পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যদি ক্রমাগত পিছিয়ে যেতে থাকে - তাহলে রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং অগ্রগামী জনগোষ্ঠির শান্তি বিনষ্ট ও জান-মাল অনিরাপদ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ সহ পৃথীবির বহুদেশে এই ঘটনা ঘটেছিলো।
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে সাংবিধানিক অধিকার দিতে গিয়ে “কোটা ব্যবস্থা”।
৩০% মুক্তিযোদ্ধা পরিবার “কোটা” অনগ্রসর যোদ্ধাগোষ্ঠিকে ক্ষমতার অংশীদার করতে জাতীর জনকের ঐতিহাসিক কোটা ব্যবস্থা -
বর্তমান পৃথিবীর সেরা সিদ্ধান্ত। অধিকাংশ যোদ্ধা ছিলো অশিক্ষিত, চাষা,ভুষা ও শ্রমিক। মোগল আমল থেকেই তারা বংশপরস্পরায় শোষিত ও বন্চিত হয়েছিলো। আমার গ্রামের নেংটি* পড়া একজন রাখালকে চিড়া গুড় দিয়ে যুদ্ধে (ইন্ডিয়া) পাঠানোর সময় একটি লুঙ্গি ও অন্য এক ধনীর পুত্রের ব্যবহার করা একটি পুরাতন আঙ্গা (এক ধরনের শার্ট ) দেয়া হয়েছিলো। যেটা ছিলো তার এবং তার বংশের প্রথম শার্ট । (প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননা)। নিশ্চিত মৃত্যু অথবা ফাঁসি অথবা পঙ্গুত্ব জেনেও যারা জয়বাংলা বলে না খেয়ে, না দেয়ে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো- বংশ পরস্পরায় সুবিধা দিয়েও তাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। কারন যদি তারা হেরে যেতো - দেশে থাকা সুবিধাবাদীদের বাড়ীতে বাড়ীতে উড়তো পাকি পতাকা। যোদ্ধাদের বেঁধে নিয়ে যাওয়ার সময় আপনাদের পুর্ব-পুরুষরা রাস্তার দু-ধারে দাড়িয়ে থু,থু দিতো যোদ্ধাদের মুখে। দেশদ্রোহীতার দায়ে সবারই হতো “ফাঁসি”। তারা ছিলো মেধাহীন। আজ যদি তাদের মেধাহীন বংশধরদের এগিয়ে নিতে কোটা বৃদ্ধি করে রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশীদার করা না হয় , তাহলে বাংলাদেশ হবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র্।
চলবে-
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৩