শুদ্ধরূপ-অশুদ্ধরূপ
==========================================
অ্যাডভোকেট-এডভোকেট ***
অ্যান্ড-এণ্ড ***
অ্যাম্বুলেন্স-এম্বুলেন্স***
অ্যালবাম-এলবাম**
অ্যাসিস্ট্যান্ট-এসিসটেন্ট ***
আকাঙ্ক্ষা-আকাংখা ***
আগস্ট-আগষ্ট**
আলহাজ-আলহাজ্ব ***
ইনস্টিটিউট-ইনষ্টিটিউট **
উপর্যুক্ত/উপরিউক্ত-উপরোক্ত ***
উল্লিখিত-উল্লেখিত ***
এতদ্দ্বারা-এতদ্বারা ***
কাঙ্ক্ষিত-কাংখিত ***
কোনো-কোন **
কোম্পানি-কোম্পানী **
কর্নার-কর্ণার **
কর্নেল-কর্ণেল **
গভর্নর-গভর্ণর **
চাকরি-চাকুরী ***
চাকরিজীবী-চাকুরীজীবি (-জীবী—আইনজীবী, পেশাজীবী)
চিফ-চীফ **
চত্বর-চত্ত্বর **
জানুয়ারি-জানুয়ারী ***
জরুরি-জরুরী **
ট্রেজারি-ট্রেজারী ***
যেকোনো-যে কোন/যেকোন ***
টেরিটরি-টেরিটরী **
দেওয়া-দেয়া **
দুর্ঘটনা-দূর্ঘটনা **
দুর্যোগ-দূর্যোগ **
দুর্নীতি-দূর্নীতি **
নিখুঁত-নিখুত ***
নিখোঁজ-নিখোজ **
নির্ভুল-নির্ভুল **
নেওয়া-নেয়া **
নোটারি-নোটারী ***
নমিনি-নমিনী ***
প্রত্যয়নপত্র-প্রত্যয়ন পত্র (পত্র একসঙ্গে হবে—চিঠিপত্র, সংবাদপত্র) ***
পাস-পাশ (Pass) ***
পিস-পিচ/পিছ (Piece) ***
পচা-পঁচা ***
পোস্টার-পোষ্টার ***
পোস্ট-পোষ্ট ***
পুনর্মিলন=পূর্ণমিলন/পূনর্মিলন ***
ফ্যাক্টরি-ফ্যাক্টরী ***
ফার্নিচার-ফার্ণিচার ***
ফার্মেসি-ফার্মেসী ***
ফেব্রুয়ারি-ফেব্রুয়ারী ***
ফটোস্ট্যাট-ফটোষ্ট্যাট ***
ফাঁক-ফাক **
ব্যাটারি-ব্যাটারী ***
বিপজ্জনক-বিপদজনক ***
বিরিয়ানি-বিরাণী (Biryani/بریانی) ***
ভুল-ভূল **
মার্কশিট-মার্কশীট (Sheet/Shit—সব শিট ই-কার হবে) ***
মাস্টার-মাষ্টার ***
মেশিনারি-মেশিনারী **
মডার্ন-মডার্ণ **
মুহূর্ত-মুহুর্ত/মহুর্ত
রঙিন-রঙ্গিন/রঙ্গীন ***
রিকশা-রিক্সা ***
রেজিস্ট্রি-রেজিষ্ট্রি ***
রেজিস্টার-রেজিষ্টার **
রেনেসাঁ-রেনেসা ***
রেস্টুরেন্ট-রেষ্টুরেন্ট ***
রেস্তোরাঁ-রেস্তোরা ***
লাইব্রেরি-লাইব্রেরী ***
লটারি-লটারী ***
শ্রদ্ধাঞ্জলি-শ্রদ্ধাঞ্জলী ***
শূন্য-শুন্য/শূণ্য **
শনাক্ত-সনাক্ত ***
শর্তাবলি-শর্তাবলী (আবলি দ্বারা গঠিত শব্দ—ব্যাখ্যাবলি, রচনাবলি) ***
শহিদ-শহীদ ***
স্কলারশিপ-স্কলারশীপ (Ship/Sheep) **
স্ট্যাম্প-ষ্ট্যাম্প ***
স্টার-ষ্টার ***
স্টেশনারি-ষ্টেশনারী ***
স্টোর-ষ্টোর ***
সাক্ষ্য-স্বাক্ষ্য ***
সাক্ষী-স্বাক্ষী ***
সেক্রেটারি-সেক্রেটারী ***
সুধী-সূধী **
সমিল-ছমিল (করাতকল) ***
সর্বাঙ্গীণ-সর্বাঙ্গীন ***
সরকারি-সরকারী ***
সরণি-স্বরণী/স্মরণী ***
হর্ন-হর্ণ **
এছাড়া কোলন ( : ) ও ডট ( . )-এর স্থলে বিসর্গ (ঃ) ব্যবহার বেশ লক্ষণীয়। আমাদের অবশ্যই জানা উচিত বিসর্গ (ঃ) কোনো যতিচিহ্ন নয়—এটি একটি বর্ণ। বর্ণ হিসেবে এর ব্যবহার করতে হবে। যেমন— আঃ (আহ্), উঃ (উহ্), ওঃ (ওহ্), ছিঃ (ছিহ্), বাঃ (বাহ্), হাঃ (হাহ্), দুঃখ। পদের শেষে বিসর্গ ব্যবহার হবে না। যেমন— আইনত, ন্যায়ত। বিসর্গের স্থলে কোলন ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— দু:খ (দুঃখ), আ: (আঃ)। সংক্ষিপ্ত শব্দে ডট (.) ব্যবহার হবে। যেমন— ড. (ডক্টর), ডা. (ডাক্তার), মি. (মিস্টার), লি. (লিমিটেড)।
ডট ( . ) ব্যবহার :
বাংলায় সংক্ষিপ্ত শব্দে ডট ব্যবহার হবে। যেমন— ড. (ডক্টর), লি. (লিমিটেড), মি. (মিস্টার) ইত্যাদি। ইংরেজিতে Govt. (Government), Ltd. (Limited), Mr. (Mister), Dr. (Doctor)। ইংরেজি শব্দের সংক্ষিপ্ত বর্ণ রূপে (Abbreviation) ডট ব্যবহার না করাই ভালো। যেমন— SSC, HSC, SMS, MMS, BSS, BA, JSC, MPO, UN, BGB, BSF, RDRS, BRAC, BPL, IPL, ICC, BBC, WFP; বাংলায় এসএসসি, এইচএসসি, এসএমএস, এমএমএস, বিএ, বিকম, বিএসএস, বিএসসি, সিইনএড, পিএইচডি, পিসি, আইসিসি, ইউএন, বিবিসি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ডট ব্যবহার করা ভুল নয়—তবে আমাদের দ্বারা ভুলের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন— BSc, PhD লিখতে গিয়ে B.S.C., P.H.D. লেখা। BSc, PhD-তে ডট ব্যবহার এভাবে হবে B.Sc., Ph.D. শুধু মাঝে ডট দিলে চলবে না; যেমন— B.Sc, Ph.D অর্থাৎ Sc. ও D.-এর পরেও ডট হবে—অনুরূপ বাংলাতেও। সুতরাং ভুল এড়াতে এবং বাংলা বানানের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ডট ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এসব শব্দে হাইফেন ( - ) ও কমা ( , ) ব্যবহার করা যাবে না।
কোলন ( : ) ব্যবহার:
▓ উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত বোঝাতে কোলন ব্যবহার হয়।
বাংলা সন্ধি দু প্রকার : স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধি।
▓ ব্যাখ্যামূলক/বিবরণমূলক শব্দে কোলন ব্যবহার হয়।
নাম: শামস
পিতার নাম: শামসুল
ঠিকানা: গ্রাম– পায়রাবন্দ, ডাকঘর– পায়রাবন্দ, উপজেলা– রংপুর, জেলা– রংপুর।
বিষয়: বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন।
মোবাইল: ০১*******০০
নিচ: নিচু, তল, নিচের দিক
নীচ: নিকৃষ্ট, হীন
▓ গাণিতিক ক্ষেত্রে কোলন ব্যবহার হয়।
১:৯ (অনুপাত)
▓ সময় ও তারিখে কোলন ব্যবহার হয়।
২:৩০ মিনিট
তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩
▓ নাটকের সংলাপের আগে কোলন ব্যবহার হয়।
দুকড়ি: কী চাই?
কাঙালি: আজ্ঞে, মহাশয় হচ্ছেন দেশহিতৈষী।
বিস্তারিত জানতে : Click This Link
এতে আছে—
১. সহজ বাংলা বানান নিয়ম;
২. -এর, -এ ব্যবহার;
৩. বিসর্গ (ঃ ) ব্যবহার;
৪. ম-ফলা, ব-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণ;
৫. যতিচিহ্ন (ডট/ফুলস্টপ, কোলন, হাইফেন/যুক্তচিহ্ন, ড্যাশ, কোটেশন মার্ক/ইনভার্টেড কমা/উদ্ধৃতিচিহ্ন, অ্যাপস্ট্রফি/লোপচিহ্ন, অবলিক/স্ল্যাশ/অথবা/বিকল্পচিহ্ন, যতিচিহ্নের কিছু অশুদ্ধ ও শুদ্ধ ব্যবহার);
৬. প্রয়োজনীয় কিছু শুদ্ধ বানান;
৭. ভুল বানান ব্যবহার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে;
৮. বাংলা বর্ণ তথ্য;
৯. বাংলায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের বানান;
১০. সমোচ্চারিত শব্দের ব্যবহার;
১১. প্রতিবর্ণীকরণ (নামের বানান ও ব্যবহার);
১২. তারিখ ব্যবহারের কিছু নিয়ম;
১৩. বিদেশি শব্দের কিছু ভুল ব্যবহার;
১৪. বিভ্রান্তিকর কিছু ইংরেজি শব্দের বাংলা ব্যবহার।
[দ্রষ্টব্য: এই পোস্টটি বই আকারে এখনই প্রকাশ করছি না। কারণ এখনো কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। কিন্তু অনেকেই ইতোমধ্যে আমার পোস্টটি বই আকারে প্রকাশ করেছে। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আর কেউ যদি পোস্টটি বই আকারে প্রকাশ করতে চায়—তবে অবশ্যই পোস্টটির সূত্র হিসেবে বাংলা বানান:www.somewhereinblog.net/blog/bbnet/29867731 লিংকটি ব্যবহার করবেন। এতে লেখকের পরিশ্রম সার্থক হবে। পোস্টটি তৈরি করতে প্রায় ২ বছর সময় লেগেছিল। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আপডেট চলবে।]
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭