রাজধানীসহ সারাদেশে সার্বিক পরিস্থিতি বোমা বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর ও দুর্বৃত্তদের নানা নাশকতায় গুরুতর জখম যন্ত্রণাকাতর নিরীহ মানুষের আর্তচিৎকারে ভয়াল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধে রাতের আঁধার এখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে সারাদেশ।
আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারীবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় সারাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি দিনভর স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা গড়াতেই মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর এবং দুর্বৃত্তদের নানা নাশকতায় গুরুতর জখম যন্ত্রণাকাতর নিরীহ মানুষের আর্তচিৎকারে ভয়াল পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। এর সঙ্গে সম্প্রতি শুরু হওয়া একের পর এক কথিত ক্রসফায়ারের ঘটনা রাতের বাংলাদেশকে আরো বিভীষিকাময় করে তুলেছে।
উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতিতে উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে পায়ে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কায় খোদ আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরা ভীত-সন্ত্রস্ত রয়েছে। তাই প্রতিদিনই আঁধার নামার আগেই সর্বস্তরের মানুষ ঘরে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠছে প্রতিটি মানুষ। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও শ্রমজীবী অনেকেই দুপুর না গড়াতেই হাতের কাজ ফেলে কর্মস্থল ছেড়ে ঘরে ফেরার পথে বেরিয়ে পড়েন। নাশকতার আতঙ্কে গণপরিবহনের মালিক-চালকরা সন্ধ্যার আগেই নগরীর রাজপথ থেকে তাদের বাস-মিনিবাস ও লেগুনাসহ অধিকাংশ যানবাহন সরিয়ে নিচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি নিতে নারাজ অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যানচালকরাও। ফলে দিনের আলো নিভে যেতে না যেতেই গোটা দেশ ভুতুড়ে জনপদে পরিণত হচ্ছে রাজধানী।
এদিকে রাজধানীর প্রধান তিনটি বাস টার্মিনাল থেকেও দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। তবে কয়েক ঘণ্টা পরপর দু’-একটি লোকাল পরিবহনের বাস ছাড়লেও যাত্রীদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। প্রতিনিধিদের খবরে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম বাস-মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিলউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আশানুরূপ দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। অবরোধকারীরা আমাদের একটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। তাই মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রাজশাহী : বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজশাহী থেকে ঢাকামুখী একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজশাহী জেলায় হরতাল ডেকেছে দলটি।
সিলেট : পুলিশ-বিজিবির পাহারায় এক ঘণ্টা পরপর একটি বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে হানিফ-শ্যামলী-ইউনিকসহ অভিজাত পরিবহনের বাসগুলো ছাড়েনি।
যশোর : সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঈগল পরিবহনের ৩টি বাস ছেড়েছে। তাও পুলিশ-বিজিবির পাহারায়।
বগুড়া : বগুড়ার থলথলিয়া কোচ টার্মিনাল থেকে ঢাকামুখী দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে।
এদিকে রাতের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী-এমপি, রাজনীতিবিদ, বিচারক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাসায় বোমা হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অনেকেই এখন নিজ ঘরেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এ ধরনের হামলার আতঙ্কে নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন।
অন্যদিকে কখন কারা সাদা পোশাকে কাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে রাতের আঁধারে ক্রসফায়ারের গল্প ফেঁদে লাশ রাস্তায় ফেলে রাখে এ আতঙ্কে বিরোধী শিবিরের নেতাকর্মীরা ভীত-সন্ত্রস্ত। তাই উদ্বিগ্ন অনেকেই সারাদিন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও সন্ধ্যা নামতেই অজানা ঠিকানায় আত্মগোপন করছেন।
পুলিশ ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, টানা অবরোধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যানবাহনে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ৯০ শতাংশ ঘটনাই রাতের আঁধারে ঘটেছে। দুর্বৃত্তদের হামলায় গত ১৫ দিনে যে ২৭ জন মারা গেছেন তাদের অধিকাংশই রাতে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্ধকারকে পুঁজি করেই দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আগুন দিচ্ছে।
রাতের বাংলাদেশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার কথা র্যাব-পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন। তাদের ভাষ্য, উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্পর্শকাতর প্রতিটি জেলায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা চোরাগোপ্তা হামলা চালালে তা প্রতিরোধ করা তাদের পক্ষে কঠিন। এমনকি অনেক সময় তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ হচ্ছে। দুর্বৃত্তরা তাদের ওপরও নির্বিঘ্নে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে রাতের নিরাপত্তা জোরদারে গত সোমবার থেকে সারাদেশে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তবে তাতেও যে তেমন কোনো লাভ হয়নি তা গত দু’রাতের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। সোমবার ফেনীতে ২০টি পণ্যবাহী ট্রাকসহ ২৫টি যানবাহন ভাংচুর এবং রাজধানীতে তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া শাহবাগে ককটেলের আঘাতে এক বাসচালক আহত হয়েছেন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসে, বগুড়ায় তিনটি ট্রাকে আগুন এবং পত্রিকাবাহী একটি পিকআপে ককটেল হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। রংপুরে আসামি ধরতে পুলিশি অভিযানকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জামায়াতের এক নেতা। এসব ঘটনার অধিকাংশই ঘটেছে রাতের আঁধারে।
সোমবার গভীর রাতে রাজধানীর শনিরআখড়ায় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। একই সময় একটি লেগুনায়ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেষরাতের দিকে কয়েকজন যুবক মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের অফিসে আগুন দিয়ে একটি লেগুনার গতিরোধ করে ভাংচুর চালায়। এরপর লেগুনাটিতেও পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে মঙ্গলবার দিনভর ঢাকাসহ দেশের কোথাও উল্লেখযোগ্য কোনো নাশকতার ঘটনা না ঘটলেও রাতের আঁধারে সক্রিয় হয়ে ওঠে দুর্বৃত্তরা। র্যাব-পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে বিভিন্ন স্থানে তারা হামলা চালায়।
এদিকে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার অসংখ্য মানুষ রাতের পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্কর করে তোলার জন্য অনেকেই আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারীবাহিনীর একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের দুষেছেন। তাদের অভিযোগ, ভয়াল পরিস্থিতির ফায়দা লুটে অনেক পুলিশ সদস্য ‘গ্রেপ্তার বাণিজ্যে’ নেমেছে। তারা নিরীহ পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন আরোহীকে বোমাবাজ কিংবা সন্দেহভাজন নাশকতাকারী হিসেবে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। তাদের পাতানো ফাঁদে পড়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার অসংখ্য নিরীহ মানুষ জেলের ঘানি টানছে। ফলে তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে।
এ পরিস্থিতিতে অধিকাংশ অভিভাবকই পরিবারের সদস্যদের সন্ধ্যা নামার আগেই ঘরে ফিরে আসতে বাধ্য করছেন। এমনকি পরিবারের বয়স্ক সদস্যরাও জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছেন। সন্ধ্যার পর কেউ বাসা থেকে বের হওয়ার পর পুনরায় নিরাপদে ফিরতে পারবেন কিনা এ দুর্ভাবনায় সময় কাটাচ্ছে।
এদিকে রোব ও সোমবার রাতে ঢাকায় যে দুটি ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে তাতে সারাদেশের মানুষের মধ্যে নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সুধীজন প্রতিনিধিদের অনেকেই এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দুর্বৃত্তদের চোরাগোপ্তা হামলার বিপরীতে দেশে আবারো ‘ক্রসফায়ারের নাটক’ ফিরে এলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। এ ধরনের ঘটনা দুর্বৃত্ত ও আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারীবাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
সুধীজনদের ভাষ্য, রাতের আঁধারের ক্রসফায়ারের ঘটনায় নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে খুনের হিড়িক পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
অবরোধের ১৫ দিনে ৭,০১৫ গ্রেপ্তার, নিহত ২২
অবরোধের ১৫ দিনে সাত হাজার ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম রেঞ্জে সবচেয়ে বেশি এক হাজার পাঁচ শ’ ৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপরই রয়েছে রাজশাহী রেঞ্জের অবস্থান। এ রেঞ্জে এক হাজার ১২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বরিশাল রেঞ্জে সবচেয়ে কম ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ছাড়া অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১১ জন এবং অন্যান্য ঘটনায় আরও ১১ জনসহ মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও র্যাবকে সহায়তার জন্য ১২০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে গ্রেপ্তার ও নিহতের সংখ্যা, বিজিবি মোতায়েন এবং পেট্রলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপের এসব চিত্র আলোচনার জন্য উঠবে। সারা দেশে গত ১৬ দিন ধরে চলা অবরোধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এ জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী ৫ই জানুয়ারি থেকে ১৯শে জানুয়ারি পর্যন্ত পেট্রলবোমায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ২৩টি, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৮৪টি, অগ্নিদগ্ধে আহত হয়েছেন ৩৮ জন এবং অন্যান্যভাবে আহত হয়েছেন ১৯২ জন।
সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন ২৩০ জন। ছয় মেট্রোপলিটন পুলিশ ও আট রেঞ্জের গ্রেপ্তারের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫ই জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি ৯২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া ৬ই জানুয়ারি ৩২৫ জন|
৭ই জানুয়ারি ২৯৭ জন|
৮ই জানুয়ারি ৩০৩ জন|
৯ই জানুয়ারি ৩৪৩ জন|
১০ই জানুয়ারি ৭০৪ জন|
১১ই জানুয়ারি ৫৬৬ জন|
১২ই জানুয়ারি ৫৩৬ জন|
১৩ই জানুয়ারি ৫৩৩ জন|
১৪ই জানুয়ারি ৫৫৬ জন|
১৫ই জানুয়ারি ৪৫৯ জন|
১৬ই জানুয়ারি ৩৭৯ জন|
১৭ই জানুয়ারি ৩২৫ জন|
১৮ই জানুয়ারি ৩৭৬ জন।
১৯শে জানুয়ারি ৩৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৫২০ জন|
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ৩২৬ জন|
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৮১ জন|
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৯৫ জন|
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ১১৯ জন|
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ ১১৬ জন|
ঢাকা রেঞ্জ ৯৪৬ জন|
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ১৫৯৩ জন|
রাজশাহী রেঞ্জ ১১২৩ জন|
রংপুর রেঞ্জ ৫৯২ জন|
খুলনা রেঞ্জ ৭৫৩ জন|
বরিশাল রেঞ্জ ১২২ জন|
সিলেট রেঞ্জ ৫২৫ জন এবং রেলওয়ে রেঞ্জে চার জনসহ সব মিলিয়ে ৭০১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং যাত্রী ও রেললাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১২ই জানুয়ারি ভোর ছয়টা থেকে আট হাজার ৩২৮ জন আনসার ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছে।
তারা দেশের দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেলপথে এক হাজার ৪১টি স্পর্শকাতর পয়েন্টে পাহারায় নিয়োজিত আছেন। রেলের অপারেশন শাখা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ও পশ্চিম রেল অঞ্চলে ৩৩৪টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে নিয়মিত চলাচল করছে। এসব ট্রেন চলাচল করছে ৩০-৩৫ কিলোমিটার গতিতে। এর আগে এসব ট্রেনের স্বাভাবিক গতি ছিল ৭০-৮০ কিলোমিটার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্যই জরুরি ভিত্তিতে ডাকা হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে মন্ত্রী ও কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গতকাল তাদের কাছে কার্যপত্র পাঠানো হয়েছে। তাই অবরোধই আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার মূল আলোচ্য বিষয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। -