আক্কেল আলী কাক্কুর সাথে অনেক দিন পর দেখা হয়ে গেল চা দোকানে। দেখেই তিনি তার বিখ্যাত ট্রেড মার্ক হাসি দিয়া কইল বাতিজা আছস কেমন? কইলাম এইতো আছি, চলতাছে কোন মতে টাইনা-টুইনা। কতাডা শুইনা আক্কেল আলী কাক্কু কইল, ভাতিজা যেই দেশের ভবিষ্যৎ “বয়রা আর ল্যাংড়া” সেই দেশে টাইনা-টুইনা বাইচ্চা থাকাডাও অলৌকিক। আক্কেল আলী কাক্কুর কথা বুঝবার না পাইরা কইলাম কাক্কু একটু ঝাইড়া কাশো। আক্কেল আলী কাক্কু কইল ভাতিজা বহুদিন পরে দেখা আগে বিড়ি খাওয়া, কইলাম কও কি কাক্কু সিগারেট ছাইড়া বিড়ি ধরলা কেন? আক্কেল আলী কাক্কু একটা মুচকি হাসি দিয়া কইল, ভাতিজা আগে যা খাইতাম এখনো তাই খাই। কইলাম তাইলে কাক্কু বিড়ি কইলা যে? আক্কেল আলী কাক্কু কইল ভাতিজা সিগারেটরে বিড়ি কওন এখন একটা স্টাইল। কইলাম কাক্কু শেষ-মেষ বিড়ি আর সিগারেটের ইজ্জতের উপরেও হাত দিলা। আক্কেল আলী কাক্কু কইল ভাতিজা, বিএসএফ যখন তোমরারে ল্যাংটা করে তহন তোমরার ইজ্জত যায় না, আমি সিগারেটরে বিড়ি কইলেই তোমরার বলৎকার হয়। মাথা চুলকায়া কইলাম বাদ দেও কাক্কু, দেশের ভবিষ্যৎ “বয়রা আর ল্যাংড়া” হেইডা একটু বুঝায়া কও।
আক্কেল আলী কাক্কু সিগারেটে একখান লম্বা টান দিয়া ধূয়া ছাড়তে ছাড়তে কইলেন, হুন ভাতিজা আমগোর প্রধানমন্ত্রী কানে কম শুনে মানে বয়রা। আর বিরোধী দলের নেত্রীর পায়ের সমস্যা মানে ল্যাংড়া। বর্তমান সরকারের উন্নেয়নের জোয়ার দেইখা মনে হইতাছে জনগন এত উন্নয়ন সইতে পারতাছেনা। তাই আগামীতে বিরোধী দলের ক্ষমতায় আহনের চান্স, আর বিরোধী দলের নেত্রী যদি প্রধানমন্ত্রী হয় তাহলে বয়রার যায়গায় আইব ল্যাংড়া। তারমানে দেশের ভবিষ্যৎ ”বয়রা আর ল্যাংড়া” ছাড়া কি হইবার পারে? মাথা চুলকায়া কইলাম কাক্কু তুমি কইলাম মানহানির মামলা খাইবার পার। আক্কেল আলী কাক্কু তার বিখ্যাত ট্রেড মার্ক হাসি দিয়া কইল, ভাতিজা এইডা তো তেজপাতার লাহান সোজা কথা। আমরার মান থাকলে তো হানি হইব। মাথা চুলকাতে চুলকাইতে কইলাম কাক্কু তুমি কি হুনাইলা, আমিতো পুরাই মাখা হইয়া গেলাম।
আক্কেল আলী কাক্কু কইল, ভাতিজা এরাম কইরা মাতা খাওজাও ক্যান? উকুন অইছেনি? তাইলে এক কাম করো, কইলাম কাক্কু কি কাম জলদি কও। আক্কেল আলী কাক্কু কইল, আমরার দেশের হগল রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর নাম লইয়া পানিতে ফু দিয়া মাথায় ঢাল, দেখবা উকুন,খুশকি সব শরমে পলাইব।
কইলাম কাক্কু তুমিও শেষ-মেষ চুদুর বুদুর করলা।