফিরেছে আক্কাস মিয়াঁ । অবশ্য এর পেছনে কারণ ও আছে, আজ সে রেডিও তে শুনে এসেছে শহরে কি যেনো একটা ঝামেলা হয়েছে। মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে আসছে। একটা হাঙ্গামা নাকি হবে এবার।মুলত বউ বাচ্চাকে খবরটা দেওয়ার জন্যই বাসায় ফেরে আক্কাস মিয়াঁ । কিন্তু এসে দেখে শহরের অবস্থার চেয়ে তার বাসার পরিস্থিতি আরও খারাপ। বাসার কাজ করতে গিয়ে নাকি কুলছুম পা পিছলে পড়ে গেছে। সেই দুপুর বেলায়, তখন থেকে অজ্ঞান এর মত হয়ে পড়ে আছে। পাশের বাসার ছকিনার মা মাথার কাছে বাতাস করছে আর হা-হুতাশ করছে। ফয়জ বাসায় ছিল না। বাইরে খেলতে গেছে ,এইসব এর কিছু সে জানে না। আর আব্বাস মায়ের পায়ের কাছে এক ধ্যানে বসে আছে। কি করবে বুঝে উঠতে পারতেছিলো না। কুলছুম এর এই অবস্থা দেখে মনের অজান্তেই চোখে ভেজে যায় আক্কাস মিয়াঁর। এক দৌড়ে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে আসে, পাশেই ডাকার খাকার বাড়ি।ডাক্তার খাকা বাড়িতেই ছিল ,এমনিতে তিনি এই সময় বাড়িতে থাকেন না ,গ্রামের বাজারে ছোট একটা ওষুধ এর দোকান আছে তার, ঐখানেই থাকে ,বাড়ি দফিরতে ফিরতে প্রায় রাত ৯ -১০ টা বেজেই যায়। আজকে শরীরটা ভালো নেই তাই আর বাজারে যায় নি তিনি।ঊঠনে বসে হুঁক্কা টানছিলেন তিনি। আক্কাস মিয়াঁ এসে একরকম হাত ধরে নিয়ে গেলেন ডাক্তার খাকাকে। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার খাকা কে নিয়ে বাড়িতে এসে পৌছালো আক্কাস, ঘরে ঢোকে দেখে কুলছুম er হুশ ফিরেছে ,কিন্তু বিছানায় জডসড হয়ে শোয়ে আছে ।ডাক্তার খাকাকে দেখেও উঠে বসতে পারল না। চেষ্টা করছিলো উঠে বসার কিন্তু ডাক্তার খাকাই বলল শুয়ে থাকার জন্য। ডাক্তার খাকা তাড়াহুড়ার মধ্যে তার চশমা ফেলে চলে এসেছেন ।চশমা ছাড়া তও আর দেখা সম্ভব না তাই আক্কাস কে বলল চশমা টা এনে দিতে । আঁকাস বাতাসের গতিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো। আঁক্কাস মিয়াঁ চশমা নিয়ে ফেরত আসার আগেই কুলছুম এর কাছে সব কিছুর ব্যাপারে জেনে নিলে তিনি। কিছুক্ষণ পর আক্কাস মিয়াঁ চশমা নিয়ে বাড়িতে আসে , ঘরে ঢুকতে ডাক্তার কাকা বেশ জোরেই আঁক্কাস মিয়াঁ কে উদ্দেশ্য করে বলে "মিষ্টি লইয়া আও আক্কাস মিয়াঁ, তোমাগো বাসায় নতুন অতিথি আইবো"। আক্কাস এর মন খুশিতে ভড়ে উঠে , তার বিশ্বাস এইবার কুলছুম তাকে একটা কন্যা সন্তান উপহার দিবে।
৭১ এর এ মার্চ মাস। সারাদেশে যুদ্ধ আর যুদ্ধ।
মাঝামাঝি । তখন সারাদেশে যুদ্ধ আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কিন্তু আক্কাস মিয়াঁদের গ্রামে যুদ্ধের আঁচ পড়েনি । কুলছুম শরীরটা আরও ভারী হয়ে উঠেছে। ফয়স আর আব্বাস এর জন্মের সময় এমনটা হয় নি। আক্কাস এর কপালে চিন্তার ভাঁজ বেড়েই চলেছে। নতুন অথিতি আসবে বলে এতদিন যে খুশিটা ছিল সেটা ফিকে হয়ে এসেছে।
৭১ এর আগস্ট মাস। ততদিনে আক্কাসদের গ্রামে পাকিস্তানী বাহিনী ঘাঁটি করে ফেলেছে। তাও গ্রামের একমাত্র স্কুল এ । ফয়স আর আক্কাস যে স্কুল এ পড়ত সেই স্কুলে। গ্রামের অনেকেই রাজাকার হয়ে পাকিস্তানিদের সঙ্গ দেয়া শুরু করল। গ্রামের রাজাকার বাহিনীর প্রধান করা হল মুফাস্বের আলী কে । বয়স ৭০ এর বেশী। আক্কাস মিয়ার বাপের বন্ধু হওয়াতে আক্কাস তাকে চাচা বলে ডাকত। কিন্তু এখন আর ডাকেনা , মুফাস্বের মিয়াকে ঘৃণা করে সে । গ্রামের অনেকে মুক্তিবাহিনী তে যোগ দেওয়ার জন্য গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। আক্কাস এর খুব ইচ্ছা ছিল সে ও যাবে, কিন্তু ২ টা ছোট ছোট বাচ্চা আর আর কুলছুম কে এই অবস্থায় রেখে যাওয়া সম্ভব না।কিন্তু এই না যাওয়ায় কাল হয়েছে তার জন্য। আগস্ট মাসের শেষের দিকে বেশ বৃষ্টি হয়েছিলো ওইবছর। একেবারে বন্যার মত অবস্থা। চারদিকে পানি আর পানি। আক্কাস মিয়াঁর পুকুরে ৭ রঙের যে মাছ ছিল সেটা পুকুর থেকে হাওয়া হয়ে গেছে। কারন পুকুর-বিল-খাল সব এক হয়ে গেছে। আক্কাস এর মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে।ফয়স আর আব্বাস স্কুলে যায় না অনেক দিন। সারাদিন বাসায় থাকে। আব্বাস এর ব্যবসা ভালো চলতেছে না। এখন শুধু চালের কল টায় ভরসা। একদিন সকাল সকাল খুব ভোরে কুলছুম এর খুব খারাপ লাগছিলো । আক্কাস এর বুঝতে বাকি রইল না নতুন অথিতি আসবে। বাড়ির চারদিকে পানি আর পানি। আক্কাস ফোয় কে পাঠাল ছকিনার মা কে ডেকে আনার জন্য । গ্রামে অধিকাংশ বাচ্চা দুনিয়াতে আসে তার ধরেই। আব্বাস কে মায়ের কাছে বসতে বলে আক্কাস মিয়াঁ ও বাড়ি থেকে বর হয়ে যায় ডাক্তার কাকা কে ডেকে আনার জন্য।
এই আগস্ট মাসের কথা জীবনে কখনো ভুলে নি কুলছুম । এই আগস্ট তাকে যেমন দিয়েছে তেমন তার জীবন থেকে অনেক কিছু নিয়ে গেছে । ................
চলবে।
বি ঃদ্রঃ আজ অনেক দিন পর লিখলাম , আপনাদের মতামত আশা করছি । ধন্যবাদ।