অনলাইনে মানুষ জনের আচরন দেখে আমি কয়েকটা ভাগে ভাগ করেছি। এই যেমন;
১) অন্ধ গ্রুপ: যারা অন্ধের মতো সরকারের হত্যাকান্ডের সমর্থন শুধু করেইনি তার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেছে। আর সেই সাথে মেট্রোরেলে জন্য তাদের আহাজারি চোখে পড়ার মতো। এটা খুব স্বাভাবিক, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে কিছু রাজাকার আলবদর পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়ে হত্যা জুলুমের বৈধতা দেবার চেস্টা করেছিল।
এখন প্রশ্ন, এরা কারা? এরা হলো সেই কোটিপতি, চেতনা ব্যাবসায়ীরা, যারা মুক্তিযদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করে খায়। তাদের মতের বাইরে কেউ কথা বললেই বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে চাপাতি লাঠি বৈঠা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে। দেশের টেন্ডার, ব্যবসা, চাকরী, পদ, সুন্দরী মডেল......... সবই তাদের। দেশে কোটি টাকার সম্পদ, বিদেশের ভিসা সবই তাদের। কয়েকবার হজ্জ্ব করে আখেরাতের পথও প্রায় ঝরঝরা।
২) আধা অন্ধ গ্রুপ: এরা কিছুটা সুযোগ সুবিধা পেয়েছে সময় সময়। বর্তমানে একটা ভালো অবস্থানে আছে। উগ্রভাবে সমর্থন না করলেও এরা ইনিয়ে বিনিয়ে হত্যাকান্ডের সমর্থন করে এবং এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করে না। কারন ভবিষ্যতের সুযোগ হাতছাড়া হবার ভয় তাদের। এতো মৃত্যু এদেরকে কাঁদায় না কিন্তু মেট্রোরেলে কেন আগুন তা নিয়ে তাদের আহাজারির শেষ নেই। কাঁদতে কাঁদতে তাদের নিউজফিড সয়লাব।
৩) ভীত গ্রুপ: এরা কোন এক সময় সরকারী দলের ডলা খেয়েছিল কিংবা এমনিতেই ভীত তাই ক্ষমতাধরদের বিরুদ্ধে যেতে সাহস করে না কখনই। এরা সর্বদাই ঝামেলা দেখলে বিছানার তলে প্রবেশ করে। কোন কিছুতেই নাই তারা, ক্ষমতাসীনদের প্রতি নিরব নি:শব্দ থাকে সর্বদা। সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কে জিতলো। তারপর তার দিকে হেলে পড়বে।
৪) বেকুব গ্রুপ: যেকোন অন্যায় দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বুক পেতে দেয় গুলির সামনে। কালোকে কালো সাদাকে সাদা বলতে দ্বিধা করে না।
১ থেকে ৩ গ্রুপের জন্য একরাশ ঘৃনা। ইতিহাস তোমাদেরকে আস্তকুড়ে ফেলবে অবশ্যই।
জুলাই ৩০, ২০২৪
ছবিটি শিল্পী প্রিমা নাজিয়া আন্দালিব একেঁছেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৩৫