ইতোপূর্বে আমরা অনেক শুনেছি পাখি ড্রেস,কিরনমালা ড্রেস ইত্যাদি ড্রেসের জন্য অভিমান করে বাচ্চা,কিশোরী এমনকি বিবাহিতা যুবতীরও আত্মহত্যার কথা!এ নিয়ে ব্যাপক জনমতের চাপের মুখে ভারতীয় সিরিয়ালের টিভি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিও উঠেছে!তবে জানিনা এ উদ্যোগ এখন কোন পর্যায়ে আছে!তবে টিভি সিরিয়ালের প্রভাবে মৃত্যুর ঘটনা থেমে নেই!প্রায়ই ঘটছে এমন ঘটনা!এজন্য দায়ী কে?এমন কথাও উঠেছে যেহেতু ভারতে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলো দেখানো হয়না কাজেই এদেশেও ভারতীয় স্টার জলসার মতো টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করা হোক!দাবি যৌক্তিক!কিন্তুু আমার জানামতে ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে সেদেশে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল দেখাতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই!বরং সেদেশের ক্যাবল অপারেটরদের কাছে লাভজনক নয় বলেই তারা বাংলাদেশী চ্যানেল দেখায়না!কি আছে আমাদের দেশী চ্যানেলগুলোতে যে তারা এসব দেখবে যেখানে আমাদের দেশী দর্শকরাই এসবে বিরক্ত?অথচো আমাদের দেশে ক্যাবল টিভি ব্যাবসা টিকেই আছে মূলত এসব ভারতীয় টিভি চ্যানেলের দৌরাত্ম্যে!আর এটাই হলো আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা!আমরা মান সম্মত অনুষ্ঠান তৈরী করে আমাদের দেশী দর্শকদের ধরে রাখতে পারিনি!এমনকি কিছুদিন আগে শুনলাম দেশি কোম্পানিগুলোও এখন দেশী চ্যানেলগুলোকে বিজ্ঞাপন দিতে চাইছে না!তারাতো ব্যাবসায়ী!যেখানে ব্যাবসায় সুবিধা সেখানেই যাবে!কাজেই তারাও ভারতীয় চ্যানেলেই বিজ্ঞাপন দিতে বেশী আগ্রহী!এমনকি এ নিয়ে পেটে লাথির আশঙ্কায় দেশী চ্যানেলগুলোর সাংবাদিক,কর্মচারীগণ আন্দোলনও করতে বাধ্য হয়েছেন!কত বড় লজ্জার কথা!অথচো নিজেদের দেশে বিভক্তি সৃষ্টি করতে বা এক পক্ষকে আরেকপক্ষের বিরুদ্ধে উস্কে দিতে এসব তথাকথিত আদর্শবাদী মিডিয়াগুলোর জুড়ি নেই!অল্প কিছুদিন আগেও প্রাণবন্ত টক শোর কল্যাণে এ টিভি চ্যানেলগুলো বেশ জনপ্রিয়তাও কুড়িয়েছিলো!শিক্ষিত অশিক্ষিত সবার মাঝে রাজনৈতিক,গণতান্ত্রীক সচেতনতা তৈরীতে বেশ সাড়া ফেলেছিলো!কিন্তু পক্ষপাত দুস্টতার কারণে সেই জনপ্রিয়তাও ধ্বসে গেছে!রিক্সাওয়ালা,চা বিক্রেতা সবাই জানে কোন চ্যানেল কোন পক্ষের দালাল!যেমন একাত্তর টিভি,মোহনা টিভির নাম শুনলেই চোখ বুজে বোঝা যাবে সেখানে কিসের দালালীর আসর বসে!বরং বিটিভিও এর চেয়ে অনেক ভালো মনে করে দর্শক!যাই হোক অনেক কথাই হলো এখন মূল ঘটনায় ফেরা যাক!আসলে একক কোনো পদক্ষেপে এসব অপ্রিতীকর ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব নয়!প্রয়োজন সমন্বিত সংস্কারমূলক পদক্ষেপ!দৈনিক শিক্ষা ডট কম থেকে সংগৃহীত খবরটি হলোঃ
ভারতীয় সিরিয়াল দেখতে
না দেওয়ায় মা-বাবার ওপর
অভিমান করে সাতক্ষীরার
কলারোয়ায় তৃতীয় শ্রেণির এক
স্কুলছাত্রী গলায় ওড়না
পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার
দেয়াড়া গ্রামে এ ঘটনাটি
ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রীর নাম সোমা
খাতুন (৮)। সে দেয়াড়া
গ্রামের শহিদুল ইসলামের
মেয়ে এবং দেয়াড়া
সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির
ছাত্রী।
সোমার বাবা শহিদুল ইসলাম
জানান, সারাদিন সোমা
ভারতীয় সিরিয়াল দেখছিল।
পরে তাকে সিরিয়াল
দেখতে বারণ করা হয়। কিন্তু এ
নিয়ে কোন তর্কবিতর্কও
ঘটেনি। পরে সে সন্ধ্যা ৭টার
দিকে ঘরের আড়ায় ওড়না
পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
দেয়াড়া পুলিশ ফাঁড়ির
ইনচার্জ এসআই লুৎফর রহমান এ
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৬