মহান আল্লাহ পাক রাববুল আলআমিন এই পৃথিবীতে প্রায় ১৮,০০০ মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন ।আর এই সকল সৃষ্টির মাঝে শ্রেষ্ট হল মানুষ। মানুষকে আল্লাহ পাক তৈরী করেছেন সুন্দর আকার এবং আকৃতিতে আর তাকে দিয়েছেন চিন্তা করার এবং স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ।এই চিন্তা করার এবং স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আল্লাহ পাক তার আর কোন সৃষ্টিকে দেননি ।আর অসীম এই মহাবিশ্বে অসংখ্য উদাহরন রয়েছে চিন্তাশীল মানুষের জন্য।
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের জানার ইচ্ছা অসীম।মানুষ এ দুনিয়াতে কোথা থেকে এসেছে বা দুনিয়াতে আসার আগে সে কোথায় কি ভাবে ছিল এবং এ দুনিয়া থেকে যাবার পর বা মরনের পর মানুষ কোথায় যাবে বা মরনের পরেই কি জীবনের শেষ না এর পরেও আরো জীবন আছে এ সম্পর্কে ধর্মের বাইরেও সাধারন মানুষ এবং বিজ্ঞানীদের কৌতুহল অসীম। আর তাই সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে এবং তার জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিহাস জানার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচছে।মানব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে চিন্তাশীলরা নানা ধরনের ধারনা পোষন করতেন সেই প্রাচীন কাল থেকেই।
** মানব শিশু অর্থাত মানব ভ্রুন সম্পর্কে অ্যারিস্টট্ল মনে করতেন "মেয়েদের মাসিকের রক্তের সংগে পুরুষের বীর্যের মিলন হলে মানব ভ্রুন তৈরী হয়"।
আবার অনেকে মনে করতেন -"মানব ভ্রুন কেবল পুরুষের বীর্য থেকে তৈরী হয়"।
** এ দুটি ধারনা ভূল করেন ইতালিয়ান বিজ্ঞানী স্পিলিজার ১৭৭৫ সালে।
** ব্রাভি ১৯০৯ সালে প্রমাণ করেন "ক্রোমোজম মানব শিশুর বিভিন্ন ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য ঠিক করে"।
** মরগান ১৯১২ সালে মানব ভ্রুন তৈরীতে জীবের ভূমিকা প্রমাণ করেন।
মোট কথা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আঠার শতকের আগ অবধি মানব ভ্রুন সম্পর্কে কোন ধারনাই লাভ করতে পারনি।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে ১৩০০ বছর আগেই মানব ভ্রুন তৈরী সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা দিয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেন - "নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু হতে, যাতে আমি তাকে পরীক্ষা করি, এই জন্য আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন" (সুরা আল ইনসান -আয়াত ২ )
পৃথিবীর জীব কোষের মূল উপাদান যেমন পানি (প্রোটোপ্লাজমের ৯৫% পানি)।আবার সকল জীবদেহ কোষ দ্বারা গঠিত। আর এই কোষ গঠনের মূল উপাদান হচ্ছে পানি। আরবি ব্যাকরণের একটি মত অনুযায়ী, এই পানি অর্থ শুক্র (বীর্য)।
মহান আল্লাহ এই ধরণীতে মাটি থেকে একজন প্রতিনিধি সৃষ্টি করেন এবং তারপর তা থেকে ক্রমশ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মানব জাতি।আল্লাহ বলেন-"হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও।"(সূরা হুজুরাত -আয়াত ১৩ )।
মানব জন্ম সম্পর্কে বিজ্ঞান - মানব জন্ম অর্থ্যাৎ মানব ভ্রুন সম্পর্কে বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে (Embryology) বা ভ্রূণতত্ত্ব বলে।
কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রূণতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আধুনিক ভ্রূণতত্ত্বের বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. কিথ মুর কুরআন এবং হাদীসে ভ্রূণতত্ত্ব সম্পর্কিত বর্ণনাগুলোকে একত্রিত করে ইংরেজীতে অনুবাদের পর ভালভাবে সেগুলো অধ্যায়নের পর ড. মুর বলেন, "কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসে ভ্রূণতত্ত্ব সম্পর্কে যা এসেছে, ভ্রূণবিদ্যার ক্ষেত্রে আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাথে সেগুলোর অধিকাংশের পূর্ণ মিল রয়েছে, কোন অমিল বা বৈসাদৃশ্য নেই"। তবে তিনি কিছু সংখ্যক আয়াতের মর্মের যথার্থতা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। তিনি সেগুলোর বক্তব্য সত্য না মিথ্যা বলতে পারছেন না। কেননা সে তথ্যগুলো সম্পর্কে তিনি নিজেও ওয়াকিফহাল নন। আধুনিক ভ্রূণবিদ্যায় বা লেখায় সেগুলোর কোন উল্লেখ দেখা যায়না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন-"তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে"। (সূরা আলাক ২।আরবী ভাষায় "আলাক"
শব্দের অর্থ জমাট রক্ত।অপর একটি অর্থ হল, "দৃঢ়ভাবে আটকে থাকে এমন আঠলো জিনিস"- যেমন, জোঁক কামড় দিয়ে আটকে থাকে।
ড. মুর জানতেন না যে, প্রাথমিক অবস্থায় ভ্রূণকে জোঁকের মত দেখায় কিনা ! তিনি এটা যাঁচাই করার জন্য এক শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে ভ্রূণের প্রাথমিক অবস্থা গবেষণা করেন এবং বলেন যে, ভ্রূণের চিত্র দেখতে অনেকটা জোঁকের মত। তিনি এ দু’টোর মধ্যে অদ্ভুত সামঞ্জস্য দেখে অভিভূত হয়ে যান। তিনি ভ্রূণতত্ত্ব সম্পর্কে কুরআন থেকে আরো বহু জ্ঞান অর্জন করেন যা তাঁর জানা ছিল না। ড. মুর কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত ভ্রণতত্ত্ব সম্পর্কিত অনেক প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, কুরআন ও হাদীসে উল্লেখিত তথ্যগুলো ভ্রূনতত্ত্ব সম্পর্কে সর্বশেষ আবিষ্কৃত তথ্যের সাথে পূর্ণ সামঞ্জস্যশীল। তিনি আরো বলেন, আমাকে যদি আজ থেকে ৩০ বছর আগে এ সকল প্রশ্ন করা হত, তাহলে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের অভাবে আমি সেগুলোর অর্ধেকেরও উত্তর দিতে পারতাম না।
ড. কিথ মুর কুরআন নিয়ে রিসার্চ করার পূর্বে 'The Developing Human' নামক একটা বই লিখেছিলেন। কিন্তু কুরআন থেকে জ্ঞান সংগ্রহের পরপরই তিনি তার ঐ বইয়ের ৩য় সংস্করণ প্রকাশ করেন। বইটি একক লেখকের সর্বোত্তম চিকিৎসা বই হিসেবে পুরষ্কার লাভ করে। বইটি বিশ্বের অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং ১ম বর্ষের মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের জন্য ভ্রূণবিদ্যায় পাঠ্যবই হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
ভ্রুণবিদ্যা সম্পর্কিত কুরআনের তথ্যগুলো যা কিথ মুরকে এতটাই অভিভূত করেছিল যে, অমুসলিম হয়েও দাম্মামে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি কুরআনকে ‘সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত’ বলে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন -"অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে। সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে"। (সূরা তারিক - আয়াত ৫-৭)
ভ্রুণতত্ত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার জন্য কুরআনের একটি আয়াতই যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন-"হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ-) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে"। (সূরা হজ্জ - আয়াত ৫)।
কুরআনের কমপক্ষে ১১টি স্থানে মানুষকে ‘নুতফাহ’ (শুক্র ) থেকে সৃষ্টির কথা বলেছে। ‘নুতফাহ’ অর্থ হলো-সামান্য পরিমাণ তরল পদার্থ । উপরোক্ত আয়াত ছাড়াও কুরআনের অন্য যেসব আয়াতের নুতফাহ’র কথা এসেছে তা হল- সুরা মু’মিনুন ১৩, সুরা নাহল ৪, সুরা কাহফ ৩৭, সুরা ফাতির ১১, সুরা নাজম ৪৬,সুরা ক্বিয়ামাহ ৩৭, সুরা ইনসান ২, সুরা আবাসা ১৯,সুরা মুমিন ৬৭।
অনেক দূর্বল ঈমানদার এবং নাস্তিকদের মুখে একটি প্রশ্ন শোনা যায়। সবকিছুর যদি স্রষ্টা থেকে থাকে, তাহলে আল্লাহর স্রষ্টা কে? সবকিছুরই স্রষ্টা রয়েছে-এই ধারণা ভুল। কেবলমাত্র যা সৃষ্টি হয়েছে তারই স্রষ্টা রয়েছে। আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি। তাই তাঁর কোনো স্রষ্টাও নেই।।
আদি মানব আদম (আঃ) কি থেকে সৃষ্টি?
আদি মানব আদম (আ) মাটি থেকে সৃষ্টি।অনেকেই একটি প্রশ্ন করেন বা প্রশ্ন মনে জাগে " আদম (আ) যদি প্রথম মানুষ হবে, তাহলে তাঁর কি পিতা-মাতা নেই, অথবা পৃথিবীতে তাঁর উদ্ভব কিভাবে হলো? মূল প্রশ্ন হলো-পৃথিবীতে প্রথম মানুষের পদযাত্রা শুরু হলো কিভাবে? "
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এভাবে - "যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন"। (সুরা আস সাজদাহ - আয়াত - ৭)।
আল্লাহ আরো বলেন -"আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি"। (সুরা হিজর -আয়াত ২৬)
আল্লাহ বলেন - "আপনি তাদেরকে (মানুষকে) জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে"। (সুরা সফফাত - আয়াত ১১)।
আল্লাহ বলেন - "তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে"। (সুরা আর রাহমান-আয়াত ১৪)
আদম (আঃ) বাদে বাকি সব মানুষ সৃষ্ট ‘নুতফাহ’ থেকে
আদম একাই কেবল মাটি থেকে সৃষ্টি। বাকি সবাই পিতা-মাতার মাধ্যমে সৃষ্ট।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে ‘মানব ক্লোন’। এই ক্লোন পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে গেলেও পুরুষের জীব কোষের বা শুক্রাণু ও নারীর ডিম্বাণুর প্রয়োজন। অর্থাৎ একজন পুরুষের জীব কোষ বা শুক্রাণু ব্যতীত একজন নারী সন্তান জন্ম দানে অক্ষম। কেননা নারীর ডিম্বাণু ক্রোমোসোম (XX) এবং পুরুষের শুক্রাণু ক্রোমোসোম (XY) পুত্র-কন্যা সন্তান গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
পবিত্র কোরআনে বলেন "অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে"। (সুরা আস সাজদাহ -আয়াত ৮)
পবিত্র কোরআনে আরো বলেন, "তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম"। (সুরা ফুরকান - আয়াত ৫৪)
‘নুতফাহ’ সম্পর্কিত আয়াতগুলো পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। যারা বলে থাকে, “কুরআন শরীফের বহুস্থানে বলা হয়েছে সকল মানুষ মাটির তৈরী, তাই সকল মানুষ মাটির তৈরী”-তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
হযরত হাওয়া (আঃ) কিভাবে সৃষ্টি?
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে, হযরত আদম (আ) মাটি থেকে সৃষ্টি, কিন্তু মা হাওয়া (আঃ) কি দিয়ে সৃষ্টি?
কারণ, কুরআনে বলা হয়েছে, - এক পুরুষ এবং এক নারী থেকে আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু আদম যখন একা ছিলেন, তখন হাওয়াকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে-"তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন"। (সুরা যুমার -আয়াত ৬)।
কুরআনে আরো বলা হয়েছে -"মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী"। (সুরা নিসা - আয়াত ১)।
কুরআনে বলা হয়েছে-"এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন"। (সুরা রূম -আয়াত ২১)।
মহান আল্লাহ হযরত আদম (আ)-এর পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে মা হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, "নারী জাতিকে পাঁজরের বাঁকা হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে একেবারে উপরের হাড়টি অধিক বাঁকা। যদি তা সোজা করতে যাও, ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তা ছেড়ে দাও, তবে সব সময় বাকাই থাকবে। সূতরাং তোমরা নারীদের সাথে উত্তম ও উপদেশমূলক কথাবার্তা বলবে"।
হযরত ঈসা (আঃ) কিভাবে সৃষ্টি?
এখন হযরত ঈসা (আ)-এর জন্ম সম্পর্কে ও প্রশ্ন হতে পারে,বাবা মায়ের মিলন ছাড়া অর্থ্যাৎ বাবা ছাড়া তিনি কিভাবে জন্ম নিলেন বা তার জন্ম কিভাবে। মহান আল্লাহ এ প্রশ্নের সমাধান পবিত্র কুরআনে যথাযথভাবে দিয়েছেন। তিনি বলেন,"নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকটে ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মত। তাকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন অতঃপর তাকে বলেছিলেন, হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেল"। (সুার ইমরান -আয়াত ৫৯)।
চলবে - জানার আগ্রহ থেকে এবং ইচছা আছে মানব জন্মের পূর্ব থেকে মৃত্যুর পরের জীবন পর্যন্ত লিখার ,যদি মহান আল্লাহপাক সুযোগ দেন।
তথ্যসূত্র - সংগহীত ,সংক্ষেপিত এবং রিপোস্ট (সহায়তায় - আল কোরআন,হাদিস,গুগল,বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রতিবেদন ।
উৎসর্গ : " দুনিয়ার সকল চিন্তাশীল মানুষদের" যারা পৃথিবীতে তার আগমন এবং জীবন নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাবেন এবং
সৃষ্টিকর্তা মহত্ত ও তার অসীম ক্ষমতা অনুধাবনের চেষ্টা করেন ।