ব্লগ লিখা আর পড়াও মনে হয় চর্চার ব্যাপার। কিছুদিন খুব ব্যস্ততায় দিন কাটানোর পর আজ ব্লগে ঢুকে দেখি কোন পোষ্ট ই পড়তে ইচ্ছে করছে না, শিরোনাম পড়েই বিশেষ অজ্ঞের মত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছি ‘ ভিতরে ঢুকার দরকার নাই, আজাইড়া পোষ্ট’।
তারপর ভাবলাম আসলে আমাকেই পোষ্টাইতে হবে, আমার মত এমন কামেল ব্লগার থাকতে ব্লগে সুন্দর পোষ্ট আসবেনা তা কি করে হয় ? মাথায় তো আইডিয়া গিজগিজ করে সব সময়, আমার কি চিন্তা? যে কোন একটা আইডিয়া চিমটা দিয়ে ধরে বসিয়ে দিলেই তো অসাধারণ পোষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু একি!!! মাথায় তো কোন কিছুই আসছেনা । চিমটা তো দূরের কথা; খোঁজ দ্যা সার্চ, চালুনি দিয়াও একটা আইডিয়া ধরতে পারলাম না, পারব কি করে? যা নেই তা কি আর ধরা যায়? এখন আমার কি হবে? এভাবেই কি একটি সম্ভাবনাময় ব্লগার হারিয়ে যাবে?
সেই সময় ই এই পোষ্টের আইডিয়া চলে আসল। আইডিয়ার অভাবে লিখতে পারছিনা এটাই তো একটা আইডিয়া। পোষ্ট শেষ।
শেষ করার আগে একটা অতি পরিচিত জোকস দেই। প্লিজ সহ ব্লগার রা ভ্রু কুচকাবেননা। এখানে জোকসটা প্রধান নয়, প্রধান হচ্ছে জোকস টা যেদিন প্রথম শুনি সেদিনের ঘটনাটা।
ঘটনা হল বিজ্ঞানীরা একটি মিথ্যা মাপার যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, রেটিং হচ্ছে ১ থেকে ১০। সবচেয়ে বড় মিথ্যা দশে দশ পাবে। প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হল। প্রতিযোগী একজন আমেরিকান, একজন জাপানী আর যথারীতি একজন বাংলাদেশী।
১। আমেরিকানঃ আমদের দেশে একটি সাবমেরিন কাম উড়োজাহাজ বানানো হয়েছে যা কিনা পানির উপরে না ভেসে ৭০ বছর পানির নীচে থাকতে পারবে, আবার এটা চাইলে একটানা আকাশ পথে থাকতে পারবে ৭০ বছর। --------যন্ত্রে রেটিং উঠল ৭।
২। জাপানীজঃ তারা একটা রোবট বানিয়েছে যেটা কিনা দৌড়ে হারিয়ে দেবে উসাইন বোল্ট কে, ভেঙে দেবে পোল ভল্টে করা বুবকার রেকর্ড, যার কাছে নাদাল ফেদেরার দের খেলা মনে হবে বাচ্চাদের খেলা।------রেটিং ৭.৫।
৩। বাংলাদেশীঃ আমি একবার বাসে করে সিলেট যাচ্ছিলাম। আমার পাশে বসেছিলেন নোয়াখালীর এক ভদ্রলোক--------------যন্ত্রে শুরু হল বিকট শব্দ আর রেটিং আসল ১০। কি ব্যাপার? যন্ত্র থেকে একটা রিপোর্ট বের হয়ে আসল…………… ‘নোয়াখালীর লোক ভদ্র’ এর চেয়ে বড় মিথ্যা আর হয়না।
এই জোকসটি কলেজ জীবনে আমার এক বন্ধু যখন সবাইকে বলছিল তখন তার পিছনে এসে দাড়াল আমাদের এক বান্ধবী, যে কিনা নোয়াখালীবাসী এবং যার রাগ কিংবদন্তীতুল্য। ওকে দেখে আমরা সবাই ঘাবড়ে গেলাম আর আমাদের চেহারা অভিব্যাক্তি দেখে জোকার সাহেব পিছন ফিরে ওকে দেখেই বলল, “আমার এই গল্পটি নোয়াখালীর ভদ্রলোকদের জন্য, ভদ্রমহিলারা এর অন্তর্ভুক্ত না”।
বিঃ দ্রঃ নোয়াখালীর সকল ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রমহোদয়ের কাছে আমি কড়জোড়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই জোকসের জন্য।আমি ব্যাক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি কোন অঞ্চল, ধর্ম বা বর্ণ ভেদে মানুষ ভাল বা খারাপ হয়না; মানুষ ভাল বা খারাপ পুরোটাই তার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার।