ছবি - kalerkantho.com
ধৈর্য বা সহনশীলতা সৌভাগ্যের প্রতীক। ধৈর্যহীন ব্যক্তি আলোহীন মশালের মতো। ধৈর্য জন্মগত কিংবা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কোনো কিছু নয়। কেউ যদি নিজেকে ধৈর্যশীল বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে তার জন্য সম্ভব। কারণ ধৈর্য এমন ফুল, যা সব জায়গায় সুবাস ছড়ায়। আল্লাহ তাআলা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় ধৈর্যশীলদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, " আর তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো এবং নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবে না, করলে তোমরা সাহস হারাবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে। আর ধৈর্য ধারণ করো,নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন"। (সুরা আনফাল, আয়াত - ৪৬)।
আল কোরআনে মহান আল্লাহতাআলা আরো বলেন, " আর আমরা তোমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদের"। (সুরা বাকারা, আয়াত - ১৫৫)।
বর্তমানে প্রতিদিনই সারা দুনিয়ায় সব জায়গায় আমরা অধৈর্য-অস্থিরতা-অসহিষ্ণুতা দেখতে পাই। যত ধরনের অন্যায় অপরাধ দুনিয়াতে হয় তার বেশীরভাগই মানুষের অধৈর্যের ফলেই ঘটে থাকে। প্রকৃত অর্থে, একজন সত্যিকারের মানুষের যে সকল গুণ সফলতার জন্য প্রয়োজন ‘ধৈর্য’ তাহার মধ্যে অন্যতম। ধৈর্য গুণটি মানুষকে সকল বিপদ আর দুরবস্থার মধ্যে শক্তি জোগায়। এই জন্য বলা হইয়া থাকে-তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ।
মানুষ স্বভাবতই সুখে-শান্তিতে আনন্দ-উল্লাসে থাকিতে ভালোবাসে। কিন্তু এই পৃথিবীতে নিরবচ্ছিন্ন দিন কিংবা রাত যেমন নাই তেমনি এই জগতে কখনো এমন দিন আসবে না, যখন বিপদ-আপদ বলিয়া কিছু থাকবে না। মঙ্গলের পাশাপাশি অমঙ্গল থাকবেই। অমঙ্গল কাহারোই কাম্য নয় তবে ভুলিয়া গেলে চলবে না মঙ্গল ও অমঙ্গলের উৎপত্তি কিন্তু একই জায়গা হতে। এই কারণে বাল্যকাল হতেই আমাদের শিখানো হয়, " অমঙ্গলকে জগৎ হইতে হাসিয়া উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিয়ও না, তাহা হইলে মঙ্গলসমেত উড়িয়া যাইবে"।
চৈনিক দার্শনিক কনফুশিয়াস এই জন্য বলেছেন ধৈর্যের অভাবের কারণে অনেক বড় বড় সম্ভাবনা ধ্বংস হইয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে ধৈর্য এমন একটি গাছ, যাহার সারা গায়ে কাঁটা, কিন্তু তার ফল অতি সুস্বাদু। সুতরাং " কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে "? কাঁটার ভয়ে ধৈর্যহারা হইলে সাফল্য কী করিয়া আসবে ? আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, মহান সৃষ্টিকর্তা সাফল্যের নিয়ামক রূপে বর্ণনা করিয়াছেন ধৈর্যকে। বিখ্যাত ফারসি কবি জালালউদ্দিন রুমির নিকট ধৈর্য হইল বুদ্ধিমত্তার উত্তম পরিচয়। তিনি মনে করিতেন-ধৈর্য মানে শুধু বসিয়া বসিয়া অপেক্ষা করা নহে, ধৈর্য মানে ভবিষ্যৎকে দেখিতে পাওয়া। ধৈর্য মানে কাঁটার দিকে তাকাইয়া গোলাপকে দেখা, রাতের অন্ধকারের দিকে তাকাইয়া দিনের আলোকে দেখা। এই জন্য সর্বশক্তিমান স্রষ্টা যখন মানুষকে সীমাহীন কষ্ট, বালা-মুসিবত, বাধাবিপত্তির মধ্যে ফেলেন, তখন তিনি দেখিতে চাহেন-ঐ ব্যক্তি ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে সক্ষম কি না। যাহার মধ্যে ধৈর্য নাই, ধরিয়া লইতে হইবে তিনি একজন দুর্বল মনের মানুষ। যাহার ধৈর্য নাই, তাহার মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং সাহসও নাই। সুতরাং সমাজ-রাজনীতি হইতে শুরু করিয়া ব্যক্তিজীবন-পারিবারিক জীবন কোথাও ধৈর্যহারা হওয়া যাবেনা। হতাশ হওয়া যাবেনা।
ছবি - bd-pratidin.com
মানব জীবনে ধৈর্যের গুরুত্ব
ধৈর্যের গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,"মহাকালের শপথ, মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ধৈর্যের উপদেশ দেয়"। (সূরা আসর, আয়াত - ১ - ৩)। এই সূরায় মহান আল্লাহপাক ধৈর্যকে সাফল্যের নিয়ামকরূপে বর্ণনা করেছেন।মানব চরিত্রের উত্তম গুণাবলির অন্যতম হলো সবর বা ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। পবিত্র কোরআনের স্থানে স্থানে মহান আল্লাহ নিজেকে ধৈর্যশীল ও পরম সহিষ্ণু হিসেবে পরিচয় প্রদান করে তিনি বলেন, " তিনি তাদেরকে অবশ্যই এমন স্থানে প্রবেশ করাবেন যা তারা পছন্দ করবে এবং নিশ্চয় আল্লাহ সম্যক জ্ঞানময়, পরম সহনশীল।" (সূরা হজ, আয়াত - ৫৯)।
ধৈর্যশীলতা একটি কল্যাণকর গুণ। এই গুণটি অর্জন করার জন্য প্রয়োজন প্রবল ইচ্ছাশক্তির। তার সঙ্গে প্রয়োজন দৃঢ় ঈমান ও খালেস তাওয়াক্কুল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একবার আনসারদের কিছু লোককে বললেন, " আর যে ব্যক্তি ধৈর্য ধরে তিনি (আল্লাহ) তাকে ধৈর্যশীলই রাখেন। আর যে অমুখাপেক্ষী হতে চায়, আল্লাহ তাকে অভাবমুক্ত রাখেন। ধৈর্যের চেয়ে বেশি প্রশস্ত ও কল্যাণকর কিছু কখনো তোমাদের দান করা হবে না"। (বুখারি শরীফ)।
ছবি - pinterest.com
জীবনে আমরা যেভাবে ধৈর্যের চর্চা করব -
১। আমাদের সকলকে এ কথায় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, সব কিছুর রাজত্ব একমাত্র আল্লাহর। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি যা চান তা-ই করতে পারেন। তাঁর কোনো কাজের ওপর প্রশ্ন করার কারো কোনো অধিকার নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, " তিনি যা করেন সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হবে না; বরং ওদেরকেই প্রশ্ন করা হবে"।(সুরা আম্বিয়া, আয়াত - ২৩ )।
২। মানুষের জীবনের ঘটমান সব বিষয় আল্লাহর কাছে লিপিবদ্ধ আছে। আমাদের কখন কোন মুসিবত আসবে তা আল্লাহর কাছে লিপিবদ্ধ আছে। অসুস্থতা, দারিদ্র্য, দুঃখ-বেদনা যাবতীয় কল্যাণ-অকল্যাণ সব কিছু আল্লাহর কাছে লিপিবদ্ধ আছে, এ ধারণা একজন মুমিন সর্বদাই পোষণ ও বিশ্বাস করতে হবে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, "যদি সব উম্মত তোমার কোনো উপকারের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে ততটুকু উপকার করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তাআলা তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। অন্যদিকে যদি সব উম্মত তোমার কোনো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে একতাবদ্ধ হয়, তাহলে ততটুকু ক্ষতি করতে সক্ষম হবে, যতটুকু আল্লাহ তাআলা তোমার তকদিরে লিখে রেখেছেন। কলম তুলে নেওয়া হয়েছে এবং লিখিত কাগজও শুকিয়ে গেছে"।(তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং - ২৫১৬ )।
৩। আমাদের সকলকে এ কথা বিশ্বাস করতে হবে যে, পৃথিবীতে যত মানুষ এসেছে কেউ-ই বিপদ-আপদমুক্ত নয়। ছোট-বড় বিপদাপদে সবাই আক্রান্ত হয়েছে এবং হবে। এ দুনিয়া বিপদের জায়গা তাই এমন ধারণা পোষণ তা চরম ভুল যে আমার কোনো ধরনের বিপদাপদ আসবে না। বরং বিপদের মধ্যেই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা কখনো কখনো পরীক্ষার জন্য বিপদ দিয়ে থাকেন, আবার গুনাহ মাফ করার জন্য বিপদ দিয়ে থাকেন, বান্দাকে আরো আল্লাহর নৈকট্য করে তোলার জন্যও বিপদ দিয়ে থাকেন।আর তাই আল্লাহ তাআলা বলেন," মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না? আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্যবাদী এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদেরকে " ।(সুরা আনকাবুত, আয়াত - ২-৩)।
৪। এই বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা যে, বান্দা যেন বিপদে পড়ে আল্লাহর কাছে ফিরে আসে, সে জন্য আল্লাহ বান্দাকে ছোট-বড় বিপদ দিয়ে থাকেন । আল্লাহ তাআলা বলেন, " যারা তাদের ওপর বিপদ এলে বলে, আমরা তো আল্লাহরই। আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী"। (সুরা বাকারা, আয়াত - ১৫৬)।
৫। মানুষের জানা নেই তার জন্য কোনটা কল্যাণকর আর কোনটা অকল্যাণকর। তাই কখনো কখনো বিপদ তার জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসে মানুষের অজান্তেই। আল্লাহ তাআলা কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, " তোমাদের উপর লড়াই করাকে লিখে দেয়া হয়েছে যদিও তোমাদের নিকট এটা অপ্রিয়। কিন্তু তোমরা যা অপছন্দ কর হতে পারে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং যা ভালবাস হতে পারে তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন তোমরা জান না"।(সুরা বাকারা, আয়াত - ২১৬) ।
ছবি - m.priyo.com
৬। আমাদের সকলকে এ কথা সবসময় মনে রাখা যে, দুনিয়া কারো স্থায়ী জায়গা নয় বরং এটি একটি স্টেশনের মতো। তাই ছোট ছোট মসিবতের ওপর যদি আমরা ধৈর্য ধারণ করি, তাহলে আল্লাহ তাআলা এর জন্য আমাদের অনেক বড় বিনিময় দান করবেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "দুনিয়া মুমিনের জন্য কয়েদখানা এবং কাফিরের জন্য জান্নাততুল্য"। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং - ৭৩০৭)।
৭। আমাদের সকলকে বিপদাপদে এ কথা মনে রাখা যে আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে বিভিন্ন নবী-রাসুল ও তাঁর প্রিয় বান্দাদের নানাভাবে পরীক্ষা করেছেন। আমাদেরকেও পরীক্ষা করে নেক বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করবেন। নিশ্চয়ই বিপদের সঙ্গে মুক্তি আছে, কষ্টের সঙ্গে আছে স্বস্তি। এ ছাড়া একজন মুমিনের এ কথা বিশ্বাস রাখা চাই যে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে এমন কোনো মসিবত দেন না, যা তার সক্ষমতার বাইরে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, " আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর"।(সুরা বাকারা, আয়াত - ২৮৬)।
৮। আমাদের কাউকে যদি দুনিয়ার কোনো মানুষ কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে এর জন্য সুন্দর ব্যাখ্যা বের করার চেষ্টা করা। যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে একটি সুন্দর ব্যাখ্যা দাঁড় করানো। যেমন , কোনো ব্যক্তি আপনাকে রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করেছে। আপনি মনে মনে ভাবলেন, লোকটা মনে হয় এমনিতেই রাগী। তাই আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলেছে। তার স্বভাব এটা। সুন্দরভাবে কারো সঙ্গে কথা বলতে না পারা, এটা এক ধরনের তার অসুস্থতা।
পরিশেষে, একজন মুমিন তার জীবনের সব সমস্যা সমাধানের বিষয়ে একমাত্র আল্লাহ তাআলাকে ভরসাস্থল মনে করে। আরবিতে যাকে বলা হয় তাওয়াক্কুল। মুমিনের জীবনাচারে এই তাওয়াক্কুলের চর্চা করতে হয় সর্ববিষয়ে। আল্লাহর ওপর আস্থা যার যত বেশি, ঈমানের পরিপূর্ণতায় সে তত অগ্রগামী। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "খোদাভীরুদের মধ্য থেকে দু'ব্যক্তি বলল, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেন - তোমরা তাদের উপর আক্রমণ করে দরজায় প্রবেশ কর। অতঃপর তোমরা যখন তাতে পবেশ করবে, তখন তোমরাই জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপর ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও " ।(সুরা মায়েদা, আয়াত - ২৩)। আমাদের জীবনে সব বিষয়ে আল্লাহই যথেষ্ট । আর তাইতো পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন"। (সুরা তালাক, আয়াত - ৩)।
আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থার মাধ্যমে মানুষ মানষিক অস্থিরতা ও সিদ্ধান্তে দোদুল্যমানতা থেকে মুক্ত থাকে। মানষিক চিকিৎসক যদি তাওয়াক্কুলের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারত, তাহলে তারা এটাকে চিকিৎসার সর্বোচ্চ স্তরে স্থান দিত। মানসিকভাবে অস্থির ব্যক্তিরা শুধু তাওয়াক্কুলের পন্থা অবলম্বন করেই অন্তরের প্রশান্তি ও আল্লাহর সঙ্গলাভের অনুভূতি অর্জন করতে পারে। আর তাইতো পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, " যখন মোনাফেকরা বলতে লাগল এবং যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত, এরা নিজেদের ধর্মের উপর গর্বিত। বস্তুতঃ যারা ভরসা করে আল্লাহর উপর, সে নিশ্চিন্ত, কেননা আল্লাহ অতি পরাক্রমশীল, সুবিজ্ঞ"।(সুরা আনফাল, আয়াত - ৪৯)।
মহান আল্লাহপাক আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে এবং সব বিষয়ে ধৈর্যের সাথে তাঁর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা রাখার তাওফিক দান করুন ও আমাদের সবাইকে ধৈর্যশীল বান্দা হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
তথ্যসূত্র - আল কোরআন,হাদীস
=========================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
মানব জীবন - ১৬ -" সততা " Click This Link
মানব জীবন - ১৫ - " লজ্জা " Click This Link
মানব জীবন - ১৪ - "পর্দা " Click This Link
মানব জীবন - ১৩ - "ধর্ম " Click This Link
মানব জীবন - ১২ " সহ শিক্ষা " Click This Link
মানব জীবন - ১১ " শিক্ষা " - Click This Link
মানব জীবন - ১০ "পরিবার " - Click This Link
মানব জীবন - ৯ "বিবাহের পরে" - Click This Link
মানব জীবন - ৮ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য " - Click This Link
মানব জীবন - ৭ " তালাক " - Click This Link
মানব জীবন - ৬ "দেনমোহর - স্ত্রীর হক" - Click This Link
মানব জীবন - ৫ "বিবাহ" - Click This Link
মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)"- Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link