সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগ সভানেত্রী এশা
কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রলীগ সভানেত্রী শায়লা
খবরটা দেখে শিউরে উঠলাম। নিজেকে বার বার প্রশ্ন করতে লাগলাম, আমি কি সত্যিই ঢাকা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলাম? আমি কি এমন হিংস্র ছিলাম তখন? বা আমার সময়ে কি এমন হিংস্র কাউকে পেয়েছিলাম? জীবনভর মেয়েদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছি নির্যাতিত বলে, এখন কি সত্যিই মেয়েরা নির্যাতিত? সুফিয়া কামাল হলে কি এমন কোন ঘটনা ঘটেছে? একটি মেয়ে কিভাবে ছুরি বা ধারালো অস্র হাতে আরেকটি মেয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে? আমি আর ভাবতে পারছি না, আমার মাথা পুরোপুরি হ্যাং হয়ে গেছে............।
ক'দিন আগে দেখলাম কুয়েত মৈত্রী হলের এক সভানেত্রী রাস্তার উপর ফেলে মেয়েদের কাপড় ছিঁড়ছে, পিটাচ্ছে। আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম। অামি মাত্র কয়েক বছর পার করেছি এ প্রজন্ম থেকে কিন্তু রাতারাতি এমন পরিবর্তন আগে কখনো দেখিনি। খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এমন হয় তাহলে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কি অবস্থা? এটি কেন হচ্ছে, কেন এমন মারমুখী হয়ে যাচ্ছে তারা? শুধু কি লীগের মেয়েরাই এমন করছে নাকি বাকিরা ও? কেন তারা এমন করছে???? ক্ষমতার দম্ভ? চাওয়ার আগে বেশী কিছু পাওয়ার দম্ভ? নাকি উপরে উঠার সিড়িঁ হিসেবে ব্যবহার করছে? নিজেকে লাইম লাইটে আনার চেস্টা করছে? এভাবে সাধারন বা দূর্বলের উপর অত্যাচার করে কি কেন্দ্রিয় কমিটিতে জায়গা পাওয়া যায়? এ ধরনের রেকর্ড থাকলে কি দলের উপরের দিকের পোস্ট পাওয়া যায়?... আমি আর ভাবতে পারছি না, আমি রাতে ঘুমোতে পারি না নিজের দেশের কথা ভেবে, নিজের দেশের সম্ভাবনাময় তরুন প্রজন্মে কথা ভেবে...........।
আগে শুনতাম শিবির রগ কাটে বিশেষ করে আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম তখন দেখেছিলাম চট্রগাম ও রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে প্রায় শিবিরগ্রুপ অন্য দলের ছেলেদের রগ কাটতো কিন্তু সাধারন ছেলেপেলেরা এর বাইরে ছিল। কিন্তু এখন দেখছি ক্ষমতাসীন দলের মেয়েরা রগ কাটে তবে তা সাধারন ছাত্রীদের। কিন্তু কেন করে তারা। আমি নিজে রক্ত সহ্য করতে পারি না, কোন পোকাকেও মারতে কষ্ট হয় আর আমার কয়েক প্রজন্ম পরের তরুনীরা রগ কাটে, রাস্তায় ফেলে পিটায়....................। হায় রে দেশ!!
কাল অরণ্যক এর পোস্ট পড়ে জানলাম হলে হলে নাকি টর্চার সেল আছে। ও মাই গড, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বা পাকিস্তানী শু.... বাচ্চাগুলো এমন কাজ করতো। টর্চার সেল এর সে ভয়াবহ কাহিনী পড়েছি আর শিউরে উঠেছি। আজ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর নিজ স্বাধীন দেশের স্বাধীন নেতারা নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার করে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের দাবীদার দলের পক্ষে এমন কাজ নিজেকেই সত্যিই হতাশ করে।
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এ তরুন প্রজন্মকে বাচাঁন। এরাই দেশের সম্ভাবনা, এরাই দেশের ভবিষ্যত। যে তরুনী ফুল বই হাতে নিয়ে বকুলতলায় বসবে, সে আজ ছুরি হাতে বান্ধবীর গলায় চেপে ধরছে। প্লিজ প্লিজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ প্রজন্মকে বাচাঁন। এরা ধ্বংস মানে পুরো জাতি ধ্বংস, এরা ধ্বংস মানে দেশ ধ্বংস, এরা ধ্বংস মানে ভবিষ্যত প্রজন্ম ধ্বংস।
উপরের ছবিদুটোর দিকে তাকান, কি সুন্দর মেয়ে দুটো.... কি নিস্পাপ ওদের চোখ দুটো। কেন তারা এতো হিংস্র হয়ে গেছে, কেন তারা এতো উম্মত্ত হয়ে গেছে??? প্লিজ প্লিজ প্লিজ ওদেরকে রুখে দিন, ওদেরকে সঠিক পথটি দেখিয়ে দেন। অস্র নয় বই তুলে দেন ওদের হাতে। ওদের বলুন ওরাই দেশের ভবিষ্যত, ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে পুরো দেশ, পুরো জাতি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যে সাধারন ছাত্র-ছাত্রীটি ইউনিভার্সিটিতে শুধু পড়তেই এসেছে রাজনীতি করতে নয় তাদেরকে বাচাঁন, তাদেরকে পড়তে দিন, তাদেরকে তাদের মতো থাকতে দিন। দলের ছেলেরা দল করুক কিন্তু সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মতো করে চলুক, পড়ুক, হাসুক ... আর উচ্ছলতায় ক্যাম্পাসের প্রাণ আনুক। ওরাতো দলের কোন কাজে বাধাঁ দিচ্ছে না। কেন ওদেরকে জোর করে দলে নিবো, রগ কেটে আন্দোলনে যেতে বাঁধা দিবো, পিটিয়ে হল থেকে বের করে দিবো, কেন কেন কেন? আমরা তো গনতান্ত্রিক রাস্ট্ নিশ্চয় স্বৈরাচর কোন রাস্ট্র নই.... তাই নয় কি??
কয়েকটি সংবাদের লিংক দিলাম নীচে ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগের"
অনলাইন খবর
অনলাইন খবর
অনলাইন খবর
অনলাইন খবর
অনলাইন খবর
অনলাইন খবর
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:২৩