নভেম্বরের নির্বাচনের পর থেকেই ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন সে নির্বাচনের ফল মানবে না এবং সে পদত্যাগ করবেনা।দুদিন আগেও সে বলেছিল তাকে কারচুপির মাধ্যমে হারিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সে পদত্যাগ করবেনা । ট্রাম্প তার সমর্থকদের আহববান জানিয়েছিলেন ০৬/০১/২০২১ ক্যাপিটাল হিলের সামনে জড়িত হতে এবং নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে যাতে বাইডেনের বিজয় কংগ্রেস কর্তৃক সত্যায়িত করা সম্ভব না হয়।পাশাপাশি তার মতাদর্শী সিনেটর টেড ক্রুজের নেতৃত্বে ১২ জন সিনেটর সিনেট নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবেন, এবং জো বাইডেনের বিজয়ের আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নকে আটকে দেবার চেষ্টা করবেন এবং তারা এ সিদ্ধান্ত ও নিয়েছেন - টেড ক্রুজের নেতৃত্বে সিনেটররা কংগ্রেসের কাছে আহ্বান জানাবেন একটি কমিশন গঠন করতে।ভোট জালিয়াতির দাবিগুলো তদন্তের জন্য ১০ দিনের এক জরুরি অডিট করার দাবি করবেন তারা।
এভাবে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের আইনপ্রণেতারা আপত্তি ওঠালে প্রতিটি আপত্তির জন্য আলাদা বিতর্ক ও ভোট হতে পারে। এমনটি হলে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ও পরবর্তী প্রেসিডেন্টের ভাগ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।
আর এত সব ঘটনার আশংকার মাঝে গতকাল (০৬/০১/২০২১) মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষ - প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট - এক যৌথ অধিবেশনে বসে এবং প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ইতোমধ্যেই প্রত্যয়ন করা ইলেকটোরাল কলেজ ভোটগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার জন্য। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য দেশটির আইন প্রণেতারা যখন অধিবেশনে বসেন এবং ফল ঘোষনা শুরু করেন এসময় ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে।আর তার পরে সংঘটিত হয় আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যাককারজনক ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস আইনসভা বা ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়েছে ট্রাম্পপন্থী সমর্থকেরা। ক্যাপিটল ভবনের ভিতরে সংঘর্ষে গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নেতারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পার্লামেন্ট ভবনে হামলার ঘটনা দেশটির কয়েকশ বছরের মধ্যে নজিরবিহীন ঘটনা। দেশটিতে দু'শ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে এমন ঘটনা দেখেনি বিশ্ববাসী।সর্বশেষ খবর - ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় এখন পর্যন্ত চারজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ট্রাম্প সমর্থকদের ঢুকে পড়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
এ ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে "লজ্জাস্কর দৃশ্য" বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে "শান্তিপূর্ণ এবং সুসৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের" আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জার্মানিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, "ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।"
এক বিবৃতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ বলেছেন, "এটা পুরোপুরি অসুস্থ ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোনো দেশে এ ধরণের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়- আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোনো স্থান নেই।"
এক বিবৃতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের উপর এই আক্রমণকে মনে রাখবে, আর সেটি হচ্ছে "এই মুহূর্তটি প্রচণ্ড অসম্মান এবং এই জাতীর জন্য লজ্জাজনক।"
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, "গণতন্ত্রের উপর এই আঘাতের ঘটনায়" "কানাডিয়ানরা প্রচণ্ড বিরক্ত"।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্ন্দান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সহিংসতার ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন।
একইভাবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দোকে সহিংসতাকে প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা "গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের" নিন্দা জানিয়েছেন।
"আজ একটি কালো দিন ছিল" বলেন পেন্স।সহিংসতার পরও সিনেটে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আজকের দিনটি একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ থাকবে।"
এর আগে ভাইস-প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছিলেন যে, "হামলার সময়ও ক্যাপিটল হিল ছেড়ে যাননি পেন্স"।
সিনেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা পেন্স সব সময়ই কংগ্রেসের নেতৃত্ব, পুলিশ এবং বিচার ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন যাতে "ক্যাপিটলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কংগ্রেস আবার শুরু করা যায়।"
পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, "যারা আজ ক্যাপিটলে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন, আপনার জয়ী হতে পারেননি।"
"সহিংসতা কখনো বিজয়ী হয় না। স্বাধীনতা বিজয়ী হয়, এটা এখনো জনগণের হাউজ। আমরা যেহেতু আবার এই চেম্বার শুরু করছি, বিশ্ব আবার একবার দেখবে যে, অভূতপূর্ব সহিংসতা এবং ভাংচুরের মধ্যেও আমাদের গণতন্ত্রের দৃঢ়তা এবং শক্তি কতটা মজবুত।""যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আবার একত্রিত হয়েছেন।"
রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, "আজকের এই অস্থির জনতা ছাড়াও মার্কিন কংগ্রেস এর চেয়ে অনেক বড় হুমকি মোকাবেলা করেছে।"তিনি আরো বলেন"তারা আমাদের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি, তারা পরাজিত হয়েছে।"তিনি বলেন, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৈধতা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।
ডেমোক্রেটিক সিনেটর চাক শুমার বলেন, "৬ জানুয়ারিকে এখন আমরা আমেরিকার ইতিহাসের ওই অল্প কয়েকটি তারিখের সাথে যুক্ত করতে পারি যেগুলো কুখ্যাত হয়ে থাকবে।"সহিংসতায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকও জানিয়েছেন তিনি।তিনি আরো বলেন"এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর এমন একটি দাগ যা ধোয়ার পরও সহজে যাবে না। ৪৫তম প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ, ভয়াবহ এবং লাগামহীন শাসনের উদাহরণ- সন্দেহাতীতভাবে তিনি ছিলেন সবচেয়ে নিকৃষ্ট।"শুমার বলেন, এই হামলাকারীদের বিক্ষোভকারী বলা যায় না। তারা "অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী" যারা "আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করে না।"
এদিকে ক্যাপিটলে সহিংসতার জের ধরে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউ পদত্যাগ করেছেন।পদত্যাগের সময় তিনি বলেন"ট্রাম্প প্রশাসনের সেবা করার সুযোগ আমার জন্য সম্মানের ছিল এবং যে নীতি আমরা বাস্তবায়ন করেছি সেগুলোর জন্যও আমি গর্বিত," তবে "কংগ্রেসের হলে যেহেতু আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে তাই আজ আমাকে যা দেখতে হয়েছে তার জন্য আমি তীব্র বিরক্ত।"ম্যাথিউ জানিয়েছেন যে তার পদত্যাগ তাৎক্ষনিকভাবে কার্যকর হবে। সেই সাথে তিনি বলেন যে, "আমাদের দেশে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর দরকার।"
এর আগে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি স্টিফানি গ্রিশাম এই হট্টগোলের মধ্যেই পদত্যাগ করেন। কিন্তু ক্যাপিটলের উপর হামলার সাথে এর কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কী ঘটেছিল ক্যাপিটল হিলে ?
আমেরিকার আইন-প্রণেতারা যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে।কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে।রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হবার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা গেছে।দুপুরের পরই আমেরিকার রাজধানীতে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায় - শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ছে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে।
জো বাইডেন ঘটনাকে একটি 'বিদ্রোহ' বলে আখ্যায়িত করেন, আর ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন।এই শোরগোলের মধ্যে বাইডেনের জয় অনুমোদন করার জন্য কংগ্রেস অধিবেশন স্থগিত করা হয়। এটি ছিল আমেরিকার সংসদের দুই কক্ষ - হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি সভা এবং সিনেট-এর যৌথ অধিবেশন।কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ক্যাপিটল ভবন নিরাপদ হওয়ায় স্থানীয় সময় রাত ৮টায় তারা যৌথ অধিবেশন আবার শুরু করবেন এবং জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবেন।
"নজিরবিহীন আক্রমণ"
ট্রাম্প তার ভিডিওতে তার সমর্থকদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি আবারো দাবি করেন জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল নির্বাচন চুরি করেছে যদিও তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।''আমি তোমাদের বেদনা বুঝি, আমি জানি তোমরা কষ্ট পেয়েছ,'' তিনি বলেন. ''তোমাদের এখন বাড়ি ফিরতে হবে, আমাদের শান্তি দরকার, আমরা চাই না কেউ আহত হোক।''
জো বাইডেন বলেন এই বিক্ষোভ 'একটি বিদ্রোহের সমতুল্য এবং এখনই তার অবসান হওয়া উচিত।''''এই সময় আমাদের গণতন্ত্র এক নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে,'' বাইডেন বলেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফের অধিবেশন শুরু হয়েছে। তবে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ''আমেরিকা বাচাও'' নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদন করার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।
টুইটারের পর ফেসবুকেও ব্লক ট্রাম্প,ভিডিও সরিয়ে নিল ইউটিউব
এদিকে ,টুইটারের পর এবার ফেসবুকেও ব্লক করা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একাউন্ট। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগের দুই মাধ্যমেই তাকে ব্লক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টুইটার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের একাউন্ট ১২ ঘণ্টার জন্য ব্লক করেছে। ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট থেকে তিনটি টুইট সরিয়ে তারা জানায়, এই টুইটগুলো যদি মুছে দেয়া না হয়, তবে একাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।
এরপর ফেসবুকও ডোনাল্ড ট্রাম্পের একাউন্ট নীতিমালা ভঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে তার একাউন্ট ২৪ ঘণ্টার জন্য ব্লক করার ঘোষণা দেয়।
ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম থেকে একটি ভিডিও সরিয়ে নেয়া হয়েছে, যেখানে ট্রাম্পকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতারণার অভিযোগ করে উত্তেজিত বক্তব্য রাখতে দেখা যায়।
টেক জায়ান্ট গুগলের ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব থেকে একই ভিডিও সরিয়ে নেয়া হয়। তবে ইউটিউব ট্রাম্পের একাউন্টের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট - Click This Link
(আমেরিকার নির্বাচন পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট -১১ )।
তথ্যসূত্র - বিবিসি,আলজাজিরা, সংবাদপত্র এবং ছবি - গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩২