এটি একটি ডিজিটাল বাকশালীয় রুপ।
'৭৫-এ কোন এক বেসামরিক স্বৈরাচারের দ্বারা এদেশের মিডিয়া জগতে এক অন্ধকার অধ্যায় রচিত হয়েছিল। ঐ স্বৈরাচার নিজের অপকর্ম আর ব্যর্থতা সম্পর্কে জনগনকে অজ্ঞ রাখতে গায়ের জোরে বন্ধ করে দেন দেশের প্রায় সব প্রত্রিকা।
এখন যুগ পাল্টেছে। হঠাৎ করে ধরে কোন কারণ ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমকে বন্ধ করা অনেক কঠিন। ঝঁকিপুর্ণও বটে। যার উদাহরণ আমার দেশ পত্রিকা। অনেক কসরত করেও ভুয়া অভিযোগ দিয়ে এর প্রকাশনা বন্ধ রাখতে পারেনি 'চরম গনতান্ত্রিক' বর্তমান সরকার। যদিও আয়-ইনকামের সব পথ যেভাবেই হোক বন্ধ করে এর ধ্বংস নিশ্চিত করতে আওয়ামী-সরকারি চেষ্টায় কোন ঘাটতি এখও নেই।
ডিজিটাল এই যুগে আওয়ামী লীগ তাই নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম দলনের নতুন পন্থা নিয়েছে। জোর করে অফিসে তালা লাগিয়ে অথবা ডিক্লারেশন বাতিল করে আর তারা সংবাদমাধ্যম বন্ধ করবে না। করবে সিস্টেমেটিকালি!
যেমন আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাওয়ার দিকে আগাচ্ছে দেশে অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা "শীর্ষনিউজডটকম"।
সংবাদ সংস্থাটির সংবাদ মান নিয়ে যথেষ্ট অভিযোগ অনেকের ছিল। কিন্ত যথেষ্ট নিরপেক্ষতা এবং সংবাদ পরিবেশনে তাৎক্ষনিকতা বজায় রেখে কিছুদিন আগেও জনপিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছিল। প্রতিদিনের পরিবেশিত সংবাদের সংখ্যায়ও তারা সবার উপরে ছিল। গড়ে প্রতিদিন ১০০ এর কাছাকাছি সংবাদ পরিবেশিত হতো।
কিন্ত কয়েকদিন আগে এর সম্পাদক গ্রেফতারের পর থেকে সংবাদের সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমতে থাকে। প্রতিদিন ৩০/৪০ টি।
আজ ২১ আগস্ট সারাদিনে পরিবেশিত সংবাদের সংখ্যা সাকুল্যে ১১টি!! যেখানে একই সময়ে "বাংলানিউজ২৪ডটকম"- এ শুধুমাত্র "জাতীয় সংবাদ" এর সংখ্যা ৫০টি!! অন্যান্য বিভাগতো বাকী রইলো!!!
সুত্রমতে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত "শীর্ষনিউজডটকম" এর সর্বক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা এর সম্পাদক একরামুল হক। তার অনুপস্তিতে এটির ঠিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। এবং তার প্রমাণ উপরোক্ত হারে সংবাদ পরিবেশন কমে যাওয়া। তার ওপর সরকারি অসহযোগিতাতো বেড়েই চলেছে।
আমরা এখন অপেক্ষা করতে পারি অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে একসময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যমটির অকাল মৃত্যু দেখার জন্য!