মাননীয় প্রধান মন্ত্রী,
সালাম নিবেন। আশা করি আল্লহর রহমতে আপনি অনেক ভালো আছেন।
প্রথমেই এই চিঠি লিখার ধৃষ্টতার জন্য চিঠির শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কখনো ভাবিনি আপনাকে আমার চিঠি লিখতে হবে। কিন্তু আজ বাংলাদেশের নাবিক ইতিহাসের সবচাইতে দুর্যোগময় সময়ে একজন নাবিক হয়ে চিঠিটা না লিখে থাকতে পারলাম না।
আমি জানি আপনি আপনার প্রশাসনিক এবং দলীয় কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত। তবুও আশা করছি আমার চিঠিটা আপনি একবারের জন্য হলেও পড়বেন এবং একজন প্রধান মন্ত্রী হিসাবে নয় একজন মা হিসাবে।
ম্যাডাম, আমরা বাংলাদেশী নাবিক, নীল সমুদ্র আমাদের কর্ম ক্ষেত্র, নীল সাগরে আমাদের নির্ভিক বিচরন। আমরা বিশ্বের এলিট (ইউ কে/ ইউ এস, এ........) দেশগুলোর সব নাবিকের মতই অকুতভয়, কর্ম দক্ষ নাবিক। সাগরের শত ঝড়, সুনামি আমাদের আমার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনা। যত ঝড়ই আসুক না কেন আমরা আমাদের জাহাজকে নিয়ে যাই তার গন্তব্যে। সচল রাখি একটি দেশের বন্দর, একটি দেশের অর্থনীতির চাকা।
আসেন ম্যাডাম- আপনি দেখুন সেই উত্তাল সাগরের হিংস্র ঝড়ের রূপ-
কিনবা যখন আমরা যাই কোনো শীত প্রধান দেশে সেখানেও আমাদের পূর্ণ কাজ করতে হয়।
শত বাধা সত্তেও নাবিকরা কখনো কাজ ফেলে রাখতে পারে না, কারণ জাহাজ ৫ মিনিট লেট হলেও কোম্পানির ক্ষতি হয়ে যায় লাখ লাখ টাকা।
আজ এক দেশে কাল আরেক দেশে এভাবে আমাদের যাযাবর জীবন কাটে। অন্য সব বাংলাদেশির মত আমরা নাবিকরাও অনেক আবেগী, দেশ প্রেমিক। সবসময় আমরা স্বপ্নে বিভোর থাকি- কবে যাব বাড়ি! কবে যাব আমাদের মাতৃভূমিতে! দেশের কথা, পরিবারের কথা ভেবে আমারা শারিরীক ক্লান্তিকে হয়ত ভুলে থাকতে পারি কিন্তু অন্যদিকে মনের কষ্টটা জাগ্রত হয়ে নোনা জল হয়ে গড়িয়ে পড়ে আমাদের দুচোখ বেয়ে।
আপনি জানেন-সে কষ্টটাকে ভুলে থাকার জন্য আমরা নাবিকদের সে কি হাস্যকর প্রচেষ্টা!
ম্যাডাম, আপনি হয়ত অবগত আছেন যে বাংলাদেশী একটি বেসরকারী শিপিং কোম্পানি ব্রেভ রয়াল-এর একটি জাহাজ "এম. ভি. জাহান মনি"-কে সিঙ্গাপুর থেকে গ্রিসে যাওয়ার সময় সোমালিয়ান জলদস্যুরা আরব সাগর থেকে অপহরণ করেছে গত ৫ ই ডিসেম্বর ২০১০। আপনি হয়ত জায়গাটা চিনবেন না, তাই একটা ম্যাপ দিচ্ছি দেখুন-
ম্যাডাম, আপনি হয়ত জানেন না- ইন্টার ন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশান (I M O)-এর আই এস পি এস কোড (International Ship and Port Facility Security Code) অনুযায়ী মার্চেন্ট শিপগুলোতে কখনো কোনো আগ্নেয়াস্র কিনবা বিস্ফোরক রাখা হয় না- তাই জাহাজের লোকজন অস্রো সজ্জিত জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অসহায় আর্তসমর্পণ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকেনা।
জলদস্যুরা সাধারণত গভীর সমুদ্রে কোনো জাহাজ দেখতে পেলে তারা তাদের দ্রুতগামী হালকা বোট নিয়ে জাহাজের কাছাকছি যায় এবং রকেট লাঞ্চার জাহাজের দিকে তাক করে ওয়াকি-টকিতে জাহাজের ক্যাপ্টেনের সাথে যোগাযোগ করে বলে- যদি জাহাজ না থামানো হয় তাহলে জাহাজকে ডুবিয়ে দেওয়া হবে।
এসব ক্ষেত্রে জাহাজের ক্যাপ্টেনের অসহায় আর্তসমর্পন করা ছাড়া এর কোনো উপায় থাকে না।
ম্যাডাম, সোমাল কোষ্টে এটাই অপহরণকৃত প্রথম জাহাজ নয়। ইউরোপিয়ান নেভাল ফোর্সের মতে- ২০১০ সালে জলদস্যুরা ১৬৪ টি জাহাজে আক্রমন চালিয়েছে। ২০০৯ সালে ১৯৩ টা জাহাজ আক্রমন করেছে, ৩৩ টি জাহাজ ওরা হাইজ্যাক করেছে।
যে সব জাহাজ হাইজ্যাক করা হয় তাদের বেশির ভাগই উদ্ধার করা যায় কোনরকম ক্ষয় ক্ষতি ছাড়া। কারণ একটি জাহাজ যখন জলদস্যুরা অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করে তখন পি&আই ক্লাব জাহাজ কোম্পানির পক্ষ থেকে মুক্তিপনের টাকা দিয়ে দেয়। ইন্টার ন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশান (I M O)-এর বিধি অনুযায়ী প্রত্যেক জাহাজের ইনসিউরেন্স থাকতে হয়। এম. ভি জাহান মনি জাহাজটিও পি&আই ক্লাবের অধীনে ইনসিউরেন্সকৃত।
তাছাড়া বিভিন্ন মিত্র দেশের কাছ থেকে সামরিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করলে তারা অপহরণকৃত জাহাজটিকে উদ্ধারের অভিযানে নামে-
যেমন- আপনাকে কিছু সোমায়লিয়ান জলদস্যুদের কর্মকান্ড দেখাই-
১. গভীর সমুদ্রে একটি বানিজ্যিক জাহাজে জলদস্যুরা উঠার চেষ্টা করছে
২. জলদস্যুরা আধুনিক অস্রসহ পাহারা দিচ্ছে জিম্মি নাবিকদের
৩. ২০০৯ সালের ১১ই জানুয়ারী ফ্রেঞ্জ লে ফ্লোরিয়াল ফিগ্রেট [ the EPE (Embedded Protection Team)] গলফ অফ এডেন-এ একটা প্যান্থার হেলিকপ্টার একটি বানিজ্যিক জাহাজকে উদ্ধারে গিয়েছিল।
৪. জলদস্যুর হাতে হতই অগ্নেয় অস্র থাকুক ওরা কোনো রেগুলার আর্মি নয়, ফ্রেঞ্জ ফিগ্রেটের কাউন্টার এটাকে পালানোর সময় ধরা পড়ে কজন জলদস্যু।
ম্যাডাম, বাংলাদেশে নাবিক অফিসার / ইঞ্জিনিয়ার সংখা মাত্র ৫-৬ হাজার হবে এবং সাধারণ ক্রু হবে ১০ হাজারের কাছাকাছি। আমরা নাবিকরা খুব ছোট একটা সমাজ। কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং অর্থনীতিতে আমাদের অবদান কোনো অংশে কম নয়। আমাদের বেতনের পরিমান বেশি হওয়ায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ আমেরিকান ডলার বাংলাদেশে আসে। উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশী নাবিকের অনেক সুনাম আছে।
কিন্তু আমি কষ্টের সাথে জানাচ্ছি- অপহরণ হওয়া ২৬ নাবিকের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার আশানুরূপ সাড়া দিচ্ছে না। গত ২০ তারিখের প্রথম আলোর প্রথম পেজে অপহরনকৃত নাবিকদের সংবাদটা এরকম ভাবে আসে-
সংবাদ সম্মেলনে ঢোকার মুখে চোখ আটকে গেল দেয়ালে। কাঁচা হাতে লেখা পোস্টারে ফুটে উঠেছে করুণ আর্তি—
‘সান্ত্বনার বাণী নয়, সন্তান ফিরে চাই’,
‘জিম্মি নাবিকদের বাংলা মায়ের কোলে কবে ফিরে পাব?’
‘অনাগত সন্তান কি বাবার মুখ দেখতে পাবে না?’
‘টাকার অঙ্ক দিয়ে জীবনের হিসাব মেলানো বন্ধ করুন’,
‘জিম্মিদের আহাজারি কি আমাদের হূদয় স্পর্শ করে না?’
গতকাল রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষের দেয়ালে এমন পোস্টার দেখে কার হূদয় না স্পর্শ করবে! শুধু পোস্টারই নয়, পুরো ঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল নানান বয়সের একদল অসহায় মানুষের করুণ মুখ। এরা সবাই সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘জাহান মণি’র ভাগ্যহত ২৬ বাংলাদেশির স্বজন। অপহরণের ১৫ দিন পরও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। জাহাজটি ছিনতাই হয়েছিল আরব সাগরের ভারতীয় জলসীমায়।
জিম্মিদের পরিবারের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এসে শিশু মাহিয়া তাসনিমের প্রশ্নে থমকে দাঁড়াতে হলো। চট্টগ্রামের বাওয়া স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সে। বলল, ‘আমার বাবা ভালো নেই। তোমরা কি আমার বাবাকে এনে দেবে না?’ চোখ মুছতে মুছতেই জানাল, ১২ ডিসেম্বর রাতে মুঠোফোনে বাবা কামরুল হোসেনের সঙ্গে কয়েক মিনিট কথা হয় তার। মাহিয়ার দাদা মোহাম্মদ হোসেন জানালেন, জাহাজটির থার্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত তাঁর ছেলে কামরুল। তিনি ছেলের জীবন ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান।
ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তারিকুল ইসলামের স্ত্রী মাহফুজা খাতুন জানালেন, তাঁর স্বামীর ভাষ্য অনুযায়ী সোমালিয়ার ৩০ জলদস্যু আটকে রেখেছে তাঁদের। ১২ ডিসেম্বর মুঠোফোনে যোগাযোগের সময় তারিকুল জানান, জাহাজে যে পরিমাণ খাবার ও পানি আছে, তাতে খুব বেশি হলে পাঁচ দিন চলবে।
মাহফুজা বলেন, ১২ ডিসেম্বর সোমালিয়ার জলদস্যুরা নয় মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬২ কোটি টাকা) মুক্তিপণ দাবি করে। পাঁচ দিনের মধ্যে মুক্তিপণের টাকা না দিলে জিম্মিদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত তাঁদের উদ্ধারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে জিম্মিদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
জিম্মিদের পরিবারের পক্ষে মাহফুজা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
‘জাহান মণি’র ইঞ্জিন ক্যাডেট শাহরিয়ার রাব্বির ফুফু দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা শাহীন আরা মমতাজের বক্তব্যের সময় কান্নার রোল পড়ে যায়। তিনি কাঁদতে শুরু করলে তা সংক্রমিত হয় অন্যদের মধ্যেও। তিনি বলছিলেন, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া রাব্বি সাগরের নেশায় মেতেছিলেন। ২০ পেরোনো তরুণটি বেছে নেন নাবিকের পেশা। ১২ ডিসেম্বর রাতে মিনিট দুয়েকের জন্য দস্যুরা তাঁকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দিয়েছিল। তরুণ নাবিকের কণ্ঠে ঝরছিল বাঁচার আকুতি—‘বাবা, আমাদের বাঁচাও!’
মমতাজ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুতি। তিনি একজন মা। তিনি স্বজন হারিয়েছেন। স্বজনকে নিয়ে আমাদের উৎকণ্ঠা তিনি বুঝবেন। তাঁর কাছে আমাদের একটাই আকুতি, আমাদের সন্তানদের আমাদের কোলে ফিরিয়ে দিন।’
মমতাজ যখন রাব্বিকে নিয়ে কথা বলছিলেন, তখন বুক চাপড়ে বিলাপ করছিলেন তরুণ নাবিকের মা বিলকিস রহমান—‘তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও। ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে।’ একপর্যায়ে তিনি মূর্ছা যান।
প্রসঙ্গত, ৫ ডিসেম্বর সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘জাহান মণি’ ছিনতাই করে। ছিনতাইয়ের সময় জাহাজটিতে ক্যাপ্টেন ও নাবিকসহ ২৫ জন বাংলাদেশি অবস্থান করছিলেন। তাঁরা ছাড়াও জাহাজটিতে এক কর্মকর্তার স্ত্রী ছিলেন।
জিম্মিদের আহাজারি আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে না?
সংবাদের সাথে ছবি ছিল এমন করে-
দেখুন এক জন মায়ের কান্না -
ম্যাডাম, আপনি একজন নারী, সন্তানের মা। আপনি বলুন- এই খবরটা পড়ার পর কি আপনার হৃদপিন্ডের স্পন্দনের গতি কি এক সেকেন্ডের জন্য থেমে যায় নি? আপনার চোখের কোনে কি নোনা জলের এক ফোটাও কি জমেনি?
ম্যাডাম, আপনি ৭৫-এ আপনার পরিবারকে হারিয়েছেন। আপনি জানেন একজন বাবা, একজন ভাই, একজন সন্তান যখন দুনিয়া থেকে অসময়ে চলে যায় তাহলে একজন সন্তানের মনে কি পরিমান রক্ত ক্ষরণ হয়, একজন মায়ের মনে কি পরিমান রক্ত ক্ষরণ হ্য়।
আপনি বি ডি আর বিদ্রোহ দেখেছেন, আপনি নিজেও সেদিন কেঁদেছিলেন ম্যাডাম। সেদিন রাজনীতির খেলায় দুনিয়া থেকে চলে গিয়েছিল ৭৩ জন আর্মি অফিসার। ম্যাডাম আর্মি অফিসারদের লাশ বুকে নিয়ে স্বজনদের আহাজারি আপনি দেখেছেন কিন্তু এই নাবিকদের কিছু হলে তাদের স্বজনরা তাদের লাশটাকে শেষ বারের মত দেখতেও পাবেনা, একজন বৃদ্ধ মা তার মৃত সন্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে পারবেনা- "বড় অসময়ে চলে গেলি খোকা"। একটি অনাগত শিশু ভুমিষ্ট হবার পর দুচোখ মেলে তার জন্মদাতা পিতাকে দেখতে পাবেনা-যে পিতা হয়ত অনেক মধুর স্বপ্ন দেখেছিল অনাগত সন্তানটিকে নিয়ে। একজন সন্তান তার মৃত বাবার বুকে আচড়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে বলতে পারবেনা- "বাবা দেখো, আমি আর দুষ্টামি করব না, আমি ভালো হয়ে গেছি বাবা। তবু তুমি ফিরে এসো বাবা"।
বাংলাদেশে নাবিক অনেক কম, যারা জাহাজে তারা মানব বন্ধনে অংশ গ্রহণ করতে পারেনি, যে স্বল্প সংখ্যক নাবিক দেশে আছেন তারা প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করেছেন। তারা সরাসরি আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
আপনি দয়া করে আমাদের আবেদনে সাড়া দিন। আপনি কোম্পানির মালিক মো. শাহজালাল সাহেবকে আদেশ করুন।
উনি ব্যাবসায়ী মানুষ। উনি হয়তো ওনার কোম্পানির লাভের দিকে তাকাবেন। আপনি ওনাকে আদেশ দিন- উনি যেন পি & আই ক্লাবের মাধ্যমে জলদস্যুদের চাহিদার টাকা দিয়ে দেন। এই টাকা মালিকের পকেট থেকে যাবে না।
ম্যাডাম আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, আমাদের অভিভাবক। দুর্নীতিবাজ এবং ঘুষখোর আমলাদের জন্য বাংলাদেশ সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এবং চট্টগ্রাম শিপিং অফিসের উপর আমরা নাবিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছি।
এইসব আমলারা অনেক দুর্নীতি করেছেন নাবিকদের সাথে, তাই ওনাদের কথা আমাদের মনে স্বস্তির পরশ দিতে পারছে না।
তাই শেষ ভরসা আপনি...
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের এই ১৬ কোটি মানুষের দেশে হয়তো ২৬ জন মানুষ কোনো বিষয়ই না। কিন্তু চিন্তা করুন আপনি, এই বিষয়টার উপর নির্ভর করছে মেরিনারদের সামনের ভবিষ্যত। এখন এই নাবিকদের কিছু হলে আর কোনো মা তার আদরের স্বন্তানকে সমুদ্রে পাঠাবেন না, কোনোদিন না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে একবার আমাদের দিকে তাকান, নিজের স্বন্তানের মত করে আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে একবার বলুন- আমি তোমাদের মা, আমি তোমাদের পাশে আছি।
একজন প্রধামন্ত্রী হিসাবে নয় একজন মা হিসাবে আপনার কাছে আমাদের এর বেশি কিছু চাওয়ার নেই।
ইতি-
২৬ নাবিকের পরিবারের পক্ষ থেকে ব্লগার "জাহাজী পোলা"।
============================================
অসহায় নাবিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সামুর মডুদের শুভেচ্ছা এবং নাবিকদের অসহায়ত্বের আরেক অজানা কাহিনী
=============================================
সর্বশেষ আপডেট নিউজ-
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মুক্তিপণ দিয়ে সোমালি জলদস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধারের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
============================================
কৃতজ্ঞতা স্বীকার-
১. আমার বন্ধু মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী।
২. পাকিস্থানে ইন্জিনিয়ারিং-এ অধ্যায়নরত বন্ধু মইন।
৩. প্রিয় ব্লগার এবং প্রিয় আহাদিল আপু।
৪। প্রিয় ব্লগার এবং প্রিয় জিশান শা ইকরাম ভাই।
৫। ব্লগার াহো ।