আর কোন কূটচাল নেই তোদের ঐ ইবলিশের মত মাথায়, এই কয়েকটা মাত্র। এগুলো করে তোরা মনে করেছিস আন্দোলনকারী তরুন প্রজন্ম মনোবল হারিয়ে ঘরে ফিরবে। হায়রে ! এইজন্যি তোদের কে ছাগু বলা হয়, কারণ তোদের বুদ্ধি ছাগলের মত।
এক নজরে তোদের আন্দোলন বানচালকারী অপচেষ্টাসমূহঃ
১। শাহবাগ আন্দোলনে সব মিলিয়ে ৫০ জন মানুষ ও নেই, এর চেয়ে তোদের জেলা পর্যায়ের মিছিলেও বেশী লোক থাকে।
কিন্তু আমরা কি দেখলাম? আমরা দেখলাম জনসমুদ্র, শুধু শাহবাগে না, দেশে-বিদেশের নানা স্থানে।এইখানে দেখুন
২। শাহবাগে নাকি গাঁজার আড্ডা, তোরা নাকি শাহবাগের কাছ দিয়ে হেটে গেলেও গাঁজার গন্ধ পাস(পেতেই পারিস তোরাতো কুত্তা আর কুত্তার ঘ্রাণশক্তি অনেক বেশি, অনেক দূর থেকে ঘ্রান পায় তাই মনে হয় তোদের আব্বারা মগবাজারে বসে গাঁজা টানে সেটার গন্ধই শাহবাগে পাস)। তোরা ব্লগে আর ফেবুতে ম্যাতকার শুরু করে দিলি এই বলে যেসব মেয়ে শাহবাগে বসে আছে তারা পতিতা, লাকী আক্তারকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
কিন্তু সারা পৃথিবীর মানুষ কি দেখল? দেখল সব বয়সের মানুষের এক মিলন মেলা, শাহবাগে মায়ের কোলে থাকা শিশু থেকে শুরু করে ষাটোর্ধ মানুষের একত্র সহাবস্থান। এই ধরনের সহাবস্থানে যে গাঁজার আসর বসানো যায় না সেটা যে কোন মানুষ জানে, জানিস না শুধু তোদের মত কিছু সারমেয় প্রজাতির জানোয়ার। আমরা দেখলাম আমাদের পরিবারের, আমাদের পরিচিত, আমাদের অগ্রজ-অনুজ মেয়েরা যাচ্ছে শাহবাগে, অনেক রাত পর্যন্ত থাকছে, শ্লোগান দিচ্ছে। তারা যদি মনে করত ঐ জায়গাটা মেয়েদের জন্য নিরাপদ না তাহলে কখনই যেত না। আর শাহবাগে পতিতাদের থাকার কথা বলছিস, আসলে পতিতাদের সাথে পরিচয় বা যোগাযোগ বা উঠা-বসা কোনটাই যারা শাহবাগে আন্দোলনরত তাদের কারোর নেই। তোদের আছে। সেটার প্রমান একটু পরেই দিচ্ছি।
৩। এরপর তোরা শুরু করলি, এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের, এই আন্দোলন সরকার ছিনতাই করে নয়ে যাবে।( আরে যেই আন্দোলনে তোদের ভাষায় ৫০ জন লোক নেই, যারা আছে তারা গাঁজাসেবী আর পতিতা, সেই আন্দোলন কে করাচ্ছে বা কে নিয়ে গেল তা নিয়ে তোদের কেন এত মাথা ব্যাথা?)
তোদের সেই প্রপাগান্ডার জবাব ও আন্দোলনকারীরা দিয়ে দিল কোন বড় রাজনৈতিক নেতাকে ভাষণ না দিতে দিয়ে।
৪। তারপর তোরা করলি আরও জঘন্য একটা কাজ। থাবা বাবার মৃত্যু ( এই খুন তোরাই করেছিস কিনা তা প্রমাণ হয়নি বলে বললাম না, যদিও আমার ব্যাক্তিগত মত এটা তোদের ই কাজ ) নিয়ে শুরু করে দিলি আস্তিক- নাস্তিক সংক্রান্ত ম্যাতকার।
আরে ছাগলের দল আমি ও আস্তিক, তোদের চেয়ে বেশী না হলেও কম না আমার ধর্মীয় অনুভুতি। কিন্তু এইজন্য আমি কোন নাস্তিক কে খুন তো দূরের কথা তাদের কে মৃদু আঘাত করাকেও সাপোর্ট করব না, আর এই শিক্ষা আমি পেয়েছি ইসলাম থেকে, সবচেয়ে বড় মুসলমান থেকে, তিনি হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তার জীবনে তিনি যত নাস্তিক আর পৌত্তলিক দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন,তাদের কাউকে তিনি আঘাত করেন নি মেরে ফেলা দূরের কথা, যুদ্ধের ময়দান ছাড়া তিনি কোন ও অমুসলিমকে আঘাত করার কথা চিন্তাতেও আনেন নি।এখন তোরা বল উনার চেয়ে বড় মুসলমান আর কাকে পেয়েছিস যে একটি হত্যাকান্ডকে সমর্থন করতে শিক্ষা দিয়েছেন।
তোদের মত এইসব বক ধার্মিকদের জন্য আজ মুসলমানদের এত দুর্নাম।
৫। এরপর তোরা আন্দোলনকারী ব্লগারদের খুন করার জন্য লিস্ট তৈরী করলি।এইখানে
শুরু করলি ব্লগারদের ব্যাক্তিগতভাবে ফেবুতে হুমকি।
ঘুড্ডির পাইলটের উত্তর শুনেই নিশ্চিত বুঝতে পেরেছিস তোদের এইসব হুমকি আন্দোলনকারীরা কেয়ার করে না।
৬। এইবার তোদের সর্বশেষ আকর্ষন
তোরা নাকি আন্দোলনকারী শীর্ষস্থানীয়দের চরিত্র পতিতা দিয়ে নষ্ট করবি, এর জন্য তোরা টাকা পয়াসা খরচ ও করে ফেলছিস।আরে আন্দোলনকারীদের কে কি তোরা তোদের আব্বা মেশিন দেইল্লার মত মনে করছস নাকি? আর উপরে বললাম না তোরাই ভাল জানিস পতিতা কে? কোথায় থাকে? তাদের সাথে কি করে যোগাযোগ করতে হয়? এইবার প্রমাণ পাইলি তো।
সবশেষে একটা কথা বলি, এই আন্দোলন চলবেই। কোন ইবলিশের ক্ষমতা নাই এই আন্দোলন বানচাল করার। পারলে আরও কিছু কর?
কিন্তু রাজাকারের ফাঁসী হবেই।
আর এটার একটা লক্ষন বলে শেষ করছি, খবরটা তোদের জন্য কষ্টের , কিন্তু কি আর করা।
-মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির পাশাপাশি দল বা সংগঠনের বিচারের সুযোগ রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধনের বিল পাস করেছে জাতীয় সংসদ।
-একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামির পাশাপাশি সরকারেরও আপিলের সমান সুযোগ রাখা হয়েছে সংশোধিত আইনে।