কাল্পনিক কথোপকথন ০১
#জাআআআন আমাকে একটু জডিয়ে ধরবা?? তুমি পাশে থেকে আমাকে জড়িয়ে না ধরলে খুব খারাপ লাগে। নিজেকে পর মনে হয়:'(
#পাগলী আমি তো তোমার ই আছি হাজার মাইল দূর থেকে তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস শুনতে পায়
#লম্বা লম্বা লেকচার দিতে হবে না। কাছে এসে বসো, নাইলে কিন্তু খবর আছে হাহ
#আচ্ছা বাবা আসতেছি (বুকে টেনে নিয়ে) । বুকে আসো, আইইই তোমার চুলের ঘন্ধ আমাকে পাগল করে দিবে.। উফফফ...
#আমার লক্ষ্মী জামাই
#আচ্ছা জাআআআনু যখন আমি থাকবো না, ............
#(মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে) আর একবার এই কথা উচ্চারন করলে কিন্তু তোমাকে আমি মেরেই ফেলবো
#হাহা আমি তো তোমার ভালোবাসায় ডুবে মরে গেছি। অনেক আগেইইইইইইই
বিঃদ্রঃ এর পরের কথোপকথন গুলা শুনার খুব ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু বেরসিক ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াতে আর শুনা হইলো না ভালো থাকুক ভালোবাসা
কাল্পনিক কথোপকথন ০২”
#আচ্ছা জাআআআন একটা কাজ করলে কেমন হয়, তুমি আজ থেকে চোখে সাদা গ্লাস না পড়ে কালো পরবা
#কেনো কেনো????
#যাতে তোমার ওই চোখে কারো নজর লাগে
#পাগলের মত কথা বলিও না। এমনিতে চোখে যাপসা দেখি, আর কালো গ্লাস পরলে তো তোমাকে ও ঠিক মত দেখবো না।
#আমাকে চোখ দিয়ে দেখার কি দরকার হাহ!!! মনের চোখ তো সারাক্ষন খোলায় রইল।
#আচ্ছা বাবা তোমাকে না হয় দেখলাম। কিন্তু পৃথিবী দেখবো কিভাবে???
#আমার চোখ দিয়ে দেখবা । আমি তোমাকে সারা পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ঘুরে ঘুরে দেখাবো।
#জ্বি না স্যার, আমার সারা পৃথিবী দেখা লাগবে না, তোমাকে দেখলেই হবে।
#আরে বাবা তোমার সুন্দর চোখে যাতে নজর না লাগে তাইইইই তো এতো ব্যবস্থা করতেছি। আর তুমি আমাকে বকা দিচ্ছো। আহহহহহা
#দূর পাগল তোমাকে বকা দিবো কেনো। শোনো আম্মু বলে “কনিষ্ঠ আঙ্গুলে কামড় দিলে নাকি আর নজর লাগে না। তুমি এক কাজ করো আমার আঙ্গুলে একটা কামড় দাও।
#না না আমি তোমাকে ব্যাথা দিতে পারব না।
#আরে বাবা দাও না, কিচ্ছু হবে না। ভবিষ্যতের সুখের জন্য এই সামান্য ব্যাথা কিছুইইইইইইইই না। শুধু প্রমিজ করো তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবা না।
#..................
বিঃদ্রঃ ছেলেটার উত্তর টা শুনার ইচ্ছা ছিলো।কিন্তু বে-রসিক ঘুম আবারো ভেঙ্গে গেছে। স্বপ্ন টা অপূর্ণ ই থেকো গেলো।আমার স্বপ্ন না হয় ভেঙ্গে গেলো, সমস্যা নাই, কিন্তু এই মেয়েটার স্বপ্ন যেনো না ভাঙ্গে।
কাল্পনিক কথোপকথন ০৩”
#আইইইই তুমি আমাকে “বউ” বলে ডাকো কেনো? আমাদের তো এখনো বিয়েইইইই হয় নি
#কে বলছে আমাদের বিয়ে হয় নি।আমি তো তোমাকে প্রতিদিন ই বিয়ে করি। মনে মনে হাজার বার “কবুল” কবুল” করতে থাকি । আর তুমি বলতেছো আমাদের বিয়ে হয় নি...। ।:'(
#হুম আর ন্যাকামি করতে হবে না। সময় হলে দেখা যাবে। হাজার বার না একবার “কবুল” বললেই হবে।
#তিন বার “কবুল” না বললে তো বিয়ে হয় না। একবার বললে কেমনে হবে হাহ।
#আমার ময়না পাখির বেশী কস্ট করতে হবে না। একবার বললেই আমি খুশি। এক লাফে তোমার গলায় ঝুলে পরবো।
#পাগলী বিয়ে বাড়িতে হাজার হাজার মানুষের সামনে আমার গলায় জড়ায় ধরবা? সবাই তোমাকে পাগল ডাকবে।=D
#ডাকলে ডাকুক। আমার যা ইচ্ছা করবো। আমি তোমার কাছে পাগল হয়েই থাকতে চায়।
#ওকে ওকে ঠিক আছে। কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে।
#ওমা এইখানে আবার শর্ত আসলো কোথা থেকে হাহ।
#তেমন কঠিন কিছু না। আমার ইচ্ছা আমরা বিয়ের পর সাত টা ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভ্রমন করব, আর সাতটা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় রিথিতে বিয়ে করব।
#আমার সাথে থাকতে থাকতে দেখি তুমি ও পাগল হয়ে গেছো। একবার বলো হাজার বার বিয়ে করছো, একবার বলো “তিনবার” কবুল বলতে হবে। আবার এখন সাত দেশ, সাত ধর্ম। ওমাগো।
#আচ্ছা বলো কোন কোন দেশে যেতে চাও??
# আমি কোথাও যেতে চায় না। তোমার মনের এক কোনে চুপটি মেরে বসে থাকবো।হুম
#............(ওদের কথা গুলা অস্পষ্ট থেকে অস্পষ্টতর হচ্ছে, বুঝতে পারতেছি আমার ঘুমের গভীরতা কমে আসছে)
বিঃদ্রঃ ছেলেটা মনে হয় খুশি ইইই হইছে। সাত দেশে যেতে হলে অনেক টাকা লাগতো। পাগলী টা টাকা গুলা বাঁচায় দিছে।
দূর আমি কি সব চিন্তা করতেছি............সব ছেলে তো আর আমার মত স্বার্থপর না। হয়ত ছেলেটা মেয়েটিকে জোর করে সাত দেশে নিয়ে যাবে, সাত সাতটা রিথীতে বিয়ে করবে, তবে গিনিজ বুকে নাম উঠানোর জন্য নয়। তার পাগলী টার জন্য ।