somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রাদেশিক সরকারে হাসিনার অনীহায় হতাশ এরশাদ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈরী মনোভাবে মুষড়ে পড়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গত ৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রীর এমন মনোভাবের কথা জানতে পারেন তিনি। তবে হতাশ হয়ে পড়লেও সাবেক এ রাষ্ট্রপ্রধান প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নের দাবিতেই অনড় থাকবেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, গত ১৩ মার্চ রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সেমিনার আয়োজন করে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নের প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। অবশ্য তার আগে থেকেই প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সক্রিয় ছিলেন জাপা চেয়ারম্যান ও তার দল। ওই প্রস্তাব চূড়ান্ত করার আগেই প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করে তারা। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে এ কমিটির নেতৃবৃন্দই প্রাদেশিক সরকার বাস্তবায়ন প্রস্তাব চূড়ান্ত করে। পরবর্তীতে নিজেদের প্রস্তাবিত ৮ প্রদেশে প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে প্রতিটিতেই আলাদা কমিটি গঠন করা হয়। সে কমিটি প্রাদেশিক সরকারের পক্ষে জনতম গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় শুরু করে। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও চট্টগামে এধরনের দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় এরশাদ নিজে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দলীয়সহ বিভিন্ন ফোরামের সভা-সেমিনারে প্রাদেশিক সরকারের পক্ষে বক্তব্য দিয়েও জনমত গঠনের চেষ্টা করেছেন এরশাদ। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রীকে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা কায়েম করে যেতে পারলে এ দেশের মানুষ আপনাকে (শেখ হাসিনা) যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। এরশাদ তাকে লক্ষ্য করে আরও বলেন, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হলে রাজধানী ঢাকার উপর চাপও কমবে। নয়ত এই শহরটি বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়বে ধীরে ধীরে। এছাড়া প্রাদেশিক সরকারের আরও কিছু সুবিধা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন তিনি। কিন্তু সমাপনী ভাষণে এরশাদকে হতাশায় নিমজ্জিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রদেশ গঠন না করে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। কারণ, প্রদেশ করে কোন লাভ নেই। বরং সরকারের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নে অফিস আদালত আরও বাড়াতে হবে। এতে প্রশাসনের মাথাভারি হওয়ার সাথে সাথে জায়গাও অপচয় হবে অনেক। তাই প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা কায়েম নয়, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে উপজেলার মত জেলা পরিষদকেও সক্রিয় করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি আদায়ের ব্যাপারে এরশাদকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এরশাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানায়, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নের দাবিকে আরও জোরালোভাবে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপনের জন্য করণীয় সম্পর্কে দলের সিনিয়র নেতাসহ নিজের পরামর্শকদের সাথে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও এরশাদের প্রেস সচিব সুনীল শুভরায় শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, প্রাদেশিক সরকার প্রণয়ন হলে প্রশাসনের মাথাভারি হওয়ার সাথে সাথে এ সেক্টরে আরও গতি আসবে। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা এটা বোঝানোর চেষ্টা করবো। আশা করি তিনি বুঝবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের এ দাবিটি জাপার সংস্কার কর্মসূচির অংশ। তাই এ দাবি থেকে সরে দাঁড়ানোর কোন সুযোগ নেই।

শরীফ খিয়াম, ১৪ ডিসেম্বর (শীর্ষ নিউজ ডটকম)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা, লোভী এবং সাম্রাজ্যবাদীও বটে.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪

শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা এবং লোভীও....

জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের হিংস্র ও আগ্রাসী। পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাওয়া এবং স্বাধীন থাকতে চাওয়া কিছু অঞ্চল যেমন হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাংকুর, ভূপাল, যোধপুর, জুম্ম-কাশ্মীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গলা-বুক জ্বালা দেখে অম্বলের ওষুধ দিয়েছিলেন চিকিৎসক, চ্যাটজিপিটি ধরল ক্যানসার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯






ক্যানসার ধরল চ্যাটজিপিটি! চিকিৎসকেরা ভুল ওষুধ দিয়েছিলেন। তাতে অবস্থা আরও খারাপ হয় মহিলার। চ্যাটজিপিটিই বলে দেয়, কী রোগ বাসা বেঁধেছে তলে তলে। চিকিৎসকেরা ধরতেই পারেননি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

এআই দ্বারা তৈরিকৃত রাজনৈতিক কার্টুন—যেখানে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অসাম্যতা ও রাজনৈতিক নির্ভরতার প্রতীকী উপস্থাপন করা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষকদের দ্বৈত চরিত্র এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৬


বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সবার মুখে নানা রকম কথা শোনা যায় । কেউ কেউ বলছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছে , কেউ বলে দিন দিন তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এপিআই প্ল্যান্ট

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৮




ওষুধে দুটো উপাদান থাকে। ওষুধের যে রাসায়নিক উপাদানটি মূলত রোগ সাড়ানোর কাজ করে, সেটিকে বলে এপিআই। দ্বিতীয় উপাদানটিকে সহকারি উপাদান বলে, যেমন— স্টার্চ, রং বা ফ্লেভার।

এপিআইয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×