☯☯ নির্বাচনের ডাকঃ-
সামুর সকল ব্লগারগন, শীতের এই হিম শিতল সন্ধায় আপনাদের জানাই অনেক শুভেচ্ছা । আপনারা হয়ত ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন, সুন্দর এবং সুস্থ ব্লগিং এর লক্ষে সামু শহরে সকল ব্লগারদের মদ্ধে নেতা নির্বাচনের জন্য ভোটের ডাক দিয়েছেন আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার "জানা" এবং সহকারী নির্বাচনী কমিশনার "মিস্টার আরিল" ।
গতকাল একটি সংবাদ সম্মেলনেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার "জানা" জানান, "আপামর ব্লগারদের কথা ভেবেই সামুকে একটি সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা এবং এর মদ্ধে হেভিওয়েট ব্লগারদের মদ্ধে নির্বাচিত করার মাদ্ধমে আমরা ব্লগে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছি। আগামী ১০ই অক্টোবর ২০১১ তারিখে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা করা হবে। এই নির্বাচনের মাদ্ধমে ব্লগারদের থেকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলর নিবাচিত করা হবে সরাসরি ব্লগারদের ভোটের মাদ্ধমে। "
এসময় উপস্থিত ব্লগাররা হর্ষ ধ্বনি করেন এবং তালি দিয়ে তাকে সমর্থন জানান।
☯☯ মনোয়ন পত্র জমা এবং প্রতিক বরাদ্ধঃ- আজ সেই বহুল প্রতীক্ষিত ১০ অক্টোবর। আজ সাসিকের নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ১ লা ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঠিক করেছেন।
আজ নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে দেখা যায় একে একে পার্থিরা মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছেন, আসুন দেখি কে কে আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন।
☯ মেয়র পদেঃ- মেয়র পদে আজ মাত্র ৩ টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। এর মদ্ধেই সেই মনোনয়ন পত্র গৃহীত হয়ে প্রতীকও পেয়েগেছেন তারা। তার মানে মেয়র পদে লড়ছেন মাত্র ৩ জন ব্লগার। আসুন তাদের নাম এবং প্রতিক কি কি জেনে নেই-
১। এম ডি জাকারিয়া স্যার। - আপনারা জেনে অবাক হবেন যে আমাদের সবার প্রিয় জাকারিয়া স্যার আবারোও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন এবং আমাদের সাথে সারাজীবন থাকবেন বলে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। নির্বাচন কমিশন তাকে তার সেই বিখ্যাত পোস্টের প্রতি সম্মান জানিয়ে "কম্পুটার" প্রতিক বরাদ্ধ করেছেন। যদিও এটা নিয়ে সম্মানিত জাকারিয়া স্যারকে একটু মনক্ষুন্ন দেখা গেছে। উনি একটি বিবৃতিতে বলেন- আমি আশা করেছিলাম আমি "মশারী"প্রতিক পাব কিন্তু সেই কুচক্রি নির্বাচন কমিশনার "জানা" আমাকে "কম্পুটার" প্রতিক দিল! আমি কি কম্পুটারের কিছু জানি ?? আমিত এখনো কম্পু নিয়ে চিন্তা করছি। সে যাই হক প্রতিক বড় ব্যাপার না বন্ধুগন।
তিনি সেই সময় তার বিখ্যাত কম্পুটার পোস্টটি আবৃতি করে শুনান- "কম্প্উটার একটি বিশ্বয় জনক সৃষ্টি । এ নিয়ে মোটেই চিন্তা করা জায় না । মাঝে মাঝে চিন্তা করে আমি একদম ক্লান্ত হইয়া যাই । এখন আমি কি যে করি , ভেবে পাচ্ছি না । কম্প্উটার একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র । এর যে কত ক্ষমতা তা চিন্তার বিষয় ।
তোমরা সকলে কম্প্উটার নিয়ে চিন্তা কর ।"
এসময় উপস্থিত ব্লগারা হাত তালি দেয় এবং বিভিন্ন শ্লোগানে আকাশ ভারি করে ফেলে। তার এই বিপুল জনসমর্থন দেখে শুশিল ব্লগাররা আমাদের প্রথম মেয়র হিসাবে তাকেই ভেবে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
২। রােশদ হাসান- সামুর আরেক জনপ্রিয় ব্লগার জমিদার বংশের লোক উনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উনি সামুর উপর রাগ করে চলে গিয়েছিলেন এবং গত রোজার ঈদের আগে এক হিজড়া ওনার রিক্সায় উঠে গেছিল। কিন্তু নির্বাচনের কথা শুনে উনি আবার সামুতে ব্যাক করেছেন এবং উনিও মেয়র পদে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন ওনার প্রতিক হিসাবে "সরল আদর্শ লিপি"-বই বরাদ্ধ করেছেন। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে ওনার হাল্কা মত বিরোধ দেখা গেছে।
ব্লগার রাশেদ হাসান এক বিবৃতিতে বলেন- "হে ামার পরিয় বলোগারগোন, ামি রাসেড াপনাডের মেয়র হোটে েসেচি, ামি জিমডার বোংসের লক। ামাকে াপনারা াডোরশো লিপিটে ভুট ডিয়ে জোয়যুকট কোরভেন, ঐ নিরভাচোন কোমিশোনার জানা ামাকে োকমান কোরেচেন, াপনারা টার ভিচার কোরভেন ভুটের মাডঢোমে।"
এসময় রাশেদ হাসানের ভক্তরা নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন এই বলে-
"জানা টুমি ভল না,
রাসেড বাইকে চিন না। "
৩। প্রিন্স (নাভানার সিভিল ইঞ্জিঃ) - সামুর সবচাইতে লুল আর জনপ্রিয় ব্লগার প্রিন্স (নাভানার সিভিল ইঞ্জিঃ) সাহেবও এইবার মেয়র পদে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। এই জন্য ওনার ভক্তদের মদ্ধে অনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। প্রিন্স প্রতিক পেয়েছেন "একটি সুদৃশ্য লুলদানি"। এই প্রতিক পেয়ে প্রিন্স সাহেব যারপরনাই অনেক আনন্দিত। প্রতিক পেয়ে উনি এক ভাব বিনিময় সভায় জানান- "পৃথিবীতে লুলদের মত ভাল আর কেউ নাই, তারা সমাজের নারিকুলের প্রতি অনেক চিন্তিত। তাদের ভালমন্দের খোঁজ নেওয়া, বিবাহিত কি অবিবাহিত তার খোঁজ রাখা- এই সকল কাজ সামাজে এক ঘটক ছাড়া আর কেউ রাখে না। তাই লুলদের প্রতিক হিসাবে লুলদানি এক শিল্পের পর্যায়ে পড়ে।"
এই সময় উপস্থিত সভ্য লুলরা হাত তালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
তবে বাজারে গুজব রটেছে যে, মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিন প্রন্স সাহেব নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান জানা কে বলছিলেন "ম্যাডাম আপনি কি বিবাহিত? আপনার নির্বাচন নিয়ে কারিগুরি দেখে আমি আপনার প্রতি বিশেষ আগ্রহী হয়ে পড়েছি। এই কথা শুনে জানা ম্যাডাম রেগে "দূর হ হতভাগা" বলে তিরস্কার করেছেন।"
☯☯ ওয়ার্ড কাউন্সিলরঃ
আর সামুর দুইটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাও ঐ দিন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। আসুন আমরা জেনে নেই সেই সব কাউন্সিলর পার্থিদের নাম জেনে নেই।
☯ ১ নং ওয়ার্ড- " হিট পাড়া। "- এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করবেন "ব্লগার হাসান মাহবুব" প্রতিক পেয়েছেন সাইকেল", "ফিশন ফাইভ" প্রতিক পেয়েছেন- "একটি পাহাড়", "জিশান শা ইকরাম" প্রতিক পেয়েছেন "বট গাছ, এবং "ব্লগার আলিম আল রাজি" প্রতিক পেয়েছেন হলুদ পাঞ্জাবি' ।
নিজ নিজ প্রতীককের ব্যাপারে একমাত্র ব্লগার হাসান মাহবুব ছাড়া আর সকলেই অনেক খুশি। এ ব্যাপারে ব্লগার হাসান মাহবুব থেকে জানতে চাইলে উনি আমাদের ফোনে জানান- উনি নাকি জানা ম্যাডামের কাছে প্রতিক হিসাবে আর কিছু না হোক এটলিস্ট মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি দিবেন, তা না করে ম্যাডাম ষড়যন্ত্র করে অনাকে পায়ে চালানো সাইকেল দিয়েছেন। জানা ম্যাডাম বিরোধী দলের সাথে হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছেন বলে উনি তিব্র প্রতিবাদ জ্ঞেপন করেন।
তবে এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
☯☯ ২ নং ওয়ার্ড- "আপু পাড়া"- এই পাড়া থেকে নির্বাচন করবেন ব্লগের আপুরা। যে যে আপুরা প্রতিক পেয়েছেন- "ব্লগার শুকনা মরিচ" প্রতিক পেয়েছেন অবধারিত ভাবেই "শুকনা মরিচ", ব্লগার রেজোওয়ানা প্রতিক পেয়েছেন "শলার ঝাড়ু", "ব্লগার নাআমি" প্রতীক পেয়েছেন "রজনিগন্ধার সটীক"। এবং "ব্লগার জুন" প্রতীক পেয়েছেন "আইস্ক্রিম"। ব্লগার জুন সব সময় দেখা হলে ওনার সহব্লগারদের আইস্ক্রিম খাওয়ান বলে এই প্রতীক পেয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ব্লগার শুকনা মরিচ হুমকি দিয়ে বলেন - এই নির্বাচনে তিনি পাশ না করলে "সকল ব্লগারদের চোখে শুকনা মরিচের গুঁড়া ঢেলে দিবেন।"
এর প্রতিবাদের ব্লগার রেজওয়ানা পাল্টা জানান "মরিচ দেওয়ার আগেই সব শয়তানকে ঝাঁটা পেটা করবেন।"
☯☯ নির্বাচন প্রচারণা- এরই মদ্ধে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারনা। নির্বাচন নিয়ে সকল ব্লগারদের মদ্ধেই খুশির আমেজ চলে এসেছে। আজ ব্লগার হাসান মাহবুব এক জনসভায় ওনার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফিউশন ফাইভের সমালোচনা করে বলেন- "ফিউশন ফাইভ, আপনি আমাদের সামনে আসুন। না আসলে ভাব্ব আপনি একটি প্রতারক। আর আমার এলাকার মানুষ জেনে শুনে পর্দার আড়ালে থাকা কোন প্রতারকে ভোট দিবেন না।" এই সময় উপস্থিত জনতা সমস্বরে এর পক্ষে রায় দেন।
তবে এর প্রতিবাদে ফিউশন ফাইভ আমাদের প্রতিনিধিকে ফোনে নির্বাচনী আইনের ধারা উল্লেখ করে জানান- "আমি পর্দার আড়াল থেকে আসব না। নির্বাচন কমিশনের কোন আইনে নাই পার্থিকে সামনে আসতেই হবে। ,
অন্যদিকে মেয়র প্রার্থিদের মদ্ধে দিন রাত নির্বাচনীর প্রচারনায় বেস্ত আছেন। এরই মধ্যে তাদের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এক সংঘর্ষে রাশেদ হাসানের সমর্থকদের লুলদানি দিয়ে পেটায় প্রিন্স সাহবের ক্যাডাররা। এর প্রতিবাদে ব্লগার রাশেদ হাসানের সমর্থকরা প্রেস ক্লাবে এক মানব বন্ধন করেন, বক্তিতায় রাশেদ হাসান বলেন- "আমি জিমদার বোংশের লক। ামার মারামারি কোরটে চাি না। ামার ভাই কাশেম তাবলিগে গেচেন, নোয়ট ামি ামার ভাইকে বোলে ডুসটু লকডের মার কঅয়াটাম।"
হিট পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় আলিম আল রাজির সমর্থকরা হলুদ পাঞ্জাবি পরে প্রচারাভিজান চালাচ্ছেন। আলিম আল রাজি নিজের জয়ের ব্যাপারে ১০০ ভাগ নিশ্ছিত বলে জানা গেছে।
আপু পাড়ায় বেশ কয়েকদফা সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। নাআমি আপুর সমর্থকরা যখন রজনীগন্ধার সটীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলি করছেন তখন রেজোওয়ানার সমর্থকরা তাদের শলার ঝাড়ু নিয়ে তাড়া করে। এতে বেশ কয়েকজন প্রমিলা ব্লগার আহত হন- তাদের মধ্যে "ব্লগার মেঘ মেঘা" এবং " ব্লগার মিথিলা সায়মা" কে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
☯☯ নির্বাচনের দিন- আজ আনন্দ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ভোট উজ্জাপন করা হয়েছে। সারাদিন ব্লগাররা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
নির্বাচনের একটি ভোট কেন্দ্রের ছবি- [ছবি ক্রেডিট- ফিউশন ফাইভ]
কয়েকটি কেন্দ্রে হালকা সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। জাকারিয়া স্যারের সমর্থকরা প্রিন্স ভাইয়ের শিপু ভাই নামের এক সমর্থককে কি বোর্ড পেটা করেছেন বলে জানা গেছে। এর প্রতিবাদের প্রন্স ভাই পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন- "আর যদি আমার কোন সমর্থকের গায়ে হাত উঠে তাহলে সে হাত লুলদানি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলব।"
☯☯ নির্বাচনী ফলাফলঃ
ভোট গ্রহন শেষে কড়া পাহারায় ভোট গননা শুরু হয়। ভোট গননা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
☯ ২ নং ওয়ার্ড (আপু পাড়া)- এই নির্বাচনী এলাকে থেকে ব্লগার জুনকে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২০৯৫ টি, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্লগার রেজোওয়ানা পেয়েছেন ১১৮৫৬ টি। এর প্রতিবাদে রেজোয়ানা জানান, ব্লগার জুন সকল ভোটারদের আইসক্রিম ঘুষ দিয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি এই এলাকার পুনঃনির্বাচনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।
অন্য দুই পার্থিকে ফোনে ট্রাই করে পাওয়া যায়নি।
☯ ১ নং ওয়ার্ড (হিট পাড়া)- এই নির্বাচনী এলাকায় বট গাছ প্রতীক নিয়ে ব্লগার জিশান শা ইকরাম কে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। উনি ভোট পেয়েছেন ১৮৫২০ টি আর ওনার নিকটতম প্রতিদন্ধি একটি পাহাড় প্রতীক নিয়ে ফিউশন ফাইভ পেয়েছেন ১৪২২৩ টি।
এই বিজয় সকল ব্লগাদের বিজয় বলে জিশান শা ইকরাম মন্তব্য করেছেন। এই সময় তিনি তার ব্লগের ভাই বেরাদরদের নিয়ে এফ এন এফ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে।
১২৬৫২ ভোট পাওয়া ব্লগার হাসান মাহবুব বলেছেন- জানা ম্যাডাম টাকা খেয়ে জিশান শা ইকরাম কে জিতিয়ে দিয়েছেন। উনি জানা ম্যাডামের পদত্যাগ দাবি করেন।
আর ১০১৪ ভোট পেয়ে সবার শেষে আছেন আলিম আল রাজি। উনি জানান- উনি আসলে পড়াশোনার কারনে নির্বাচনী প্রচারনায় সময় দিতে পারেন নাই। তবে গোপন সুত্রে খবর পাওয়া গেছে যে- উনি সকল ভোটারদের হলুদ পাঞ্জাবি কিনে দিতে পারেন নি বলে তার এই ভরাডুবি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজি বিষণ্ণ গলায় বলেন "সেমিস্টার ফি মেরে আর কয়টা পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। "
☯ ☯ সামু সিটি কর্পোরেশনের মেয়রঃ আমাদের সামুর প্রথম সিটি কর্পোরেশনের মেয়ের হয়েছেন তুমুল জনপ্রিয় ব্লগার "জাকারিয়া স্যার"। তিনি এই বিজয়কে চিন্তাগামি সকল ব্লগারদের বিজয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৪০৯৮ টি, তার নিকটতম প্রতিদন্ধি প্রিন্স ভাই পেয়েছেন ২০১৪৫ টি।
এই বিয়জয়ে নবনির্বাচিত মেয়র জাকারিয়া স্যার বলেন- এই বিজয় আমার, আপনার সবার। লুল কিংবা রাশেদ হাসানের মত বেকুব লোক এই সমাজের প্রতিনিধি হতে পারে না। তিনি আরও বলেন- আমি সবাইকে অনেক চিন্তাশিল করে তুলব। সামুর সবাই আরও বেশি বেশি চিন্তা করতে শিখবে।" তিনি সবাইকে এই বার মোবাইল নিয়ে চিন্তা করতে বাহবান জানান। তারপর জাকারিয়া স্যার সব ব্লগারদের নিয়ে বিজয় মিছিল করেন, এই সময় সমর্থকদের হাতে ছিল কম্পিউটারের কি বোর্ড।
সবার শেষে আছেন ব্লগার রাশেদ হাসান। উনি পেয়েছেন ১৮৪৪৭ টি। এ ব্যাপারে রাশেদ হাসান এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে উনি শুধু বলেন "াপুনি োনেক কারাপ লক"।
হাসপাতাল থেকে প্রিন্স সাহেবের আহত কর্মি শিপুভাই নিজ দলের এই ভরাডুবির ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন- " এই কারচুপির নির্বাচন আমরা মানি না। সূক্ষ ও স্থুল কারচুপির মাধ্যমে আমাদের প্রান প্রিয় প্রিন্স ভাইকে পরাজিত করানো হয়েছে। আমাদের নেতা কর্মিদের উপর বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমরা পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি। সুষ্ঠু ভোট হলে আমরাই জিত্তাম!!! আমাদের জনপ্রিয়তা পাতাল ছোয়া।
আমরা প্রয়োজনে সামহোয়ারিন আদালতে যাব। সামুবাসী আমাদের সাথেই আছে।"
নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান জানা এই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে জানান। এই সময় সহকারী নির্বাচন কমিশনার মিস্টার আরিলড হু হু বলে সমর্থন দেন।
(রিপোর্ট- ব্লগার "জাহাজী পোলা")
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৯