ছবি - গুগল
এই পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র জীব যাদের চিন্তা করার সামর্থ্য আছে।আছে ন্যায়-অন্যায়ের প্রার্থক্য বুঝার ক্ষমতা। মানুষ চলার পথে ও জীবনে নানা ধরনের কাজ করে ,তা হতে পারে ন্যায়-অন্যায় বা ভূল কিংবা সঠিক। যে কোন কাজ করার পর মানুষ তার কাজ সম্পর্কে নিজে নিজেই অনেক সময় মূল্যায়ন করে থাকে ।আর এই মূল্যায়ন বা উপলদ্ধিই মানুষকে তার জীবনকে সঠিক পথে চালাতে সাহায্য করে।
চলার পথে দেখে-শুনে ,ঠেকে-ঠকে মানুষ জীবনের নানাবিষয়ে এ উপলদ্ধি অর্জন করে।
১। যখন কোন মানুষ বুঝতে পারে তার বাবাই সঠিক ছিল - তার মানে হল তিনি এখন নিজেই বাবা হয়ে গেছেন এবং তার এখন সন্তান আছে।
২।জীবনের খেলাঘরের খেলার সব নিয়ম কানুন যখন কেউ শিখে ফেলবে তখন সে দেখবে যে সেই খেলাটি খেলার সময় বা উপযোগীতা তার জীবনে আর নেই।
৩।খুব বিপদের মাঝেও যদি কেউ খুব স্বাভাবিক থাকে বা হাসতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এ বিপদের দায়ভার অন্যকারো উপর চাপানো যায় এমন কাউকে সে খুজে পেয়েছে।
৪।জীবনের প্রথম ২ বছর শিশুদেরকে বাবা-মা ,আত্মীয় এবং প্রতিবেশী হাটতে ও কথা বলতে শেখায়।আর পরের ১৬ বছর অনবরত উপদেশ দিয়ে বেড়ায় "দয়া করে চুপ কর " ও "শান্ত হয়ে বস "।
৫।যখন সন্তান আর বাবা-মায়ের কাছে জানতে চায়না যে "সে কোথা থেকে পৃথিবীতে এসেছে" এবং "বলতে চায়না যে বাইরে কোথায় কোথায় যাচছে " - তখন উপলদ্ধি হয় সন্তান বড় হয়ে গেছে।
৬।যদি কাউকে বলা হয় আকাশে ১০ বিলিয়ন তারা আছে তাহলে সে তা বিশ্বাস করবে ।কিন্তু যদি কাউকে বলা হয় ,দেয়ালের রংটা এখনো কাঁচা আছে তাহলে সেটা বিশ্বাস করবেনা ।ঠিকই ধরে দেখবে।
৭।পরীক্ষার হলে যদি বই দেখে লেখার নিয়ম থাকত তাহলে দেখা যেত পরীক্ষার হলে অনেকেই বই আনতে ভূলে যেত।
৮।মুখ না থাকলেও টাকা অনেক সময় কথা বলে। আর অধিকাংশ সময়েই বলে "গুড বাই"।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৫