আমরা যে দিন দিন হুজুগে জাতিতে পরিনত হচ্ছি, তা বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে চরম বাড়াবাড়ি দেখলেই বুঝা যায়। সারাদেশ ৩২টি দেশের পতাকা দিয়ে ভরে গেছে, বুকে হাত দিয়ে বলুনতো দেশের পতাকা কয়দিন উড়িয়েছেন?? সাপোর্ট অবশ্যই কোন না কোন দলকে করতে হবে, তাই বলে এত ছেলেমি কেন? প্রায়ই পেপারে আসছে দেশের বিভিন্নস্থানে মারামারি ফুটবল সমর্থকদেরকে নিয়ে। গতকাল ফোনে বাবা বলছে আমাদের বাড়ির পাশের আলু স্টোরে খেলা দেখা নিয়ে দু'বার মারামারি হয়েছে, কিন্তু কেন??? আমরা যে ফুটবল দলগুলো সমর্থন করছি, ওরা কি জানছে কিছু আমাদের এই উন্মাদনা??? অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।
কিন্তু বিশ্বকাপ আমাদের লাফালাফি দেখে অন্যদেশের লোকজনও হাসবে। সব কিছুতেই আমাদের বাড়াবাড়ি, আর আসল জায়গায় সদরঘাট। এরপ্রধান কারন আমাদের মানসিকতা, অন্যকে/অন্যের কাজকে মেনে না নেবার প্রবনতা, কি ব্যক্তি জীবনেই হোক আর জাতীয় ক্ষেত্রেই হোক। মানে সালিশের সবই মানি, কিন্তু তালগাছটা আমার। এজন্যই ব্যক্তি জীবন থেকে জাতীয় জীবন সব খানেই আমরা মার খাচ্ছি, হয়ত এমন চলবেই কয়েক প্রজন্ম..........জানি না, এর শেষ কোথায়, কবে দেশের মানুষ এর এই হুজুগেপনা থেকে বোধোদয় হবে????
জাপান ক্যামেরুনের মত দেশকে হারিয়ে দেবার পরেও দেখলাম জাপানীজদের মধ্যে ভাবান্তর নেই, হয়ত খেলার সময় খেলা দেখেছে, তখন হইচই করেছে, এরপর নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আর আমরা???? নিজের দেশও খেলছে না, এরপরও যা করছি আমরা.............
তাই বলে আমি বলছি না যে উল্লাস করা যাবে না, করা যাবে, তবে সেটা অবশ্যই লিমিট এর মধ্যে। সব দল/সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। কাউকে হেয় না করে।