হাই কোর্ট রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। তত্বাবধায়ক সরকারের বিধানের বেলায় হাই কোর্ট এর দোহায় দেয়া হয়, অথচ রামপাল বিদুৎ কেন্দ্রের বেলায় তা আমলে নেয়া হয় না। রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র চুক্তির প্রভাবে কি ধরনের ক্ষতি হবে, সাধারন মানুষ খুব একটা জানেনা। খোদ সচেতন মহলও এই বিদুৎ কেন্দ্র চুক্তি নিয়ে আছে অন্ধকারে। এ বিষয়ে এক্সপার্ট ও প্রকৌশলী গনের ভাষ্যমতে এই বিদুৎ কেন্দ্রটি হলে বিপর্য ঘটবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং প্রকল্প এলাকার নদ-নদী,পরিবেশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর। ৮ অক্টোবর ২০১০ তারিখে ভারতের দ্যা হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত NTPC’s coal-based project in MP turned down বা ‘মধ্যপ্রদেশে এনটিপিসির কয়লা ভিত্তিক প্রকল্প বাতিল’ শীর্ষক খবরে বলা হয়: জনবসতি সম্পন্ন এলাকায় কৃষিজমির উপর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রহনযোগ্য হতে পারে না বলে ভারতের কেন্দ্রীয় গ্রীন প্যানেল মধ্যপ্রদেশে ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন(এনটিপিসি) এর ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি (Click This Link)। NTPC’রএকই ধরণের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের প্রস্তাব গাজমারা উড়িষ্যা থেকে পরিবেশ বিভাগ থেকে ছাড়পত্র না দিয়ে ফেরত দেয়া হয় (সুত্রঃ ৪ এপ্রিলের The Business Line লিংকঃ- Click This Link)অথচ বাংলাদেশে সেই এনটিপিসিকে ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে সুন্দরবনের মতো সংরক্ষিত একটি বনাঞ্চল, কৃষি জমি, স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকার উপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাবগুলো তোয়াক্কা না করেই। রামপাল বিদুৎ কেন্দ্রটির প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে দুর্নীতি, যদিও ভারতে একই আকারের একটি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৭৯২ একর, যার বেশির ভাগটাই এক ফসলি কিংবা অনুর্বর পতিত জমি। অথচ রামপালে জমি অধিগ্রহণ করার পরিমান ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎস চাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ।
এবার আসুন একটু চোখ বুলাই অধিগ্রহণ করা ১৮৩৪ একর জমি থেকে বিদুৎ প্রকল্পের কারনে আমরা বছরে কি কি হারাচ্ছি।
• বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়। ১০ বছরে
• ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়।
• প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩/৪টি গরু, ২/৩ টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাঁস, ৬-৭ টি করে মুরগী পালন করা হয়।ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভান্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে৫২১৮৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১৮৩৪ একর জমিতে (৫৬৯৪১ মেট্রিক টন) মাছ উৎপাদিত হয়।
EIA রিপোর্টে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রকল্প এলাকায় (১৮৩৪ একর) ধান, মাছ, গৃহপালিত পশুপাখি ইত্যাদির উৎপাদন ধ্বংস হবে স্বীকার করে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, সঠিক পরিবেশ ব্যবাস্থাপনা অনুসরণ করা হলে এর বাইরের ১০ কিমি এলাকার মধ্যে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না (!)। যদিও বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ কাজ, ড্রেজিং, বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক ও তৈল নি:সরণ ইত্যাদির ফলে পশুর ও মাইদারা নদী, সংযোগ খাল, জোয়ার-ভাটার প্লাবণ ভূমি ইত্যাদি এলাকার মৎস আবাস, মৎস চলাচল ও বৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশংকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
২. বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মালামাল ও যন্ত্রপাতি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নদী পথে পরিবহন করা হবে। এর ফলে বাড়তি নৌযান চলাচল, তেল নিঃসরণ, শব্দদূষণ, আলো, বর্জ্য নি:সরণ ইত্যাদি পরিবেশ আইন অনুসারে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে সুন্দরবনের ইকো সিস্টেম বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, ডলফিন, ম্যানগ্রোভ বন ইত্যাদির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে ইআইএ রিপোর্টে আশংকা করা হয়েছে।
৩. প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, যানবাহন, জেনারেটর, বার্জ ইত্যাদি থেকে তেল পুড়িয়ে ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে। এই কার্বন ও নাইট্রোজের পরিমাণ কি হবে ও ক্ষীতকর প্রভাবই বা ৪৫ বছরের নির্মাণ পর্যায়ে কিরুপ হবে তার কোন পর্যালোচনা EIA রিপোর্টে করা হয় নি ।
৪. নির্মাণ কাজের যন্ত্রপাতি ও যানবাহন ব্যবহারের ফলে শব্দ দূষণ হবে। এক্ষেত্রেও নির্মাণ পর্যায়ে শব্দ দূষণের মাত্রা এবং সুন্দরবন ও প্রকল্পের চারপাশের পরিবেশের উপর কি প্রভাব পড়বে তা যাচাই করা হয় নি ইআইএ রিপোর্টে।
৫. নির্মাণ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের কঠিন বর্জ্য তৈরী হবে যা সঠিক পরিবেশ ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে পরিবেশ এর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে আশংকা করা হয়েছে।
৬. নির্মাণ স্থলের নিকটবর্তী নদী-খালের পানিতে নির্মাণ যন্ত্রপাতি ও যানবাহনের তেল নি:সরিত হয়ে পানি দূষণ ঘটাতে পারে।
৭. ড্রেজিং এর ফলে নদীর পানি ঘোলা হবে। ড্রেজিং সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে তেল গ্রীজ ইত্যাদি নিঃসৃত হয়ে নদীর পানি দূষিত হবে।
৮. পশুর নদীর তীরে যে ম্যানগ্রোভ বনের সারি আছে তা নির্মাণ পর্যায়ে জেটি নির্মান সহ বিভিন্ন কারণে কাটা পড়বে। নদী তীরের ঝোপঝাড় কেটে ফেলার কারণে ঝোপঝাড়ের বিভিন্ন পাখি বিশেষ করে সারস ও বক জাতীয় পাখির বসতি নষ্ট হবে।(সূত্র: রামপাল EIA, Impacts: pre-construction and construction stages)
উৎপাদিত বর্জ্য ছাই সিমন্টে কারখানা, ইট তৈরী ইত্যাদি বিভিন্ন শিল্পে ব্যাবহারের সম্ভাবনার কথা ইআইএ রিপোর্টে বলা হলেও আসলে কোন কারখানায় এর আদৌ কোন ব্যাবাহর হবে এরকম কোন নিশ্চিত পরিকল্পনা করা হয়নি । বড় পুকুরিয়ার মাত্র ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেই উৎপাদি ছাই এরই উপযুক্ত ব্যাবহার বাংলাদেশে হচ্ছে না। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত দৈনিক ৩০০ মেট্রিকটন বর্জ্য ছাই কোন সিমেন্ট কারখানায় ব্যাবহারের বদলে ছাই এর পুকুর বা অ্যাশপন্ডে গাদা করে রেখে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটানো হচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চার বছরে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৬১৩ টন ছাই পুকুরে জমা করে পুকুরের প্রায় পুরোটাই ভরে ফেলা হয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যও ১০০ একরের ছাইয়ের পুকুরের পরিকল্পনা করা হযেছে। অ্যাশপন্ড বা ছাইয়ের পুকুরে গাদা করে ছাই বাতাসে উড়ে, ছাই মিশ্রিত পানি চুইয়ে মাটির নীচে ও আশাপাশের জলাভূমিতে বিষাক্ত ভারী ধাতুর মারাত্মক দূষণ ঘটাবে।
সুন্দর বনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনের ফলাফল;
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানীকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়েই পরিবহন করা হবে! এ জন্য সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রায় সারা বছর ধরে হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করে গোটা সুন্দরবনের পরিবেশ ধ্বংস করে ফেলবে।
সরকারি পরিবেশ সমীক্ষা (ইআইএ)অনুযায়ী, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বছরে ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা ইন্দোনেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সমুদ্র পথে আমদানী করতে হবে। আমাদানীকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজের মাধ্যমে মংলা বন্দরে এনে তারপর সেখান থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সুন্দরবনের ভেতরে পশুর নদীর গভীরতা সর্বত্র বড় জাহাজের জন্য উপযুক্ত না হওয়ার কারণে প্রথমে বড় জাহাজে করে কয়লা সুন্দর বনের আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত আনতে হবে, তারপর আকরাম পয়েন্ট থেকে একাধিক ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে কয়লা মংলাবন্দরে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য সুন্দর বনের ভেতরে হিরণ পয়েন্ট থেকে আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত ৩০ কিমি নদী পথে বড় জাহাজ বছরে ৫৯ দিন এবং আকরাম পয়েন্ট থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত প্রায় ৬৭ কিমি পথ ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে বছরে ২৩৬ দিন হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহন করতে হবে! সরকারের পরিবেশ সমীক্ষাতেই স্বীকার করা হয়েছে, এভাবে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করার ফলে-
• কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ থেকে কয়লার গুড়া, ভাঙা টুকরো কয়লা, তেল, ময়লা আবর্জনা, জাহাজের দূষিত পানি সহ বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নি:সৃত হয়ে নদী-খাল-মাটি সহ গোটা সুন্দরবন দূষিত করে ফেলবে;
• সুন্দরবনের ভেতরে আকরাম পয়েন্টে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে কয়লা উঠানো নামানোর সময় কয়লার গুড়া, ভাঙা কয়লা পানিতে/মাটিতে পড়ে- বাতাসে মিশে মাটিতে মিশে ব্যাপক পানি-বায়ু দূষণ ঘটাবে
• চলাচলকারী জাহাজের ঢেউয়ে দুইপাশের তীরের ভূমি ক্ষয় হবে;
• কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ ও কয়লা লোড-আনলোড করার যন্ত্রপাতি থেকে দিনরাত ব্যাপক শব্দ দূষণ হবে;
• রাতে জাহাজ চলের সময় জাহাজের সার্চ লাইটের আলো নিশাচর প্রাণী সহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল সুন্দরবনের পশু-পাখির জীবনচক্রের উপর মারাত্বক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে ইত্যাদি।
এই ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির মধ্যপ্রদেশে প্রস্তাবিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ভারতীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাতিল করে দিয়েছে। তারা বলেছে, “বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য প্রস্তাবিত স্থানটি কৃষিজমি, যা মোটেই প্রকল্পের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া নর্মদা নদী থেকে প্রকল্পের জন্য ৩২ কিউসেক পানি টেনে নেওয়া প্রকল্পের জন্য বাস্তবসম্মত নয়। কৃষি জমির সল্পতা, নিকটবর্তী জনবসতি, পানির সল্পতা, পরিবেশগত প্রভাব এসব বিবেচনায় এই প্রকল্প বাতিল করা হল।”
যে বিবেচনায় এনটিপিসি নিজের দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারেনি সেই কোম্পানী কি করে একই প্রকল্প বাংলাদেশে অনুমোদন পায় তা বুঝতে কি খুব বেশি বেগ পেতে হয়?
গত ২০ ডিসেম্বর ওরিয়ন গ্রুপের সাথে পিডিবির চুক্তির সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে কয়লাভত্তিকি কন্দ্রেগুলোর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ৫২২ মেগাওয়াটের কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা এবং খুলনার লবণচোরায় এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ২৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কেন্দ্র তিন টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি।
ফলে বোঝা শক্ত নয়, বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের নামে আরেকটি বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে বিদ্যূৎ কেনার আয়োজন হচ্ছে।
এই প্রকল্প এলাকা সুন্দরবনের ঘোষিত সংরক্ষিত ও স্পর্শকাতর অঞ্চল থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে। অন্যান্য দেশে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫-২০ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় না। এমনকি এই ভারতীয় কোম্পানিকেও তার নিজের দেশেই এই যুক্তিতে মধ্য প্রদেশে একটি অনুরূপ প্রকল্প করতে দেওয়া হয়নি। ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে! আবার সুন্দরবন থেকে দূরত্ব আসলেই ১৪ কিলোমিটার কি না সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে। খোদ ইআইএ রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে প্রকল্পের স্থানটি একসময় সুন্দরবনেরই অংশ ছিল স্বাস্থ্যগত ঝুকিঃ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত সালফার নাইট্রোজেন, কার্বন ইত্যাদির বিভিন্ন যৌগ কিংবা পারদ, সীসা, ক্যাডমিয়াম, ব্যারিয়াম ইত্যাদি ভারী ধাতুর দূষণ ছাড়াও কুলিং টাওয়ারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রামণের কারণেও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক আকারে নিউমোনিয়া জাতীয় রোগ ছড়িয়ে পড়ে। ইআইএ রিপোর্টে এসম্পর্কে বলা হয়েছে:
Another major health risk involves cooling tower. With world experience, different studies suggest that bacterial contamination of cooling tower may cause outbreak of pneumonia in the surrounding community. Aerosol dispersed from the cooling tower favour growth of bacteria causing pneumonia
এর পরেও কি আমাদের হুশ হবে না? এখনো কি আমরা বিশ্বাস করবো আমাদের নেতা-নেত্রীরা দেশ ও মাতৃভূমির জন্য কাজ করে? নাকি আমরা এতটাই দলান্ধতা যে নিজেদের বুদ্ধি, বিচার বর্গা দিয়ে শুধু খোলস হয়েই বেঁচে আছি? অবাক বিষয় হলো দেশ বিরোধী এই বিদুৎ কেন্দ্রটি নির্মানের পরে ভারতীয় কোম্পানী ১৫ বছর পর্যন্ত Corporate tax অব্যাহতি পাবে। যা অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির জন্য তৈরী সার-সংক্ষেপে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।
¨
তথ্যসুত্রঃইআইএ রিপোর্ট।
প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাৎ হোসাইন, জুনিয়র প্রকৌশলী, ইন্সিটিটিউট।
সুন্দরবন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও।
এবং এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞগন ও রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান
সুন্দরবন রক্ষায় দেশ বিরোধী রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র চুক্তি বাতিলে লক্ষে আমরা একটি আন্দোলনের ডাক দিয়েছি, আপনারাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে সুন্দরবন রক্ষায় সহযাত্রী হবেন। এই কামনা, ইভেন্টের লিংক। Click This Link