পড়ন্ত বিকেলের কোন এক বিষণ্ণ প্রহরে অপেক্ষায় ছিলাম...
ভেবেছিলাম হঠাত দমকা হাওয়ায় চারদিকটা প্রাণ ফিরে পাবে !
আকার-আকৃতিহীন, বর্ণহীন জলের প্লাবনে জমে থাকা কাঁদা ধুয়ে মুছে বোধের পথটাকে পরিষ্কার করে দিয়ে যাবে...
সবটাই ছিল আমার বোঝার অক্ষমতা। কেউ আসেনি। কেউ এসে আমাকে আমার মত করে স্বাধীনতার টকটকে লাল সূর্যটা হাতের মুঠোয় দিয়ে বলেনি, ঐযে তাকিয়ে দেখ এখনই নামবে অরণ্যজুড়ে এক ঝাঁক জোনাক...
চারদিকে জমাট বাঁধা রক্তে মাছিদের উৎপাত...
কারও মৃত্যুই কারও জন্য প্রাণের সঞ্চালন, শিখেছি মাটির গহীনে জন্ম নেয়া পরজীবীদের কাছ থেকে।
মাঝে মাঝে নিজেকেও বড় বেশি পরজীবী মনে হয়...
মনে হয় আমার জন্ম নেয়াটাই হয়েছে নরকের সিংহাসন আলোকিত করার জন্যই।
বাতাসে যখন নিঃশ্বাস ভরে ঘ্রাণ নেই সদ্য হেটে যাওয়া কোন মাধবী সন্ধ্যার...
মনে হয় যেন বিষাক্ত সময়গুলো আমাকেও সজীব করে রেখে যায়...
এইত আর কিছুক্ষণ পরেই রাত...
তারপর !!
তারপরেই আমার বুক সেলফের ভেতর থেকে উঁকি দিয়ে ডাকবে আমাকে; পুরোন কবিতার ছেঁড়া পান্ডুলিপি...
সেও তার পূর্ণতা চায়...
সেও চায় বেঁচে থাকার অধিকার।
শুধু আমার স্বাধীনতা বাঁধা পড়ে থাকে সীমানার ওপাশে, যেখানে বাস করে নরকের ঘূণ...
আমি চেয়েছিলাম আমাকে কেউ আমার মত করে স্বাধীনতা এনে দিক।
স্বাধীনতা সেত ছলনাময়ী কিশোরীর মত...
তারপর ধীরে, খুব ধীরে যখন নিভে যায় আমার ঘরের প্রদীপের আলো...
আমি আমার স্বাধীনতাকে খুঁজে পাই, খুঁজে পাই... অনন্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭